দক্ষিণ আফ্রিকায় নির্বাচন

তিন দশকের একক আধিপত্য হারাল এএনসি

বণিক বার্তা ডেস্ক

ছবি : সংগৃহীত

দক্ষিণ আফ্রিকার সাধারণ নির্বাচনে ৩০ বছরের একক আধিপত্য হারিয়েছে আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেস (এএনসি) ১৯৯৪ সালের পর এই প্রথম একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি দলটি। সরকার গঠনে এখন তাদের নির্ভর করতে হবে কোয়ালিশন গঠনের ওপর। আজ সরকারিভাবে ভোটের ফলাফল প্রকাশ করার কথা রয়েছে।

৯৮ শতাংশ ভোট গণনা শেষে দেখা গেছে, সিরিল রামাফোসার নেতৃত্বাধীন দলটি পেয়েছে মাত্র ৪০ দশমিক ১৫ শতাংশ ভোট। যেখানে গত নির্বাচনে তারা পেয়েছিল ৫৭ দশমিক শতাংশ ভোট। এবারের নির্বাচনের বেসরকারি ফলাফলে দেখা গেছে, প্রধান বিরোধী জোট ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স (ডিএ) পেয়েছে ২১ দশমিক ৭১ শতাংশ ভোট। অন্যদিকে সাবেক প্রেসিডেন্ট জ্যাকব জুমার নেতৃত্বাধীন উমখুনটো উই সিজ (এমকে) পার্টি পেয়েছে ১৪ দশমিক ৭৬ শতাংশ ভোট।

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, নির্বাচনে জ্যাকব জুমার দল উল্লেখজনক সাফল্য পেয়েছে, তা বলাই যায়। দলটি এমন কিছু জায়গায় জয়ী হয়েছে, যা একসময় এএনসির শক্ত ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত ছিল। দলটি কোয়াজুলু নাটালে খুব সহজেই জয়ী হতে যাচ্ছে। এটি এমন এক প্রদেশ, যেখানে ১৯৯৪ সাল থেকে এএনসি কখনো পরাজিত হয়নি।

সুস্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ওয়েস্টার্ন কেপ প্রদেশে ডেমোক্রেটিক অ্যালায়েন্স আবারো ক্ষমতায় ফিরছে বলে আভাস পাওয়া যাচ্ছে। শুধু কোয়াজুলু নাটাল ওয়েস্টার্ন কেপই নয়, গাওতেং প্রদেশেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার ক্ষেত্রে পিছিয়ে আছে এএনসি। গাওতেংয়ের মতো কিছু প্রদেশে সরকার গঠনের ক্ষেত্রে এএনসিকে জোট করতে হবে।

দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ণবাদবিরোধী মহান নেতা নেলসন ম্যান্ডেলার নেতৃত্বে এএনসি দেশটির গণতান্ত্রিক অভিযাত্রায় অগ্রদূতের ভূমিকা রেখে আসছে। তিন যুগেরও বেশি সময় ধরে চ্যালেঞ্জহীন শাসনের পর এএনসির নেতারা বড় ধরনের দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছেন এমন অভিযোগে উত্তাল দেশটির রাজনৈতিক অঙ্গন।

এছাড়া দক্ষিণ আফ্রিকায় দেখা দিয়েছে মন্দার ধারা। দেশজুড়ে বেড়েছে অপরাধ আর বেকারত্ব। যার প্রতিফলন নির্বাচনে ঘটেছে বলে মনে করা হচ্ছে।

রাজনীতি-বিশ্লেষক সিজ মোপোফু-ওয়ালশ বলেন, ‘ ফলাফলের মধ্য দিয়ে ইঙ্গিত মিলছে যে এএনসির আধিপত্যের সমাপ্তি ঘটতে যাচ্ছে। আমি মনে করি এটা ভালো। এর মধ্য দিয়ে পরিবর্তন জবাবদিহির নতুন পথ খুলবে। খবর রয়টার্স আল জাজিরা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন