ট্যারিফ কমিশনের মাধ্যমে দাম হিসাব করা হবে —বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : সংগৃহীত

বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেছেন, ‘সয়াবিন তেলের দাম সমন্বয় করা হবে। আগের দামে ফিরে যাওয়ার সুযোগ নেই। ভ্যাট প্রত্যাহারের সময় শেষ হয়েছে, এটা ঠিক। সমন্বয় করে যৌক্তিক দাম নির্ধারণ করবে সরকার। এখন ট্যারিফ কমিশনের মাধ্যমে দাম হিসাব করা হবে; এনবিআরকে জানানো হবে।’ গতকাল সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) আয়োজিত ‘মিট দ্য রিপোর্টার্স’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।

এর আগে সয়াবিন তেলের দাম বাড়াতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ ভেজিটেবল অয়েল রিফাইনার্স অ্যান্ড বনস্পতি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন। এতে লিটারপ্রতি ১০ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম ১৭৩ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে। এ বিষয়ে আজ ট্যারিফ কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। গতকাল ট্যারিফ কমিশন এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এ চিঠির বিষয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী আহসানুল ইসলাম টিটু বলেন, ‘চিঠি আমি দেখিনি, অফিসে গিয়ে দেখব।’ দেশে বিভিন্ন পণ্যের দাম যাতে না বাড়ে সেজন্য বিকল্প দেশ থেকে পণ্য আমদানি এবং সরবরাহ ব্যবস্থা ঠিক রাখার কথা জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘ইরান ও ইসরায়েল সংকটের কারণে বিকল্প উৎস থেকে আমদানির বিষয়ে কাজ করছে সরকার। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য আমদানিতে মিয়ানমার, ব্রাজিল, রাশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক এগিয়ে নেয়ার কাজ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। মধ্যপ্রাচ্য থেকে জ্বালানি তেলসহ অন্যান্য পণ্য আসে। ইসরায়েল এখন ইরানে পাল্টা হামলা চালাবে কিনা জানি না। তার পরও সব বিষয় মাথায় রেখে পণ্যের দাম যেন না বাড়ে, সেজন্য আমরা বিকল্পভাবে পণ্য আনার চেষ্টা করছি।’

প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘‌বিগত কয়েক মাসে দেশে রফতানি আয় বেড়েছে। রফতানির পণ্যে বৈচিত্র্য আনতে “‍একটি গ্রাম একটি পণ্য” বাস্তবায়ন করছে সরকার। টিসিবির পণ্যকে স্থায়ী দোকানের মধ্যে নিয়ে আসার পরিকল্পনা রয়েছে। টিসিবি কার্ড সুবিধাভোগীদের তালিকা হালনাগাদ করা হচ্ছে। টিসিবির সক্ষমতা বাড়াতে কাজ করছে সরকার।’

টিসিবির পণ্য সরবরাহে সমস্যার বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘প্রথমত, বাফার স্টক না থাকায় আমাদের পণ্য কিনেই বিক্রি করতে হচ্ছে। বিভাগীয় পর্যায়েও আমাদের বাফার স্টক নেই। দ্বিতীয়ত, আমাদের সংরক্ষণের জন্য স্টোরেজ নেই এবং ডিলারেরও ১৫ দিন বা এক মাস পণ্য রাখার মতো নিজস্ব কোনো ব্যবস্থা নেই। এসব কারণে টিসিবির পণ্য সরবরাহে সাত বা ১০ দিন আগ-পিছ হচ্ছে। এছাড়া টিসিবিতে আমাদের চার-পাঁচটি পণ্য দেয়া হয়, অনেক সময় একসঙ্গে সব পণ্য না পেলে ডিসিরা পণ্য দেন না। এজন্য আমরা নির্দিষ্ট দোকান তৈরি করে দেব, যাতে যখন যে মাল আসে, তখন সেটা বিক্রি করতে পারে। যেখানে যে জিনিস ভালো পাওয়া যায়, আমরা সেটা সংগ্রহ করে এনে টিসিবির মাধ্যমে নিম্ন মধ্যবিত্ত, মধ্যবিত্ত ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষের মধ্যে ন্যায্যমূল্যে বিতরণ করব। টিসিবির পণ্য হতদরিদ্র মানুষের জন্য না। কারণ, ৬০০ থেকে ১ হাজার টাকার পণ্য ক্রয় করার ক্ষমতা তাদের নেই। এজন্য এমন মানুষদের সম্পৃক্ত করব যাতে নিম্ন, মধ্যবিত্ত ও নির্দিষ্ট আয়ের মানুষ তাদের যেন একটু সুযোগ-সুবিধা দিতে পারি।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন