খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটির ২৭ কেন্দ্র ভোটশূন্য

বণিক বার্তা প্রতিনিধি I রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি

খাগড়াছড়ির ১৯৬টি কেন্দ্রের মধ্যে ১৯টি এবং রাঙ্গামাটির ২১৩টির মধ্য আটটি কেন্দ্রে একটি ভোটও পড়েনি। গতকাল রাতে নিজ নিজ উপজেলায় নির্বাচনী ফল ঘোষণা কেন্দ্রে এ তথ্য জানানো হয়।

খাগড়াছড়ির পানছড়ি উপজেলার সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা অঞ্জন দাশ জানান, জেলার পানছড়ি উপজেলার ২৪ কেন্দ্রের ১১টি ভোটশূন্য এবং দক্ষিণ লতিবান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে একটি মাত্র ভোট পড়ে।

ভোটের ফল বিশ্লেষণে দেখা গেছে, দীঘিনালা উপজেলায় তিনটি কেন্দ্র ভোটশূন্য গেছে। আরো পাঁচটি কেন্দ্রে সব মিলিয়ে ১৮ জন ভোট দিয়েছেন। লক্ষ্মীছড়িতে ১২ কেন্দ্রের পাঁচটিতেই ভোট পড়েনি। এর মধ্যে বর্মাছড়ি ইউনিয়নের চারটি ও সদর ইউনিয়নের একটি কেন্দ্র রয়েছে।

আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, এসব কেন্দ্র মূলত প্রসিত খীসার নেতৃত্বাধীন আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের (ইউপিডিএফ) প্রভাবিত এলাকা। দলটির পক্ষ থেকে নির্বাচনে বাধা ও বিধিনিষেধের কারণেই এমন ঘটনা ঘটেছে।

ইউপিডিএফের সংগঠক অংগ্য মারমা সরকারি দলের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘সরকারের নীল নকশার নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছেন ভোটাররা। এটা জনগণের মৌন প্রতিবাদ।’

অন্যদিকে রাঙ্গামাটির কাউখালী ও বাঘাইছড়ি উপজেলার আটটি কেন্দ্রের কোনোটিতে একটিও ভোট পড়েনি। ওইসব কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা ১৫ হাজার ১৫৯ জন। সংশ্লিষ্ট উপজেলার রিটার্নিং কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কেন্দ্রগুলো হলো কাউখালী উপজেলার ফটিকছড়ি ইউনিয়নের নাভাঙ্গা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেখানে ভোটার সংখ্যা ৭৭৫ জন। ঘাগড়া ইউনিয়নের বর্মাছড়ি বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। ওই কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ১ হাজার ৬৬৫। এছাড়া পানছড়ি উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রের ভোটার সংখ্যা ২ হাজার ২৬ থাকলেও কেউ ভোট দেননি। কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার রক্তিম চক্রবর্তী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এছাড়া বাঘাইছড়ি উপজেলার বঙ্গলতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটার সংখ্যা ৩ হাজার ১৯২ জন, কিন্তু একটি ভোটও পড়েনি। সাজেক ইউনিয়নের ভাইবোনছড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটার ২ হাজার ১৪২ থাকলেও ভোট দিতে কেউ আসেনি। এছাড়া তুইচুই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১ হাজার ৯৪৮, কংলাক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১ হাজার ৮২৭ এবং শিয়ালদাইলুই সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১ হাজার ৫৮৪ জন ভোটার থাকলেও একটি ভোটও পড়েনি।

অভিযোগ রয়েছে, পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল ইউপিডিএফের ভোট বর্জনের কারণে ভোটার উপস্থিতি কম ছিল। আওয়ামী লীগ নেতাদের অভিযোগ, সাধারণ ভোটারকে ভয়ভীতি দেখিয়ে কেন্দ্রে না আসতে বাধ্য করেছে ইউপিডিএফ।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন