জাতিসংঘে বাংলাদেশের কমিউনিটি ভিত্তিক স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে একটি রেজ্যুলেশন সর্বসম্মতিক্রমে গৃহীত হয়েছে। বুধবার (১৭ মে) ঢাকায় এক তথ্য
বিবরণীতে জানানো হয়, জাতিসংঘ
সাধারণ পরিষদে রেজ্যুলেশনটি
উপস্থাপন করেন জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত
মোহাম্মদ আবদুল মুহিত। ৭০টি সদস্য রাষ্ট্র এই রেজ্যুলেশনটি
কো-স্পন্সর করে।
‘কমিউনিটিভিত্তিক
প্রাথমিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা : সার্বজনীন স্বাস্থ্য পরিষেবা অর্জনের লক্ষ্যে একটি
অংশগ্রহণমূলক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক পদ্ধতি’
শিরোনামের
এই রেজ্যুলেশনটি সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে বাংলাদেশে কমিউনিটি ক্লিনিকভিত্তিক
মডেল প্রাথমিক স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অসামান্য
উদ্ভাবনী নেতৃত্বকে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি দিয়েছে।
প্রস্তাবিত রেজ্যুলেশনটিতে জাতিসংঘের সদস্য রাষ্ট্রসমূহ কমিউনিটি ক্লিনিক
প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফল উদ্ভাবনী উদ্যোগের ব্যাপক স্বীকৃতি দিয়ে
এই উদ্যোগকে ‘দ্য শেখ হাসিনা
ইনিশিয়েটিভ’ হিসেবে উল্লেখ
করে। এটি জনগণের স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়ন এবং বৈশ্বিক স্বাস্থ্য সেবায় সাম্য
প্রতিষ্ঠায় বাংলাদেশের দৃঢ় প্রতিশ্রুতিকে প্রতিফলিত করে।
রাষ্ট্রদূত মুহিত তার বক্তব্যে সার্বজনীন স্বাস্থ্য পরিষেবা অর্জনে এই রেজ্যুলেশনের
ইতিবাচক প্রভাব তুলে ধরেন। এই রেজ্যুলেশনের অনুমোদনকে ২০৩০
সালের মধ্যে সার্বজনীন স্বাস্থ্য সেবা অর্জনের বৈশ্বিক প্রচেষ্টায় এক অবিস্মরণীয়
মাইলফলক হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি
বলেন, রেজ্যুলেশনটির
সফল বাস্তবায়ন কমিউনিটি ক্লিনিকভিত্তিক স্বাস্থ্য ব্যবস্থা প্রবর্তনের মাধ্যমে
বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের স্বাস্থ্য সেবার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন
করবে।
দেশের সকল মানুষকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আনার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা ১৯৯৮ সালে বাংলাদেশে এই অনন্য কমিউনিটি ক্লিনিকভিত্তিক স্বাস্থ্য
ব্যবস্থা চালু করেছিলেন যা সারা দেশের তৃণমূল পর্যায়ের মানুষের দোরগোড়ায় সরকারের
প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার সুফল সরবরাহে বিপ্লব ঘটিয়েছে। মানুষকে নিরবচ্ছিন্ন
স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের লক্ষ্যে সরকার এ পর্যন্ত সারা দেশে পাবলিক-প্রাইভেট
অংশিদারিত্বে ১৪ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেছে। প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রায় এই স্বীকৃতি আন্তর্জাতিক
অঙ্গনে আমাদের ভাবমূর্তি আরো উজ্জ্বল করবে।
জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশনের পক্ষ থেকে রেজ্যুলেশনটি সদস্য রাষ্ট্রের সঙ্গে নেগোশিয়েশন করেন উপ-স্থায়ী প্রতিনিধি ডা. মো. মনোয়ার হোসেন।