ছবি: বিসিবি সিলেট ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টি২০তে আগের পাঁচ ম্যাচের মধ্যে তিনটিতে হেরেছে টাইগাররা। শ্রীলংকার কাছে দুটি ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে একটি হার ছিল। টিলায় ঘেরা এ নৈসর্গিক ভেন্যুতে এবার ৩-৩ করল বাংলাদেশ। গত বছর আফগানিস্তানকে দুই ম্যাচে হারানো টাইগাররা আজ হারাল শ্রীলংকাকে। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে ঘরের মাঠে রান তাড়ায় রেকর্ড গড়ে জিতল নাজমুল হোসেন শান্তর দল। এ জয়ে সিরিজেও সমতায় ফিরল টাইগাররা (১-১)। এই মাঠে শনিবার সিরিজের মীমাংসা।
টস জিতে বোলিং বেছে নেয় বাংলাদেশ। পেসম্যান তাসকিন আহমেদ ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে আভিস্কা ফার্নান্দোকে ফেরালেও এরপর কুশল মেন্ডিস (৩৬), কামিন্দু মেন্ডিস (৩৭), চারিথ আসালঙ্কা (২৮), অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস (৩২) ও দাসুন শানাকা (২০) সফরকারীদের ভালো পুঁজি এনে দেন। লংকানরা ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৬৫ রান তোলে। তাসকিন আহমেদ, মেহেদী হাসান ও মুস্তাফিজুর রহমান একটি করে উইকেট নেন।
লক্ষ্যের পেছনে ছুটে ৬০ বলে ৮৬ রান তুলে নেয় আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ। বাকি ৬০ বলে প্রয়োজন ছিল ৮০ রান। হাতে ছিল ৮ উইকেট। এরপর শান্ত ও তাওহিদ হৃদয়ের দায়িত্বশীল ব্যাটিং বাংলাদেশকে সাবলীল এক জয় এনে দেয়।
বাংলাদেশের কাজটা সহজ করে দিয়ে যান লিটন দাস ও সৌম্য সরকার। দুজন মিলে ৪১ বলে ৬৮ রানের দারুণ এক জুটি গড়েন। ২২ বলে ৫ বাউন্ডারিতে ২৬ রান করে পেসার মাথিসা পাথিরানার বলে ম্যাথুসকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন সৌম্য। এরপর শান্তকে নিয়ে বোর্ডে ১৫ রান যোগ করে সাজঘরের পধ ধরেন লিটনও। ২৪ বলে ৫ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৩৬ রান করেন লিটন।
নবম ওভারের শেষ বলে ৮৩ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারায় বাংলাদেশ। লিটনের বিদায় সফরকারী লংকানদের মনে খানিকটা আশার সঞ্চার করলেও আশা পূরণ হতে দেননি শান্ত (৩৮ বলে ৫৩*) ও তাওহিদ (২৫ বলে ৩২*)। ৫৫ বলে ৮৭ রানের অবিচ্ছিন্ন এক জুটিতে বাংলাদেশকে ৮ উইকেট ও ১১ বল বাকি থাকতে জয় এনে দেন দুজন।
ঘরের মাঠে এটাই টি২০তে সফলতম চেজ বাংলাদেশের। আগের সেরা চেজ ছিল ২০১৬ সালে খুলনায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। জিম্বাবুয়ের ১৬৩ রান তাড়া করে বাংলাদেশ ৬ উইকেটে করেছিল ১৬৬ রান। এবার চেজের নতুন রেকর্ড গড়ল টাইগাররা।
এর আগে সিলেটে প্রথম টি২০ ম্যাচে জমজমাট লড়াই শেষে ৩ রানে হার মানে বাংলাদেশ। আজ জিতে সিরিজ জমিয়ে দিল বাংলাদেশ। শনিবার একই মাঠে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচ। এরপর চট্টগ্রামে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। একেবারে শেষে রয়েছে সিলেট ও চট্টগ্রামে দুটি টেস্ট ম্যাচ।
