হাইপোগ্লাইসেমিয়া হাইপারগ্লাইসেমিয়া

হাইপোগ্লাইসেমিয়ায় শিশুর মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়

ফিচার ডেস্ক

ছবি: ফ্রিপিক

জীবনের প্রথম দিনগুলোয় কোনো শিশুর হাইপোগ্লাইসেমিয়া হলে খিঁচুনি, মানসিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হওয়াসহ তার যেকোনো ধরনের স্নায়বিক সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থাকে। 

মানুষের শরীরের রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ একটা নির্দিষ্ট মাত্রার নিচে নেমে গেলে তাকে হাইপোগ্লাইসেমিয়া বলে। যারা বয়স্ক আর ডায়াবেটিসের রোগী, তারা এ রোগের সঙ্গে পরিচিত। নবজাতকরাও হাইপোগ্লাইসেমিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে। নবজাতকের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা যদি প্রতি ১০০ মিলিলিটারে ৪৭ মিলিগ্রামের (২ দশমিক ৬ মিলিমোল/লিটার) নিচে নেমে যায়, তখন তাকে হাইপোগ্লাইসেমিয়া বলে চিহ্নিত করা হয়।

বাচ্চাদের হাইপোগ্লাইসেমিয়া হওয়ার কারণগুলো হলো অত্যধিক ইনসুলিন বা ওরাল ডায়াবেটিসের ওষুধ গ্রহণে, ইনসুলিনের পরিমাণের জন্য পর্যাপ্ত খাবার খাওয়া হয় না, অন্যান্য কোনো শারীরিক সমস্যা থাকলে অথবা জেনেটিক কারণেও শিশু হাইপোগ্লাইসেমিয়ায় আক্রান্ত হতে পারে।

অনেক ক্ষেত্রে সদ্যোজাত শিশুর রক্তে চিনির মাত্রা বেশি পাওয়া যায়। শিশু ভূমিষ্ঠ হওয়ার প্রথম ১০ দিনেই এমন ঘটনা ঘটতে পারে। এটি নবজাতকের ডায়াবেটিস নাও হতে পারে। এটি হতে পারে অল্প সময়ের জন্য রক্তে চিনির মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ঘটনা। এটাকে চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় নিওনেটাল হাইপারগ্লাইসেমিয়া। অনেক কারণেই এমনটি হতে পারে। সাধারণত শিশুর সেপসিস বা বড় ইনফেকশন, স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ কিংবা শিরাপথে গ্লুকোজ স্যালাইন দেয়ার পর এমনটি হতে পারে। তবে নবজাতকের রক্তে চিনির মাত্রা দুই সপ্তাহের পরও স্থায়ী হলে নবজাতকের ডায়াবেটিস হওয়া আশঙ্কা থাকে।

সূত্র: স্টানফোর্ড মেডিসিন ও চিলড্রেনস হেলথ

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন