অভিমত

মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে চাই কার্যকর সদিচ্ছা এবং সিস্টেমকেন্দ্রিক চিন্তা

ড. মোহাম্মদ ওমর ফারুক

ছবি : বণিক বার্তা

বর্তমান বিশ্বে, বিশেষ করে করোনা-উত্তর সময়ে কয়েকটি মূল অর্থনৈতিক সমস্যার অন্যতম হয়ে দাঁড়িয়েছে মুদ্রাস্ফীতি। এশিয়া, আফ্রিকা ও দক্ষিণ আমেরিকার কিছু কিছু দেশে বিভিন্ন কারণে লাগামহীন মুদ্রাস্ফীতি (হাইপারইনফ্লেশন, বার্ষিক শতকরা ৫০ শতাংশ বা বেশি) চলছে। দক্ষিণ এশিয়ায় শ্রীলংকাও হাইপারইনফ্লেশনের খপ্পরে পড়ার পর কার্যকর ও প্রশংসনীয়ভাবে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসেছে। জানুয়ারি ২০২৪-এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী দক্ষিণ এশিয়ার সাতটি দেশের শীর্ষ দুটি স্থান দখল করে আছে পাকিস্তান (প্রথম, ২৮ দশমিক ৩ শতাংশ) ও বাংলাদেশ (দ্বিতীয়, ৯ দশমিক ৮৬ শতাংশ)। বাংলাদেশ কেন এখনো এ ব্যাপারে আকাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জন করতে পারেনি, সে প্রশ্ন খুবই প্রাসঙ্গিক। যদিও প্রত্যেক দেশেই মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ জাতীয় পর্যায়ে অর্থনৈতিক পলিসি ও অগ্রাধিকারের একটি অংশ হিসেবে থাকে। এ বিষয়ে সাফল্য মূলত দুটি সাধারণ নিয়ামকের ওপর নির্ভর করে। 

প্রথমত, তত্ত্বগত ও এম্পিরিক্যাল দিক থেকে কেন মুদ্রাস্ফীতি হয়, কেন তা স্থিতিশীল/অস্থিতিশীল হয় এবং হলে তার নিয়ন্ত্রণ বা সমাধান কিসে, তা অর্থনীতিবিদ এবং জাতীয় নীতিনির্ধারকদের অজানা থাকার কথা নয়। কিন্তু তত্ত্ব ও বাস্তবতার মধ্যে ব্যবধান, যা প্রায়ই ব্যাপক আকার ধারণ করে তার পেছনে থাকে কার্যকর সদিচ্ছার অভাব। সব সরকার দেশের রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে বলে যে মুদ্রাস্ফীতি তাদের বিবেচনায় আছে। কিন্তু কার্যকর সদিচ্ছার প্রতিফলন হিসেবে তারা যেসব নীতি ও পদক্ষেপ নেয় তা আসলে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য অনুকূল কিনা তা মূল্যায়নসাপেক্ষ। 

একইভাবে প্রায় সব রাষ্ট্রই এ ব্যাপারে কম-বেশি সংবেদনশীল। কিন্তু এ সংবেদনশীলতা নিয়ে বিবেচ্য যে এ সমস্যাকে কি একটা রাজনৈতিক অথবা ইমেজগত সমস্যা বা চ্যালেঞ্জ হিসেবে, নাকি আপামর জনসাধারণের অর্থনৈতিক দুর্ভোগ-কষ্টের বিষয়টি সিরিয়াসলি নেয়া হয়। অন্য দেশগুলো, এমনকি আমাদের অঞ্চলের দেশগুলো, কীভাবে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে এবং স্বল্প হারে স্থিতিশীল রাখতে পেরেছে এবং পারছে, এমনকি শ্রীলংকার মতো হাইপারইনফ্লেশনে আক্রান্ত দেশটিও কীভাবে স্বল্পতম সময়ে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে, এটা কোনো রহস্য বা রকেট বিজ্ঞান নয়। তাদের কার্যকর সদিচ্ছা এবং সঠিক ও সমন্বিত রাজস্ব (ফিসক্যাল) পলিসি এবং অর্থবিষয়ক (মনিটারি) পলিসি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন এ সাফল্যের পেছনে কাজ করেছে। 

দ্বিতীয়ত, সামষ্টিক পর্যায়ের বিভিন্ন সমাধানে ব্যর্থতা অথবা দুর্বলতার একটি মুখ্য কারণ হচ্ছে সিস্টেমকেন্দ্রিক চিন্তার (সিস্টেমস থিংকিং) অভাব। সিস্টেমকেন্দ্রিক চিন্তায় নিছক একেকটি জিনিস বা সমস্যার অংশকে জানা-বোঝা এবং সেগুলোর ওপর আলাদাভাবে ফোকাস করা সিস্টেম পর্যায়ে যে গতিশীলতা (ডাইনামিকস) আছে তা যথাযথভাবে প্রভাবিত বা সমাধান করতে সক্ষম হয় না। আর একেকটা সিস্টেম, উল্লেখ্য অর্থনীতিও একটি সিস্টেম, সেটা কীভাবে কাজ করে একটি গতিশীল এবং কার্যকর সিস্টেম হিসেবে, তা নিছক জানলে-বুঝলেই হবে না, বরং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো সেভাবেই নেয়া প্রয়োজন, যা শুধু উপসর্গের উপশমকেই লক্ষ্য বানায় না, বরং রোগ নিরাময় বা মুক্তির বিষয়টিও সিস্টেম হিসেবে বিবেচনায় নেয়। 

উল্লেখ্য, গত অর্ধশতকে সিস্টেমকেন্দ্রিক চিন্তা একটি প্রায়োগিক বা ফলিত জ্ঞানবিজ্ঞানের নতুন ফিল্ডে পরিণত হয়েছে, যা শুধু বিজ্ঞান আর প্রকৌশলেই নয়, সামাজিক বিজ্ঞানসহ ব্যবসা-বাণিজ্যসংশ্লিষ্ট প্রাতিষ্ঠানিক বা সাংগঠনিক পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে। সাধারণভাবে অর্থশাস্ত্রের তাত্ত্বিক ও প্রায়োগিক দিকগুলোয়ও যখন ম্যাক্রো বা সামষ্টিক পর্যায়ে বিবেচনা করা হয়, তা সামষ্টিক হলেও সিস্টেমকেন্দ্রিক হয় না, যার কারণে অনেক দেশেই অর্থনীতির ক্ষেত্রে আকাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জিত হয় না। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সিস্টেমকেন্দ্রিক চিন্তাভাবনা বিরল এবং অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে সিস্টেমকেন্দ্রিক সমন্বিত চিন্তাভাবনা অবিকশিত বললেই চলে।

উপরোক্ত মোটাদাগের পর্যবেক্ষণের আলোকে আমরা বাংলাদেশের অবস্থাটা বোঝার চেষ্টা করতে পারি। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে কার্যকর সদিচ্ছার প্রসঙ্গে এটা জানা দরকার, আমরা যে শাস্ত্রটিকে এখন অর্থনীতি হিসেবে জানি ও মানি, এ আধুনিক শাস্ত্রের জনক হিসেবে বিবেচিত অ্যাডাম স্মিথ এবং তার ক্ল্যাসিক্যাল ঘরানার ঐতিহ্যে এটা পরিচিত ছিল পলিটিক্যাল ইকোনমি হিসেবে। সামাজিক বিজ্ঞান হিসেবে অর্থনীতিতে মানুষের আচার-আচরণ, সিদ্ধান্ত প্রকৃতি জগতের মতো অপরিবর্তনীয় নয়। আর সে কারণেই মাইক্রো (ক্ষুদ্র) পর্যায়ের আচরণ যোগ/একত্র করলে ম্যাক্রো (সামষ্টিক) পর্যায়ে আচরণ বা ফলাফল সামঞ্জস্যপূর্ণ নাও হতে পারে। যেমন প্রত্যেক পরিবার বা সমর্থ ব্যক্তিরই কিছু সঞ্চয় করা উচিত এবং যেহেতু আমাদের সঞ্চয়ই বিনিয়োগের জন্য মূলধনের মূল উৎস, তাই বেশি সঞ্চয় থেকে বেশি বিনিয়োগ আসার কথা। কিন্তু সঞ্চয় হলেই যে তা বিনিয়োগে পরিণত হবে তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। কারণ বিনিয়োগকারী যে কারণে মূলধন সংগ্রহ করেছে চূড়ান্ত পর্যায়ে সেই উদ্দেশ্যেই ব্যয় হবে অথবা এমনকি আদৌ ব্যয় হবে কিনা তার কোনো নিশ্চয়তা নেই। আবার সঞ্চয় গতিশীল অর্থ ব্যবস্থার জন্য আকাঙ্ক্ষিত হলেও সবাই বেশি বেশি সঞ্চয় করলে তা ম্যাক্রো পর্যায়ে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে। এজন্যই সিস্টেমের বিভিন্ন অংশের সম্পর্কের যে ডাইনামিকস তা উপেক্ষা করা যায় না।

সিস্টেম প্রসঙ্গে আমাদের জটিল সমস্যার একটি দৃষ্টান্ত দেয়া যাক। আধুনিক অর্থনীতিতে মানুষ নিরাপত্তার জন্যই ব্যাংকে তাদের বিভিন্ন মেয়াদি সঞ্চয় রাখে। এর কিছু অংশ নিছক নিরাপত্তার জন্য আর কিছু সঞ্চয়ভিত্তিক লভ্যাংশের (সুদ) জন্য। আর এ সঞ্চয়গুলো ব্যবহার করে দেশের ঋণগ্রহীতারা যাদের মধ্যে ছোট-মাঝারি-বড়-মেগা বিভিন্ন গ্রাহক। কিন্তু এখানে যদি সিস্টেমে শর্টসার্কিট থাকে, যেখানে ঋণগ্রহীতাদের উল্লেখযোগ্য অংশই কিছু মুষ্টিমেয় ধনকুবের, তাদের সংগৃহীত ঋণ বা মূলধন যে বিনিয়োগের উল্লিখিত উদ্দেশ্যে নেয়া হয় সে উদ্দেশ্যে ব্যয় হয় না। শুধু তাই নয়, বরং এই অতিধনীদের অধিকাংশ হচ্ছে নিয়মিত এবং বড় মাপের ঋণখেলাপি, আরো খারাপ এই অর্থ বা মূলধন যা ব্যবসায়ে বিনিয়োগ হয়ে অর্থনীতির চালিকাশক্তি হিসেবে অর্থনৈতিক উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে ব্যবহৃত হওয়ার কথা তা না হয়ে বিদেশে পাচার হয়ে যায়, সেখানে সিস্টেমগত সমস্যাটা বোঝা কঠিন নয়। ২০১০-১৯ সালের মধ্যে দেশে ধনকুবেরের সংখ্যা বেড়েছে বার্ষিক ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ হারে। অথচ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়লেও ওরকম হারে নয়। আর মুদ্রাস্ফীতি বিবেচনায় নিলে মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত ও দরিদ্র মানুষের আয় হয়ে আছে স্থবির। 

বাংলাদেশ দুটো গুরুত্বপূর্ণ ধাক্কার (করোনা মহামারী ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ) বিশ্বময় প্রভাবের মোকাবেলা করছে। করোনার সময় মহামারীর অর্থনৈতিক প্রভাব সীমিত করতে এবং এ থেকে দ্রুত উত্তরণে বাংলাদেশ বিভিন্ন কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছে, তাতে অর্থনীতি যতটা সংকটে পড়তে পারত তা হয়নি। কিন্তু অনেকগুলো সমস্যা অভ্যন্তরীণ, যেগুলোর জন্য বাইরের কোনো কিছুকে দোষারোপ করার সুযোগ নেই। 

বাংলাদেশ বেশ কয়েক বছর ধরেই উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত ও তীব্র পর্যায়ে রাখতে রাষ্ট্রীয় ব্যয় সম্প্রসারণকে অগ্রাধিকার দিয়ে এসেছে। তবে এ ব্যয়ের উল্লেখযোগ্য অংশ এসেছে বেসরকারি আর্থিক খাত থেকে ঋণ হিসেবে, যা বেসরকারি খাত থেকে ব্যবসায় বিনিয়োগকারীদের জন্য ঋণ সরবরাহ সীমিত করে। এটা সিস্টেমিক চিন্তার দিক থেকে অসামঞ্জস্যপূর্ণ। 

সেই সঙ্গে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে মুদ্রা মুদ্রণের মাধ্যমে তহবিল সংগ্রহ, তা বেসরকারি বিনিয়োগের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে, বিশেষ করে কর্মসংস্থান বাড়ানোয়। বিশ্বব্যাংকের ২০২০ সালের একটি প্রতিবেদন (বাংলাদেশস জার্নি টু মিডল-ইনকাম স্ট্যাটস: দ্য রোল অব দ্য প্রাইভেট সেক্টর) অনুযায়ী মোট শ্রমশক্তির ৯৫ শতাংশের কর্মসংস্থান হয় প্রাইভেট বা ব্যক্তি খাতে। অফিশিয়াল পরিসংখ্যান অনুযায়ী গত ২০০২-২০১৭-এ কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হার ছিল ২ দশমিক ২৮ শতাংশ। এর মধ্যে ২০১৩-১৭ সালে জিডিপির গড় বার্ষিক প্রবৃদ্ধি ৬ দশমিক ৬ শতাংশ হলেও কর্মসংস্থানের প্রবৃদ্ধি ছিল শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ। এটা অর্থনীতিবিদরা কর্মসংস্থানশূন্য প্রবৃদ্ধি (জবলেস গ্রোথ) হিসেবেই দেখেন। উল্লেখ্য, একটি দেশের সামগ্রিক ব্যয় সম্প্রসারণ যদি সরকারি খাতে তুলনামূলকভাবে বেশি হয়, তাহলে তা সামগ্রিকভাবে কর্মসংস্থানের প্রবৃদ্ধির জন্য অনুকূল নয়। এতেও সিস্টেমকেন্দ্রিক চিন্তাভাবনার ব্যত্যয় দেখা যায়। 

একইভাবে এসব রাষ্ট্রীয় সংগ্রহের অধিকাংশই ব্যয় হয়েছে অবকাঠামোগত উন্নয়নে। যেকোনো উন্নয়নশীল দেশে অবকাঠামোর উন্নয়ন মৌলিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সেই উন্নয়ন যদি একটি সমন্বিত পরিকল্পনার ভিত্তিতে অবকাঠামো উন্নয়নের পাশাপাশি যেসব সেক্টরে কর্মসংস্থানের সৃষ্টি বেশি হয় সেগুলোকে কার্যকর অগ্রাধিকার না দেয়া হয়, তাহলে অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রশংসিতভাবে হবে, কিন্তু জাতীয় অর্থনীতিতে তার প্রকৃত সুফল জনগণের দুয়ারে না পৌঁছারই সম্ভাবনা। এটাও সিস্টেমিক চিন্তায় অসংগতি।

একইভাবে বিভিন্ন বৈশ্বিক কারণে রেমিট্যান্সে নেতিবাচক প্রভাবে পড়েছে, অথচ মনিটারি পলিসির দিক থেকে জমা ও ঋণগ্রহণের ক্ষেত্রে যে উচ্চতম সীমা বা ক্যাপ দেয়া হয়েছিল তার ফলাফল সঞ্চয় সংগ্রহে এবং সাধারণ মানুষের নিত্যনৈমিত্তিক চাহিদা মেটানোর প্রতি অগ্রাধিকারের দিকে যায়নি। এটাও সিস্টেমিক চিন্তায় অসংগতি। এ ক্যাপ বাড়ানোয় সাম্প্রতিক সিদ্ধান্ত সঠিক, কিন্তু হয়তো অপর্যাপ্ত এবং অনেকটা বিলম্বে। 

তারল্য সংকট, যা বিশ্ববাজারে ডলারের মূল্য ও সরবরাহের সঙ্গে সংযুক্ত, মুদ্রাস্ফীতির সমস্যাকে বাড়িয়েছে কারণ আমাদের কিছু গুরুত্বপূর্ণ আমদানিনির্ভরতা আছে, যার জন্য স্থিতিশীল বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ অপরিহার্য। কিন্তু সেটা বাইরের বিষয়, যার ওপর দেশ হিসেবে আমাদের নিয়ন্ত্রণ কম। কিন্তু অভ্যন্তরীণ বেশকিছু দিক আছে যে ব্যাপারে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আরো সংগতিপূর্ণ পদক্ষেপ প্রয়োজন। বাংলাদেশে জনগণের নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর ক্ষেত্রে সিন্ডিকেটে এবং অবৈধ মধ্যস্বত্বভোগীদের যে অশুভ প্রভাব আছে তার কারণে যেমন অবকাঠামোগত উন্নয়নের ফসল আকাঙ্ক্ষিতভাবে জনগণের ঘরে উঠছে না, তেমনি সাপ্লাই চেইনগুলোকে সুস্থ ও কার্যকর রাখার ক্ষেত্রেও বিঘ্ন ঘটাচ্ছে। এগুলোও সিস্টেমিক চিন্তার দিক থেকে অসংগতি।

বাংলাদেশে উন্নয়নের পথ ধরে যেভাবে সামনে হাটছে তার ধারা যেমন অব্যাহত থাকা প্রয়োজন, তেমনি তা সুষম করতে হলে ফিসক্যাল এবং মনিটারি পলিসিই শুধু জনস্বার্থের অনুকূল হলে চলবে না, বরং সম্পদের পুঞ্জীভবন, সম্পদের পাচার এবং অতিধনীদের ঋণখেলাপসহ সংগৃহীত ঋণের ক্ষেত্রে বিনিয়োগবিমুখতার বিষয়গুলো সিস্টেমকেন্দ্রিক চিন্তার আলোকে সমন্বিতভাবে মোকাবেলা করতে হবে। কার্যকর সদিচ্ছা ও সিস্টেমকেন্দ্রিক চিন্তার কাঠামোয় সমন্বিত পলিসি গ্রহণ এবং আন্তরিকতা ও স্বচ্ছতার সঙ্গে মুদ্রাস্ফীতিসহ প্রাসঙ্গিক সব সমস্যাই সমাধান সম্ভব এবং এটাই জনগণের অধিকার ও প্রত্যাশা।

ড. মোহাম্মদ ওমর ফারুক: অধ্যাপক, অর্থনীতি বিভাগ, ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন