বাগেরহাটে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবেলায় প্রস্তুত ৩৫৯টি আশ্রয়কেন্দ্র

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, বাগেরহাট

ছবি : বণিক বার্তা

বাগেরহাটে ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবেলায় ৩৫৯টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মোংলা উপকূলে সচেতনতামূলক মাইকিং করেছে কোস্টগার্ডের সদস্যরা। জরুরি কাজে অংশগ্রহণের জন্য প্রস্তুত রয়েছে ৩ হাজার ৫০৫ জন স্বেচ্ছাসেবক।

বাগেরহাট জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেন বলেন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করা হয়েছে। জেলায় ৩৫৯টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ ৩ হাজার ৫০৫ জন স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জরুরি ত্রাণ কার্যক্রমের জন্য ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা ও ৬৪৩ মেট্রিক টন চাল মজুদ রয়েছে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিজ নিজ কর্মস্থলে থাকার জন্য বলা হয়েছে। এরই মধ্যে জেলা, উপজেলা ও ইউনিয়ন পর্যায়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা করে সর্তক থাকতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদেরকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। বিপদ সংকেত জারি হলে তারা এলাকায় মাইকিংয়ের ব্যবস্থা করবেন। শুকনো খাবার, ওষুধ, ঢেউটিন ও নগদ টাকা প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া স্বাস্থ্য বিভাগ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস, পুলিশ, নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড ও পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রস্তুত রয়েছে।

এদিকে উপকূলে কোস্টগার্ডের সদস্যরা সচেতনতামূলক মাইকিং করছেন। শনিবার (২৫ মে) সকাল থেকে মোংলার বিভিন্ন স্থানে এ প্রচার মাইকিং করা হয়। মোংলা কোস্টগার্ড পশ্চিম জোনের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট মো. মুনতাসীর ইবনে মহসীন বলেন, সকাল থেকে সুন্দরবন লাগোয়া মোংলা উপকূলের ঝুঁকিপূর্ণ বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি ক্রমান্বয়ে একটি ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হওয়ার পূর্বাভাস রয়েছে। এরূপ প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে উপকূলীয় অঞ্চলের জনগণ, মৎস্যজীবী ও নৌযানগুলোকে ক্ষয়ক্ষতি থেকে রক্ষার জন্য বাংলাদেশ কোস্টগার্ড পশ্চিম জোন উপকূলীয় অঞ্চলে জনসচেতনতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে বলে তিনি জানান।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন