২০২৪ সাল থেকে সৌদি আরবে উৎপাদিত হবে বেক্সিমকোর ওষুধ

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছবি: উপদেষ্টার দপ্তর

আগামী বছর থেকে সৌদি আরবে ওষুধ উৎপাদন শুরু করবে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। আজ রোববার (১২ মার্চ) প্রধানমন্ত্রী বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টার দপ্তরের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। 

বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশ ও সৌদি যৌথ বিনিয়োগে বাংলাদেশী ওষুধ কোম্পানি বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস আগামী বছর থেকে সৌদি আরবে উৎপাদন শুরু করবে। প্রয়োজনীয় জনবল ও কারিগরি সহায়তা বাংলাদেশ থেকে নেয়া হবে বলেও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

এর আগে গতকাল বিকেলে সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী ড. মাজিদ বিন আবদুল্লাহ আল কাসাবির নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল নিয়ে বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রি পরিদর্শনে আসেন সালমান এফ রহমান। 

পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সালমান এফ রহমান বলেন, আমরা শতভাগ মানসম্পন্ন ঔষধ তৈরির চেষ্টা করি। কারণ ওষুধ রফতানির ক্ষেত্রে আমাদের আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রক্রিয়া মেনে চলতে হয়। যে কারণে বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ঔষধের ওপর মানুষের একটা আস্থা তৈরি হয়েছে। তারা বলছেন, বাংলাদেশের ঔষধ মানসম্মত। শুধু মানসম্মতই নয়, অন্যান্য দেশের তুলনায় দামও বেশ পরিমিত।

প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা মনে করেন, ‘বাংলাদেশের ওষুধ শিল্পের বিকাশ ভালো এবং এরই মধ্যে সারাবিশ্বে আমাদের একটা ভালো অবস্থান তৈরি হয়েছে। সরকার ওষুধ শিল্পপার্ক স্থাপন করে দিচ্ছে। খুব শিগগিরই সেখানে ওষুধের কাঁচামাল উৎপাদন হবে। ফলে এ শিল্পের বিকাশ আরও সহজ হবে।’

চলমান ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট ২০২৩’-এ যোগ দিতে গত ১০ মার্চ ঢাকায় আসেন সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী।

গতকাল বিকেলে গাজীপুরের বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যাল পরিদর্শন শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন সৌদি প্রতিনিধি দল। 

মাজিদ বিন আবদুল্লাহ আল কাসাবি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ এখনো কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে পৌঁছায়নি। আমরা সফরের মধ্য দিয়ে দুই দেশে বাণিজ্যিক সম্পর্ককে খুঁজে দেখব। এছাড়া তথ্য প্রযুক্তি, যোগাযোগ ও জনশক্তি রফতানিতে আমাদের সম্ভাবনাগুলোকে কাজে লাগাতে চাই।’ 

বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসকে বিশ্বমানের ওষুধ প্রস্তুতের কারখানা উল্লেখ করে সৌদি বাণিজ্যমন্ত্রী জানান, বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস উন্নত সব প্রযুক্তি ব্যবহার করে ওষুধ উৎপাদন করছে। 

বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান পাপন জানান, যৌথ বিনিয়োগে সৌদিতে এ কারখানা নির্মাণ হচ্ছে। তবে এর বেশিরভাগই অর্থ বাংলাদেশের। আর ওখানে প্রায় ৩০ ধরনের ওষুধ তৈরি করা হবে। 

বাংলাদেশ নিজেদের চাহিদা মিটিয়ে পৃথিবীর ১৬০টি দেশে ওষুধ রফতানি করছে। ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১-২২ অর্থবছরে ১৮ কোটি ৮৭ লাখ ৮০ হাজার ডলারের ওষুধ রফতানির হয়েছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন