সংলাপে বক্তারা

ভারতের সঙ্গে বাণিজ্যবহির্ভূত সম্পর্কে গুরুত্ব দিতে হবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্কে বাণিজ্যটাই সবচেয়ে বেশি প্রধান্য পায়। অথচ প্রতিবেশী দুই দেশের বাণিজ্যবহির্ভূত সম্পর্ককে আরো বেশি প্রাধান্য দেয়া উচিত বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। একই সঙ্গে বিরাজমান সীমান্ত, রোহিঙ্গা, ভিসা সমস্যাগুলোকে প্রাধান্য দিতে হবে। দুই দেশের মানুষে-মানুষে সম্পর্ক তৈরি করতে হবে। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে গতকাল বাংলাদেশ ভারতের মধ্যে সম্পর্ক নিয়ে আয়োজিত এক সংলাপে তারা মত দেন। বেসরকারি গবেষণাপ্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম), সাউথ এশিয়ান ইনস্টিটিউট অব পলিসি অ্যান্ড গভর্ন্যান্স (এসআইপিজি) নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় যৌথভাবে সংলাপের আয়োজন করে।  

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন এশিয়া কনফ্লুয়েন্সের প্রধান নির্বাহী সব্যসাচী দত্ত, সানেমের নির্বাহী পরিচালক . সেলিম রায়হান, এসআইপিজির অধ্যাপক শহিদুল হক, রিসার্চ অ্যান্ড ইনফরমেশন সিস্টেস ফর ডেভেলপিং কান্ট্রিজের অধ্যাপক . প্রবীর দে, মেট্রোপলিটন চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের সভাপতি মো. সাইফুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক বিভাগের অধ্যাপক . ইমতিয়াজ আহমেদ . আমেনা মহসিনা, বাংলাদেশ এন্টারপ্রাইজ ইনস্টিটিউটের বোর্ড সদস্য বিশিষ্ট ফেলো সাবেক রাষ্ট্রদূত ফারুক সোবহান।

আসাম, গুয়াহাটি, মনিপুরসহ আরো কিছু উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্য বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরিতে আগ্রহী বলে জানান সব্যসাচী দত্ত। তিনি বলেন, বাংলাদেশের সঙ্গে পাবলিক পারসেপশন কমিউনিকেশন নিয়ে আমরা কাজ করছি, যেটি দুই দেশের যোগাযোগকে আরো সহজ সমৃদ্ধ করবে। পাশাপাশি দুই দেশের মধ্যে আঞ্চলিক দিক থেকেও সম্পর্কোন্নয়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। এরই অংশ হিসেবে ভারত-আসিয়ান-বাংলাদেশ সম্পর্ক তৈরিতে আমরা কাজ করছি, যেটি বাংলাদেশের জন্য মঙ্গলজনক হবে। 

দুই দেশের মধ্যে উন্নত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক চান জানিয়ে মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, দুই দেশের মধ্যে ৪০ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য গ্যাপ রয়েছে। বাংলাদেশ মাত্র বিলিয়ন ডলার রফতানি করে ভারতে। এটি বিলিয়ন ডলারে পৌঁছতে পারত। এক্ষেত্রে পাট পাটজাত পণ্যের ওপর অ্যান্টি-ডাম্পিং আরোপ বাণিজ্যে বাধা হিসেবে কাজ করছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন