যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক

বণিক বার্তা ডেস্ক

প্রতিদ্বন্দ্বীরা নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়ায় যুক্তরাজ্যের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন ঋষি সুনাক। এর আগে নিজের অক্ষমতা প্রকাশ করে সরে দাঁড়ান বরিস জনসন। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর মতে, ব্রিটিশ রাজনৈতিক ইতিহাসের সবচেয়ে টালমাটাল সময় পেরিয়ে তার পক্ষে আর নিজের দলকে একত্রিত করা সম্ভব হবে না। প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে গেছেন পেনি মরডান্টও। ঋষি সুনাকের প্রতি শুভকামনা জানিয়ে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন পেনি। তার পরই প্রধানমন্ত্রী পদে নিশ্চিত হয় ঋষি সুনাকের নাম। সূত্র রয়টার্স।

৪২ বছর বয়সী ঋষি সুনাক দেশটির সাবেক অর্থমন্ত্রী। দেশটির শতবছরের ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী প্রধানমন্ত্রীও হতে যাচ্ছেন তিনি। তবে কবে থেকে ঋষি আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করবেন তা জানা যায়নি। দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক অর্থনৈতিক অস্থিরতায় ভোগা দেশটিতে স্থিতিশীলতা আনার জন্য তিনি কাজ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ধারণা করা হচ্ছে, প্রধানমন্ত্রিত্ব পাওয়ার পরই ব্রিটেনের আর্থিক খ্যাতি পুনরায় ফিরিয়ে আনার জন্য খরচ কমানোর দিকে নজর দেবেন ঋষি। কেননা জ্বালানি খাবারের বর্ধিত দামের কারণে দেশটি ধীরে ধীরে মন্দার দিকে ঢলে পড়ছে। এর আগে কনজারভেটিভ পার্টির নেতৃত্ব দেয়া তারপর প্রধানমন্ত্রী হওয়ার প্রার্থিতা ঘোষণা করে এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতেও ঋষি বলেছিলেন, যুক্তরাজ্য একটি অসাধারণ দেশ কিন্তু আমরা গভীর অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছি।

২০১৬ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে যাওয়ার জন্য ভোটগ্রহণের পর থেকেই এক ধরনের স্থায়ী সংকটে পতিত হয় ব্রিটেন। ব্রেক্সিট ভোটের জন্য সুপরিচিত মুখ বরিস জনসন ২০১৯ সালে তুমুল বিজয়ের মধ্য দিয়ে দলের নেতৃত্বে আসেন। তারপর তিন বছরেরও কম সময়ে বেশকিছু কেলেঙ্কারির মুখে পদত্যাগ করেন তিনি। দায়িত্ব গ্রহণ করেন তার উত্তরসূরি লিজ ট্রাস। মাত্র ৪৪ দিনের মাথায় দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার কথা জানান তিনি। দেশের অর্থনৈতিক বিশ্বাসযোগ্যতাকে ক্ষতির মুখে ফেলার মতো আর্থিক নীতি প্রণয়নের কারণে সমালোচনার মুখে পড়েন ট্রাস, পদত্যাগ করেন তারই জেরে। তার পরই প্রধানমন্ত্রী হিসেবে উঠে আসে ঋষি সুনাকের নাম।

যুক্তরাজ্যের প্রথম ভারতীয় বংশোদ্ভূত ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক। তবে তিনি কীভাবে ব্রিটেন পরিচালনা করবে সেই বিষয়ে এখনো কোনো মন্তব্য জানাননি। তিনিই এখন মতাদর্শ দ্বারা পরিচালিত একটি দলের নেতৃত্ব দেবেন। কিন্তু কিছু কিছু আইনপ্রণেতা এখনো গত গ্রীষ্মে বরিসের পদত্যাগের পেছনে তাকেই কারণ হিসেবে দায়ী করছেন এবং মন্ত্রী পর্যায়ে বিদ্রোহের সূত্রপাতও করছেন।

কভিড-১৯ মহামারীকালে বরিস জনসনের প্রধানমন্ত্রিত্বে ৩৯ বছর বয়সে অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পান ঋষি সুনাক। সেই সময়ে তার প্রণয়ন করা ফার্লো স্কিমের সফলতা সবার মনোযোগ আকর্ষণ করে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ১৯৬০ সালে যুক্তরাজ্যে চলে যায় ঋষি সুনাকের পরিবার। অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক সম্পন্ন করার পর তিনি স্ট্যানফোর্ডে পড়াশোনা করেন। তার স্ত্রীর নাম অক্ষতা মূর্তি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন