ত্রিমুখী চ্যালেঞ্জের মুখে দেশের অর্থনীতি —দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

নিজস্ব প্রতিবেদক

সিপিডির ফেসবুক লাইভ থেকে নেয়া ছবি। —বণিক বার্তা।

বাংলাদেশ ত্রিমুখী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে নিরবচ্ছিন্ন মূল্যস্ফীতি, দেশী-বিদেশী ঋণের ঝুঁকি এবং অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির মন্দা, যেখানে প্রান্তিক জনগোষ্ঠী সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ চ্যালেঞ্জগুলো নির্মূল করার জন্য কর্মসংস্থান, শিক্ষা, সামাজিক সুরক্ষা এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক সমাজে ফোকাস করা উচিত। 

ঢাকার গুলশানে গতকাল সিপিডি ও নাগরিক প্লাটফর্মের প্রাক-বাজেট সংলাপ ‘নতুন সরকার, জাতীয় বাজেট ও জনমানুষের প্রত্যাশা’ শীর্ষক আলোচনায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে এসব কথা বলেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশিষ্ট ফেলো এবং এসডিজি বাস্তবায়নে নাগরিক প্লাটফর্ম বাংলাদেশের আহ্বায়ক দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন। 

আয়োজনে বক্তারা বলেন, দেশে মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ শতাংশের বেশি, যা নিম্ন আয়ের মানুষের জীবনে বড় ধরনের নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। তাদের সঞ্চিত অর্থে টান পড়ছে, চাহিদামতো খরচ করতে পারছেন না। নিম্ন আয়ের পরিবারে বাল্যবিবাহের প্রবণতাও বেড়েছে। 

সিপিডির সম্মাননীয় ফেলো দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘অনিয়ন্ত্রিত মূল্যস্ফীতি মানুষের জীবনমানকে আঘাত করছে। আমরা গত বছর থেকে দেখছি আমাদের ঋণের ঝুঁকি বাড়ছে। সরকারের খরচ করার সক্ষমতা আরো সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে।’ 

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা এখন একটি চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির মধ্যে আছি যেখানে মূল্যস্ফীতি আকাশচুম্বী, বাড়ছে ঋণ ঝুঁকি, জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার নিম্নগামী। প্রান্তিক মানুষের বেশির ভাগই এর দ্বারা প্রভাবিত হচ্ছেন। তারা খাদ্য, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় করতে পারছেন না। অনেক জটিল পরিস্থিতিতে নতুন সরকারের অধীনে বাজেট আসছে।’ সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার ও এডিপিতে যেসব বিষয় রয়েছে, তা বাস্তবায়নের আহ্বানও জানান তিনি।

বাজেট সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটিকে নিয়মিত বৈঠক ও প্রয়োজনীয় সুপারিশ করার পরামর্শ দেয়া হয় আলোচনায়। তবে দুর্নীতি দূর করা না গেলে কোনো সুফল মিলবে না বলে মত দেন ব্যবসায়ী নেতা এ কে আজাদ এমপি। 

তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী এবার ইলেকশন ম্যানুফেস্টোতে বলেছেন দুর্নীতিতে জিরো টলারেন্স। এ জায়গায় যদি না যেতে পারি, তাহলে বাজেট যতই বৃদ্ধি করা হোক বা যা কিছুই করেন, কোনো কিছুই কাজে আসবে না।’ 

পরিকল্পিত আর্থিক ব্যবস্থাপনার জন্য আলোচকরা নিয়ম অনুযায়ী অর্থমন্ত্রীকে তিন মাস পরপর সার্বিক পরিস্থিতি সংসদে তুলে ধরার পরামর্শ দেন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন