বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযোগ প্রতিকারে ন্যায়পাল নিয়োগের পরামর্শ ইউজিসির

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : ইউজিসি

যৌন হয়রানি, র‌্যাগিং, অনিয়মসহ নানা ধরনের অভিযোগ তদন্তে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথিতযশা নাগরিকদের মধ্য থেকে ন্যায়পাল নিয়োগের পরামর্শ দিয়েছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) চেয়ারম্যান (অতিরিক্ত দায়িত্ব) প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর।

মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা বিষয়ে অংশীজনদের সঙ্গে এক অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। ইউজিসি সচিব ড. ফেরদৌস জামানের সভাপতিত্বে সভাটি সঞ্চালনা করেন ইউজিসির পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের উপ-পরিচালক ও অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থার ফোকাল পয়েন্ট মৌলি আজাদ।

সভায় প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আলমগীর বলেন, অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তি, ব্যক্তির সুরক্ষা ও গোপনীয়তা রক্ষা এবং প্রতিষ্ঠানের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতের জন্য একটি নিরপেক্ষ প্ল্যাটফর্ম তৈরি করা প্রয়োজন, যা একমাত্র ন্যায়পাল দেখতে পারবে।

তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় অভিযোগ প্রতিকারে প্রযুক্তির সহায়তা গ্রহণ করতে পারে। এছাড়া অভিযোগ প্রতিকারের আগে অভিযোগকারী ও অভিযুক্তের পরিচয় গোপন রাখা, নিরাপত্তা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানান।

যৌন হয়রানির মতো বিষয়গুলোতে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোয় যৌন হয়রানি প্রতিরোধে আদালতের নির্দেশনা মোতাবেক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এর পরও যৌন হয়রানি রোধ করা যায়নি। ইউজিসি সম্প্রতি বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হয়রানির ঘটনা তদন্ত করেছে এবং সুপারিশ বাস্তবায়নে নির্দেশনা দিয়েছে। অভিযোগ প্রতিকার বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে নিয়মিত অবহিতকরণ সভার পরামর্শ দেন তিনি। এছাড়া এসব বিষয়ে দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের অত্যন্ত সংবেদনশীল হওয়া এবং দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন।

অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থার ফোকাল পয়েন্ট মৌলি আজাদ জানান, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে এপিএ-র অধীনে যে ৫টি সাব-কম্পোনেন্ট রয়েছে তার মধ্যে অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থা অন্যতম। ইউজিসির অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাপনার অধীনে সকল কর্মশালা ও সভা এরই মধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে।

সভাপতির বক্তব্যে ড. ফেরদৌস জামান বলেন, দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন। এমন কোনো জায়গা নেই যেখানে অভিযোগ নেই। অভিযোগ পুরোপুরি দূর করা সম্ভব নয়, আমাদের যেটি করতে হবে সেটি হলো অভিযোগ প্রতিকারের ব্যবস্থা করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ে কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ থাকলে দ্রুত সমাধান করতে হবে। এ সময় তিনি অভিযোগ দ্রুত নিষ্পত্তির জন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে প্রতি মাসে অভিযোগের ঘটনা নিয়ে সভা করার পরামর্শ দেন।

কর্মশালায় ইউজিসির জনসংযোগ ও তথ্য অধিকার বিভাগের পরিচালক ড. শামসুল আরেফিন, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ম্যানেজমেন্ট বিভাগের পরিচালক মোহাম্মদ জামিনুর রহমানসহ ১০ টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থার ফোকাল পয়েন্ট, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি ও ইউজিসির কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন