তীব্র হচ্ছে রুশ হামলা, ধুঁকছে ইউক্রেন

বণিক বার্তা ডেস্ক

ছবি : সংগৃহীত

ইউক্রেনের বিভিন্ন অঞ্চলে অবিরত হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রুশ বাহিনী। এ রুশ হামলা প্রতিহত করতে হিমশিম খাচ্ছে ইউক্রেনীয় সৈন্যরা। বলা যায়, অস্ত্র সরবরাহ না থাকায় একরকম কোণঠাসা হয়ে পড়েছে ইউক্রেন। সুযাগ বুঝে যুদ্ধকৌশলেও আরো আগ্রাসী হয়ে উঠছে রাশিয়া। 

ইউক্রেনীয় গান কমান্ডার ওলেক্সান্ডার কোজাচেঙ্কো বলছেন, তাদের ব্যবহৃত হাউইৎজার এম-৭৭৭ একসময় ১০০টি পর্যন্ত শেল নিক্ষেপ করত। কিন্তু এখন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অস্ত্র সরবরাহ কমে আসায় তা দিনে ১০টিতে এসে ঠেকেছে। 

এ কর্মকর্তা জানান, যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় অস্ত্র তারা পাচ্ছেন না। এমনকি এখন পরিস্থিতি এমন যে দিনে ৩০টি শেল নিক্ষেপ করাও তাদের জন্য বিলাসিতার মতো।

তবে অস্ত্র সরবরাহে বিলম্ব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, গত মাসে ৬১ বিলিয়ন ডলারের সহায়তা প্যাকেজ অনুমোদনে খানিকটা বিলম্ব হলেও এখন তারা ইউক্রেনে স্বাভাবিক গতিতে অস্ত্র পাঠানো অব্যাহত রেখেছে। 

চলতি মাসের শুরুর দিকে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলীয় একটি ফ্রন্টলাইন পরিদর্শন করে রয়টার্সের একটি দল। সেখানকার দুটি আর্টিলারি ইউনিট সংবাদমাধ্যমটিকে বলেছে, তাদের কাছে তখনো সরবরাহকৃত মার্কিন অস্ত্র পৌঁছেনি। ফলে জোরদার হামলা চালানো তাদের পক্ষে সম্ভব নয়। ওই সময় তারা শুধু রুশ হামলা প্রতিরোধের দিকেই নজর দিচ্ছিল। এমনকি কৌশলগত আরেকটি এলাকা—দোনেৎস্কের যোদ্ধারাও বলছেন, তারা পশ্চিমা কামানের জন্য অপেক্ষা করছেন। 

ইউক্রেন যখন অস্ত্রের অভাবে ধুঁকছে, ঠিক ওই সময়ে রুশ বাহিনী তাদের হামলা জোরদার করেছে। রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, গত কয়েক মাসে ডনবাসসহ দেশটির উত্তর-পূর্ব সীমান্ত এলাকায় বেশ কয়েকবার হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। এসব হামলার বেশির ভাগই ইউক্রেনের প্রতিরোধক্ষমতার চেয়ে বেশি জোরালো।

স্যাটেলাইট ইমেজ বিশ্লেষণ করে ফিনিশভিত্তিক গোষ্ঠী ব্ল্যাক বার্ড গ্রুপের বিশ্লেষক পাসি পারোইনেন বলছেন, গত বছর ইউক্রেন যে পরিমাণ এলাকা পুনর্দখল করেছিল, চলতি বছরে রাশিয়া তার চেয়ে অনেক বেশি এলাকা দখল করে নিয়েছে। ২০২৩ সালে ইউক্রেন রাশিয়ার হাত থেকে ৪১৪ বর্গকিলোমিটার এলাকা ফিরিয়ে নিতে পেরেছিল। তার বিপরীতে মস্কো এ বছর ৬৫৪ বর্গকিলোমিটার এলাকা দখল করে নিয়েছে।

ইউক্রেনের গুরুত্বপূর্ণ শহর চাসিভ ইয়ারের কাছে যুদ্ধরত কর্নেল পাভলো পালিসা বলছেন, ইউক্রেনে পশ্চিমা অস্ত্র আসতে দেরি হচ্ছে। আর এ বিলম্বকে কাজে লাগাচ্ছে রাশিয়া। এ কারণে আগামী দুই মাসের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি আরো জটিল হওয়ার আশঙ্কার কথাও জানান তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন