বাজেট ২০২৩-২৪ প্রতিক্রিয়া

প্রস্তাবিত বাজেট উচ্চাভিলাষী নয়, বরং সংস্কারমুখী —ড. আতিউর রহমান

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ও উন্নয়ন সমন্বয়ের সভাপতি ড. আতিউর রহমান মনে করেন, ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটটি উচ্চাভিলাষী নয়, বরং সংস্কারমুখী। তার মতে, ৫ লাখ কোটি টাকা রাজস্ব আয়ের লক্ষ্যমাত্রা এবং মূল্যস্ফীতি ৬ দশমিক ৫ শতাংশে ধরে রাখা খুবই চ্যালেঞ্জিং। তবে বিদ্যমান সামষ্টিক অর্থনৈতিক বাস্তবতায় এ চ্যালেঞ্জ নেয়ার বিকল্প ছিল না বলে তিনি অভিমত দেন। 

তিনি বলেন, ‘‌ঘাটতি অর্থায়ন ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে বাজেটারি উদ্যোগের পাশাপাশি মুদ্র্রানীতিতেও পদক্ষেপ থাকতে হবে। তাই বাজেট ও মুদ্রানীতির সুসমন্বয় নিশ্চিত করা একান্ত জরুরি।’ 

ঢাকায় উন্নয়ন সমন্বয় কার্যালয়ে গতকাল উন্নয়ন সমন্বয়ের আয়োজনে বাজেট পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে মূল নিবন্ধ উপস্থাপনের সময় তিনি এ কথা বলেন। উন্নয়ন সমন্বয়ের ইমেরিটাস ফেলো খন্দকার সাখাওয়াত আলীর সঞ্চালনায় মতবিনিময়ে আরো আলোচনা করেন সংস্থার লিড ইকোনমিস্ট রবার্ট শুভ্র গুদা এবং সিনিয়র রিসার্চ অ্যাসোসিয়েট শাহনাজ হীরা। 

ড. আতিউর বলেন, ‘করমুক্ত আয়ের সীমা ৩ লাখ টাকা থেকে বাড়িয়ে সাড়ে ৩ লাখ টাকা করায় মুদ্রাস্ফীতির চাপ থেকে কিছুটা স্বস্তি পাবেন অনেক নাগরিক। তবে ধনীদের সম্পদের ওপর করের সীমা ৩ কোটি থেকে ৪ কোটি টাকায় উন্নীত করা, শিক্ষার্থী ও শ্রমিকদের বিদেশ যাত্রায় বাড়তি করারোপের আওতায় রাখার মতো কিছু কর প্রস্তাব পুনর্বিবেচনার দাবি রাখে। আর করযোগ্য নন এমন ব্যক্তিদের জন্যও ন্যূনতম ২ হাজার টাকার করের প্রস্তাবটি রাজস্ব আয় এবং কর প্রদানের সংস্কৃতির প্রসারে সহায়ক হতেও পারে।’

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন