ক্যানালিসের প্রতিবেদন

ক্লাউড পরিষেবা খাতে চীনের ব্যয় বাড়বে ১৮ শতাংশ

বণিক বার্তা ডেস্ক

ছবি: অ্যাডামাস ইউনিভার্সিটি

বৈশ্বিক পর্যায়ে ক্লাউড পরিষেবা খাতে ব্যয় বাড়ছে। এদিক থেকে ২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে শুধু চীনে অাগের বছরের একই সময়ের তুলনায় ব্যয় বেড়েছে ২২ শতাংশ। সম্প্রতি বাজার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ক্যানালিসের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। এছাড়া চলতি বছর এ খাতে দেশটির ব্যয় ১৮ শতাংশ বাড়বে বলেও জানানো হয়েছে।

গত বছর ক্লাউড পরিষেবা খাতে মোট বৈশ্বিক ব্যয়ের ১২ শতাংশই ছিল চীনের। এ সময় দেশটিতে মোট ব্যয় বেড়ে ৯৭০ কোটি ডলার ছাড়িয়ে গেছে।

তথ্যপ্রযুক্তি খাতের বড় কোম্পানিগুলো নতুন করে ক্লাউড পরিষেবা খাতে বিনিয়োগ করবে। এছাড়া জেনারেটিভ এআইয়ের বিস্তার ক্লাউড পরিষেবার ওপর নির্ভরশীলতা বাড়াবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। অন্যদিকে চীনের ক্লাউড কোম্পানিগুলো গ্রাহককে সাশ্রয়ী মূল্যে এ পরিষেবা দিচ্ছে, যা একই সঙ্গে বাজার প্রতিযোগিতা বাড়াচ্ছে।

ক্যানালিসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২৩ সালের চতুর্থ প্রান্তিকে চীনের বাজারে শীর্ষ তিনে ছিল আলিবাবা, হুয়াওয়ে ও টেনসেন্ট ক্লাউড। এ তিনটি কোম্পানি সম্মিলিতভাবে ২৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে এবং বাজার হিস্যা ছিল ৭৪ শতাংশ।

তিনটি কোম্পানিই পার্টনার ইকোসিস্টেম তৈরিতে পারস্পরিক সহযোগিতামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। যার মধ্যে বছরের শুরু থেকেই হুয়াওয়ে ও টেনসেন্ট ক্লাউড সম্মেলনের আয়োজন করে আসছে। গত বছরের শেষ প্রান্তিকে চীনের বাজারে কোম্পানিগুলোর মোট আয়ের ২৫ শতাংশই ছিল ক্লাউড পরিষেবানির্ভর। বিশ্লেষকদের অভিমত, কোম্পানিগুলোর আয়ে এ খাতের প্রভাব আরো বাড়বে।

গত বছর ক্লাউড পরিষেবা খাতে হুয়াওয়ে দুই অংকের প্রবৃদ্ধি ধরে রেখেছে বলে প্রতিবেদনে উঠে এসেছে। টেনসেন্ট ক্লাউডও প্রবৃদ্ধির ধারায় ছিল, তবে আলিবাবা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জের মধ্যে থাকায় খুব বেশি প্রবৃদ্ধিতে আসতে পারেনি। এ পরিস্থিতির মধ্যে ক্লাউড কোম্পানিগুলো গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে পরিষেবা গ্রহণে নির্ধারিত ফি কমিয়েছে। ২০২৩ সালের মে মাসে টেনসেন্ট ক্লাউড ও চায়না টেলিকম ফি কমায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে এপ্রিলে আলিবাবাও এর পরিষেবা গ্রহণে ফি গ্রহণের হার কমায়।

চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আরো গ্রাহক আকৃষ্ট করতে আলিবাবা ক্লাউড আরেক দফা দাম কমিয়েছে বলে জানা গেছে। ক্যানালিসের বিশ্লেষক ই ঝ্যাং বলেন, ‘ক্লাউড পরিষেবা কোম্পানিগুলোর সামনে বর্তমানে দুটি চ্যালেঞ্জ। প্রথম চ্যালেঞ্জ প্রবৃদ্ধির ধারা অব্যাহত রাখা এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে ক্রমবর্ধমান বাজার প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা।’ জেনারেটিভ এআইয়ের বিকাশের সঙ্গে ক্লাউড পরিষেবা গ্রহণে আগ্রহ বাড়ছে। তাই মুনাফার কথা চিন্তা করা ছাড়াও কোম্পানিগুলোকে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিতে মনোযোগ দেয়ার কথাও জানান তিনি।

গত বছরের শেষ প্রান্তিকে চীনের বাজারে শীর্ষ অবস্থান ধরে রেখেছিল আলিবাবা ক্লাউড। কোম্পানির বাজার হিস্যা ছিল ৩৯ শতাংশ, তবে বছরওয়ারি হিসাবে প্রবৃদ্ধির হার ছিল মাত্র ৩ শতাংশ। অন্যদিকে ১৯ শতাংশ বাজার হিস্যা নিয়ে ক্লাউড পরিষেবা খাতের দ্বিতীয় অবস্থানে ছিল হুয়াওয়ে। কোম্পানিটি বছরওয়ারি হিসাবে ২৩ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে। এছাড়া ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে কোম্পানির আয় ১৭ শতাংশ বেড়েছে। এদিক থেকে টেনসেন্ট ক্লাউড গত বছর আয়ের দিক থেকে ২৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জন করেছে এবং বাজার হিস্যা ১৬ শতাংশে উন্নীত হয়েছে।


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন