ছবি: নিজস্ব আলোকচিত্রী দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি বাড়ায় দুই সপ্তাহের ব্যবধানে জিরার দাম কমেছে কেজিতে ৬০ টাকা, যা এক সপ্তাহ আগে প্রতি কেজি ৮২০ টাকা বিক্রি হলেও বর্তমানে তা কমে ৭৬০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।
জিরা কিনতে আসা জিল্লুর রহমান বলেন, ‘কয়েকদিনের ব্যবধানে যে হারে জিরার দাম বেড়েছে, তাতে আমাদের মতো মানুষের জিরা কিনতে চরম অসুবিধার মধ্যে পড়তে হচ্ছিল। কয়েকদিনের ব্যবধানে কেজিতে ২০০ টাকা দাম বেড়ে গিয়েছিল। বর্তমানে দাম কিছুটা কমেছে। দাম যদি আরো কমে, তাহলে আমাদের জন্য খুব ভালো হতো।’
হিলি বাজারের মসলা দোকানি গোলাম মর্তুজা শিফাত বলেন, ‘গত ঈদের পর থেকেই জিরার দাম ঊর্ধ্বমুখী হতে শুরু করে। ৫৮০ টাকা কেজির জিরা দাম বাড়তে বাড়তে ৮২০ টাকায় গিয়ে দাঁড়িয়েছিল। সম্প্রতি বন্দর দিয়ে জিরা আমদানি হওয়ার ফলে বাজারে সরবরাহ বেড়েছে। যার কারণে দাম কমতে শুরু করেছে। দুই সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিপ্রতি ৬০ টাকা করে কমেছে দাম। বর্তমানে আমরা বন্দর থেকে ৭৫০ টাকা কেজি দরে জিরা ক্রয় করছি, যা দোকানে ৭৬০ টাকা কেজি দরে বিক্রি করছি।
হিলি স্থলবন্দরের জিরা আমদানিকারক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘অন্যান্য বছরের তুলনায় এবারে ভারতে প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে জিরার উৎপাদন খানিকটা ব্যাহত হয়েছে। যার কারণে ভারতের বাজারেই পণ্যটির চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম এবং দাম বেশি। সম্প্রতি ভারতের বাজারে জিরার কিছুটা দাম কম হওয়ায় বন্দর দিয়ে আমদানি বেড়েছে। এ কারণেই দাম কমতে শুরু করেছে।’
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, ‘হিলি স্থলবন্দর দিয়ে জিরার আমদানি অব্যাহত। মাঝে আমদানির পরিমাণ একেবারে কমে গিয়েছিল। সে তুলনায় বর্তমানে বেড়েছে। আগে বন্দর দিয়ে তিন-পাঁচ ট্রাক জিরা আমদানি হলেও বর্তমানে তা বেড়ে পাঁচ-সাত ট্রাকে উন্নীত হয়েছে। বন্দর দিয়ে গত মে মাসে ৬৪টি ট্রাকে ১ হাজার ৮১১ টন জিরা আমদানি হয়েছে। এতে সরকারের রাজস্ব আহরণ বেড়েছে।
