তীব্র গরমে ভারতে রেকর্ড মাত্রায় বাড়ছে চিনির চাহিদা

বণিক বার্তা ডেস্ক

ছবি : বণিক বার্তা ( ফাইল ছবি)

ভারতে চলতি বছর চিনির চাহিদা রেকর্ড সর্বোচ্চে পৌঁছার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। দেশটিতে অস্বাভাবিক তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং সাধারণ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে পণ্যটির ব্যবহার ব্যাপক হারে বাড়তে শুরু করেছে বলে জানিয়েছেন খাতসংশ্লিষ্টরা। রেকর্ড চাহিদার প্রভাবে পণ্যটির দামও বাড়বে লক্ষণীয় মাত্রায়। খবর রয়টার্স।

ভারত বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ চিনি উৎপাদন ও রফতানিকারক দেশ। বাজার পর্যবেক্ষকরা বলছেন, দেশটিতে চিনির চাহিদা ও মূল্যবৃদ্ধি আন্তর্জাতিক বাজারে বড় প্রভাব ফেলবে। এরই মধ্যে ভোগ্যপণ্যটির বৈশ্বিক বাজারদর ইতিহাসের সর্বোচ্চ পর্যায়ে অবস্থান করছে। ভারতে দাম বাড়লেও বৈশ্বিক দাম আরো ঊর্ধ্বমুখী হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।  

ভারতের আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে সম্প্রতি সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে রেকর্ড করা হয়েছে। তীব্র গরমে স্থানীয় মানুষের কাছে কোমল পানীয় ও আইসক্রিমের চাহিদা বাড়ছে ব্যাপক মাত্রায়। জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে প্রচার, প্রচারণা ও সভা-সমাবেশকে কেন্দ্র করেও এসব পণ্যের বাড়তি চাহিদা তৈরি হয়েছে। আর এসব পণ্যের প্রধান উৎপাদন উপকরণ হিসেবে চিনির ব্যবহারও বাড়ছে পাল্লা দিয়ে।  

এ বিষয়ে বলরামপুর চিনি মিলের নির্বাহী পরিচালক অবন্তিকা সারাওগি বলেন, ‘‌প্রচণ্ড গরমে নির্বাচনী সমাবেশগুলোয় আইসক্রিম এবং কোমল পানীয়ের ব্যবহার বেড়েছে। এ কারণে চিনির চাহিদাও বাড়ছে।’

এদিকে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ এক পূর্বাভাসে জানায়, জুনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত দেশটিতে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি তাপমাত্রা অনুভব হতে পারে। একটি গ্লোবাল ট্রেড হাউজের সঙ্গে যুক্ত মুম্বাইভিত্তিক ডিলার জানান, এপ্রিল-জুন পর্যন্ত ভারতে চিনির ব্যবহার বেড়ে ৭৫ লাখ টনে উন্নীত হতে পারে, যা গত বছরের একই সময়ের তুলনায় ৫ শতাংশ বেশি।

তবে চলতি বছর চিনির ব্যবহার অস্বাভাবিক বেড়ে যাওয়ার বিষয়টিকে সাময়িক বলে মনে করছেন ন্যাশনাল ফেডারেশন অব কো-অপারেটিভ সুগার ফ্যাক্টরিস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক প্রকাশ নায়েকনাভারে। তিনি বলেন, ‘‌চাহিদার এমন ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতায় চলতি বছর ভারতে মোট চিনি ব্যবহারের পরিমাণ দাঁড়াতে পারে ২ কোটি ৯০ লাখ টনে। তবে আগামী বছর চাহিদা বৃদ্ধি স্বাভাবিক গতিতে ফিরে আসবে।’

ভারতে চলতি মৌসুমের প্রথম সাড়ে ছয় মাসে চিনি উৎপাদন কমেছে। দেশটির কর্ণাটক রাজ্যে সবচেয়ে বেশি চিনি উৎপাদন হয়। সেখানকার মিলগুলোয় নিম্নমুখী উৎপাদন দেশটির মোট উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। ইন্ডিয়ান সুগার অ্যান্ড বায়ো এনার্জি ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন (ইসমা) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন