সিস্টেমের ত্রুটির কারণেই মালয়েশিয়া যেতে ৪ থেকে সাড়ে ৪ লাখ টাকা খরচ লাগছে বলে জানিয়েছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থানমন্ত্রী ইমরান আহমদ।
গতকাল রাজধানীর আগারগাঁও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিট (রামরু) আয়োজিত ‘অভিবাসন ও সোনার মানুষ সম্মিলন-২০২৩’ শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
ইমরান আহমদ বলেন, ‘মালয়েশিয়ার ক্ষেত্রে আমরা তো হিসাব করে দেখেছি যে অভিবাসন ব্যয় ৮০ হাজার টাকার মধ্যে হওয়া উচিত। মালয়েশিয়া বলছে, জিরো মাইগ্রেশন কস্ট। তারাই এটা বলে গেছে। তাহলে এখন শুনতে পারছি ৪ লাখ, সাড়ে ৪ লাখ টাকা দিতে হচ্ছে। কেন? কারণ সিস্টেমেই ফল্ট (অব্যবস্থাপনা) আছে। আর সিস্টেমের মধ্যে আমাদের সব রিক্রুটিং এজেন্ট অন্তর্ভুক্ত আছে। সেই জায়গায় আমরা গিয়ে আটকে যাই। এখানে সবার সহযোগিতা থাকা উচিত।’
তিনি আরো বলেন, ‘সবারই কিন্তু একই চিন্তাভাবনা থাকতে হবে যে আমরা অভিবাসন ব্যয় কমাব। একজনও যদি বলে আমি অন্য লাইনে চলব, তাহলে পুরো প্রক্রিয়া ব্যর্থ হবে। যা-ই হোক আমরা চেষ্টায় আছি। সদিচ্ছা থাকলে সবই সম্ভব। সিস্টেমের কস্টের ক্ষেত্রে আমাদের রিক্রুটিং এজেন্টের দোষ নেই। খরচের ঝামেলা সবই মালয়েশিয়ায়।’
বাংলাদেশ কী ধরনের পদ্ধতিগত পরিবর্তন চাচ্ছে, এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা চাচ্ছি আমাদের যে সিস্টেম আছে, সেটার সঙ্গে মালয়েশিয়ার ইন্টারলিংক করতে। এটি প্রস্তাবের পর্যায়ে আছে, এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সর্বশেষ তারা জানিয়েছেন আমাদের প্লাটফর্মের সঙ্গে তারা লিংক করবে। ‘আমি প্রবাসী’ অ্যাপে একবার লিংক হয়ে গেলে আমরা ট্র্যাক করতে পারব কোথায় কী গণ্ডগোল হচ্ছে।’
অভিবাসন ও সোনার মানুষ সম্মিলনে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে মোট আট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে সম্মাননা দেয় রামরু। টাঙ্গাইলের মো. নাজমুল তালুকদার, কুমিল্লার মো. নুরুদ্দিন আহমেদ ও ঢাকার কেরানীগঞ্জে হাজী মো. সলিম উল্লাহকে সোনার মানুষ সম্মাননা এবং টাঙ্গাইলের এক অভিবাসী কর্মীর স্ত্রী উম্মে হাবীবা ও ময়মনসিংহের আরেক অভিবাসী কর্মীর স্ত্রী শিউলী ইসলামকে অভিবাসী পরিবার সম্মাননা দেয়া হয়।