প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগ জুনের মধ্যে

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : সংগৃহীত

আগামী জুনের মধ্যে সারা দেশে ১০ হাজার প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হবে। তবে লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষাসহ প্রতিটি পর্যায়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করেই এ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে চায় সরকার। 

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক রুমানা আলী গতকাল প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে প্রাথমিকে ১০ হাজার শিক্ষক নিয়োগের কথা জানান তিনি। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘পরীক্ষার্থীরা সবাই সুশৃঙ্খল পরিবেশে পরীক্ষা দিচ্ছেন। পর্যায়ক্রমে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে উত্তীর্ণরা শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ পাবেন।’ কোনো আবেদনকারী যেন প্রতারণার শিকার না হন সেজন্য মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ সতর্ক রয়েছে বলেও জানান প্রতিমন্ত্রী। 

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগের জন্য তৃতীয় ধাপে ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের জেলাগুলোয় (তিন পার্বত্য জেলা বাদে) লিখিত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় গতকাল। দুই বিভাগের ২১ জেলায় ৪১৪টি কেন্দ্রে সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টা পর্যন্ত এ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৬ হাজার ২০২টি আসনের বিপরীতে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল ৩ লাখ ৪৯ হাজার ২৯৩ জন। 

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ জানান, প্রথম ধাপের পরীক্ষায় কিছু ক্ষেত্রে অসদুপায় অবলম্বনের চেষ্টা নজরে আসায় মন্ত্রণালয় এ ধরনের অপপ্রয়াস রোধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। ফলে দ্বিতীয় ধাপের পরীক্ষায় এ ধরনের অভিযোগ খুব স্বল্প পরিমাণে এসেছে। তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় এ ধরনের অভিযোগ যাতে না ওঠে সেজন্য কার্যকর পন্থা খুঁজে বের করতে বুয়েটের ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইআইসিটি) বিভাগের অধ্যাপক এসএম লুৎফুল কবিরকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। বুয়েট ইনোভেশন টিম স্বল্প সময়ে ডিজিটাল ডিভাইসের মাধ্যমে অসদুপায় অবলম্বন শনাক্তকরণে সহজ ও কার্যকর ব্যবস্থা উদ্ভাবন করেছে। এতে মন্ত্রণালয় আর্থিক সহযোগিতা দিয়েছে। 

ফরিদ আহাম্মদ বলেন, ‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার এ অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে সব ধরনের প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় এমন ব্যবস্থা চালু করা গেলে ডিভাইসমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা গ্রহণ সম্ভব হবে। তখন কেউ পরীক্ষা নিয়ে কোনো অভিযোগ তোলার সুযোগ পাবেন না।’

তিন বিভাগের (বরিশাল, সিলেট ও রংপুর) ১৮ জেলার ‘সহকারী শিক্ষক নিয়োগ-২০২৩’-এর প্রথম ধাপের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয় গত ৮ ডিসেম্বর। এতে পরীক্ষার্থী ছিলেন ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন। ২০ ডিসেম্বর প্রথম ধাপের ফল প্রকাশ করা হয়। এতে লিখিত পরীক্ষায় ৯ হাজার ৩৩৭ জন এবং মৌখিক পরীক্ষা শেষে চূড়ান্তভাবে ২ হাজার ৪৯৭ জন নির্বাচিত হন। 

২ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপে খুলনা, রাজশাহী ও ময়মনসিংহ বিভাগের ২২ জেলায় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। এতে ৪ লাখ ৩৯ হাজার ৪৪৩ জন অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্য থেকে লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হন ২০ হাজার ৬৪৭ জন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন