দেশটাকে দুটো ভাগে ভাগ করেছে সরকার —মির্জা ফখরুল

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি : সংগৃহীত

বর্তমানে গোটা দেশকে সরকার দুই ভাগে ভাগ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘‌দেশটা দুটা ভাগে ভাগ করেছে সরকার। একটি হলো আওয়ামী লীগ, আরেকটি বিরোধী দল। শুধু তা-ই নয়, বর্ণবাদ সৃষ্টি করেছে আওয়ামী লীগ। বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের বাড়িঘর, দোকান ও ব্যবসা দখল করে নিচ্ছে।’ গতকাল রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউশনে মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষক নন—আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় আলোচনা সভার সভাপতি বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর অব. হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘‌জিয়াউর রহমানকে কে লেখা পাঠিয়ে দিয়েছেন? কার লেখা পাঠ করেছেন? সেই মাহেন্দ্রক্ষণে কাউকে তো খুঁজে পাওয়া যায়নি। শুধু কথা বলার রাজনীতি করলে হয় না। শেখ মুজিবুর রহমান একজন বড় মাপের নেতা। তাকে আমরা শ্রদ্ধা করি। যখন মা-বোনের ইজ্জত লুণ্ঠন হচ্ছিল তখন কেউ নামেনি, নেমেছিল ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সৈনিকরা।’

এদিকে সীমান্ত হত্যার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, ‘‌নওগাঁর পোরশা উপজেলা সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর গুলিতে এক বাংলাদেশী নিহত এবং লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর সীমান্তে গুলি করার পর এক বাংলাদেশী যুবককে নিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সীমান্তে এক বাংলাদেশীকে গুলি করে হত্যা এবং আরো একজনকে গুলি করে ধরে নিয়ে যাওয়ার পরও ডামি সরকার ও তাদের মন্ত্রীরা নিশ্চুপ। প্রতিবাদ বা কোনো পদক্ষেপ নেয়া দূরে থাক, টুঁ শব্দটিও তারা করেনি। বরং মন্ত্রীরা নির্বিকারভাবে এসব রক্তাক্ত ঘটনা মেনে নিচ্ছে।’

নাগরিকদের নিরাপত্তাহীনতার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, ‘‌ডামি সরকারের নতজানু নীতির কারণে বাংলাদেশী নাগরিকদের জীবন নিরাপত্তাহীন। ক্ষমতার জন্য এরা দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব দুর্বল করতেও দ্বিধা করে না। শুধু সীমান্তে পাখির মতো মানুষকে গুলি করে হত্যা নয়, বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঢুকে লুটপাট, হামলা, ভাংচুর করলেও কোনো প্রতিবাদ করে না সরকার। মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের দিনেও সীমান্তে পৈশাচিকভাবে একজনকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে আর একজনকে গুলি করে তুলে নিয়ে গেছে বিএসএফ। এ ঘটনায় আবারো প্রমাণ হয়েছে, বাংলাদেশের নাগরিকদের কোনো নিরাপত্তা নেই এবং স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব এখন ভয়াবহ সংকটে। মহান স্বাধীনতা দিবসের দিনে এ ধরনের প্রাণবিনাশী রক্তাক্ত ঘটনা হৃদয়বিদারক ও আত্মমর্যাদাকে ক্ষুণ্ন করে।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন