দুদক আইনজীবীদের হাইকোর্টের প্রশ্ন

অর্থশালীরা কি ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবে

নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থ আত্মসাতের একটি মামলার শুনানির মধ্যেই দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবীকে হাইকোর্ট বলেছেন, আপনারা চুনোপুঁটি ধরছেন। যারা অর্থশালী, ক্ষমতাবান, তারা কি ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবে? এদের ধরবে কে? বেসরকারি একটি ব্যাংক থেকে ১১০ কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় দুই আসামির জামিন বাতিল প্রশ্নে রুল শুনানিতে গতকাল হাইকোর্ট প্রশ্ন রাখেন। বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার বিচারপতি খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে শুনানি হয়।

আদালতে দুদকের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান এমএ আজিজ খান। দুই আসামির পক্ষে আইনজীবী মো. জিয়াউল হক রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন অংশ নেন। শুনানিতে দুদক আইনজীবীদের উদ্দেশে হাইকোর্ট বলেন, ১১০ কোটি টাকা নিয়ে যাওয়ার অভিযোগে ২০১৩ সালে এজাহার হলো। ২০১৫ সালে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এদের কেন ধরতে পারছেন না? এদের ধরবে কে? আপনারা ধরছেন চুনোপুঁটি। এতে কী বোঝা যায়; যারা অর্থশালী, ক্ষমতাবান, তাদের বিরুদ্ধে মামলা (বিচার) হবে না। এরা কি ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবে? সময় দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, অবশ্যই দুদকের ধরা উচিত, এদের ধরবে।

পরে দুদকের আইনজীবীর উদ্দেশে আদালত বলেন, ২০১৮ সালের অধিক তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারিক আদালত। বছরের পর বছর চলে গেছে। অধিক তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল হয়নি, এখনো অভিযোগপত্রও হয়নি। বিষয়টি সিরিয়াসলি দেখবেন, নিয়ে দুদক চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা বলবেন। ২০১৩ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্তনয় বছর চলে গেছে। এরা কি ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকবে? কেন প্রতিবেদন দেয়া হচ্ছে না? একপর্যায়ে ওই দুই আসামির আইনজীবী মো. জিয়াউল হক বলেন, আমরা তো নিম্নস্তরের ব্যাংকার। আদালত বলেন, মামলার প্রধান আসামি খাজা সোলায়মান কে? তখন খুরশীদ আলম খান বলেন, বিসমিল্লাহ গ্রুপের, উনি পলাতক। এক মামলায় তার সাজাও হয়েছে। তাকে ধরতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড অ্যালার্ট জারি করতে আদালতের আদেশ আছে।

শুনানির একপর্যায়ে অ্যাটর্নি জেনারেল এএম আমিন উদ্দিনকে আদালত বলেন, দেখেন মামলার অবস্থা। ২০১৩ সালের মামলায় এখনো অভিযোগপত্র হয়নি, প্রতিবেদন দেয়নি। বিষয়ে দুদক চেয়ারম্যানের সঙ্গে অ্যাটর্নি জেনারেলকে কথা বলতে বলেন আদালত।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন