
মার্কিন সংবাদ সংস্থা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস সম্প্রতি তাদের ভাষারীতি
থেকে একটি নিয়ম উদ্ধৃত করে টুইট করেছে। টুইটে এপি স্টাইলবুক সাংবাদিকদের ‘দ্য ফ্রেঞ্চ’ শব্দগুচ্ছ
লিখতে নিরুৎসাহিত করেছে। এ নিয়ে ইন্টারনেট দুনিয়ার ব্যাপক সমালোচনার পর টুইটটি মুছে দিয়েছে তারা।
প্রসঙ্গত,
এপি স্টাইলবুককে লেখকদের জন্য বিশেষ করে সাংবাদিকদের জন্য
যুক্তরাষ্ট্রের সেরা ভাষারীতি বলে মনে করা হয়।
টুইটে এপি সাংবাদিকদের উদ্দেশে বলেছে, তারা মনে করে, দ্য ডিসঅ্যাবলড (অক্ষম), দ্য পুওর (দরিদ্র), দ্য ফ্রেঞ্চ ইত্যাদি শব্দগুচ্ছে ‘দ্য’ ব্যবহার করা
ঠিক নয়। এক্ষেত্রে বিষয়গুলো অমানবিক (ডিহিউম্যানাইজিং) অর্থবোধক মনে হতে পারে।
এ নিয়ে তাদের সঙ্গে রসিকতা করতে ছাড়েনি যুক্তরাষ্ট্রে ফরাসি দূতাবাসও।
দূতাবাস মজা করে তাদের নাম পরিবর্তন করে লিখেছে, ‘অ্যাম্বাসি অফ ফ্রেঞ্চনেস ইন দ্য
ইউনাইটেড স্টেটস’।
দূতাবাসের মুখপাত্র প্যাসকেল কনফাভরেক্স নিউইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, “আমরা শুধু
ভাবছিলাম, ‘দ্য’ না হয় নাই লিখলাম, কিন্তু লিখবটা কী!"
লেখক সারা হায়দারও মজা করে বলেছেন, ‘একজন ফরাসি হওয়ার চেয়ে অমানবিক আর কী
হতে পারে। এতদিন বরং একটি ভালো শব্দ অমানবিকতার পাশে বসে ছিল।’
তবে পরে এ সংক্রান্ত টুইটটি মুছে ফেলেছে এপি। অবশ্য এর আগেই এটি ২ কোটি ভিউ এবং প্রায় ১৮ হাজার রিটুইট হয়ে গেছে।
টুইটটি সরিয়ে ফেলার পর এপি লিখেছে, সম্পূর্ণ ভিন্ন উদ্দেশে তাদের এ মতামত। ফরাসিদের আঘাত করার উদ্দেশে তারা এ কথা বলেনি। তারা লিখেছে, ‘এর বদলে ফ্রেঞ্চ পিপল বা ফ্রেঞ্চ সিটিজেন বলা যেতে পারে।’
টুইটে তারা বলেছে, আমরা দ্য পুওর, দ্য মেন্টালি ইল (মানসিক ভারসাম্যহীন), দ্য ওয়েলদি (ধনী), দ্য ডিসঅ্যাবলড, দ্য কলেজ এডুকেটেড (কলেজ পড়ুয়া) ইত্যাদি শব্দগুলোর সঙ্গে ‘দ্য’ ব্যবহার করতে নিরুৎসাহিত করে থাকি। ‘দ্য পুওরের’ চেয়ে ‘পিপল উইথ ইনকামস বিলো দ্য পোভার্টি লাইন (দরিদ্রসীমার নিচে আয় করা মানুষ) বলাই বেশি সুন্দর।