ইসি যা বলবে সরকার তা মানতে বাধ্য —নির্বাচন কমিশনার আলমগীর

নিজস্ব প্রতিবেদক

নির্বাচন কমিশন (ইসি) যা বলবে সাংবিধানিকভাবে সরকার তা মানতে বাধ্য বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর। তিনি বলেছেন, আচরণবিধি ভঙ্গের বিষয় আমলে নিয়ে প্রত্যেক জেলা প্রশাসক পুলিশ সুপারদের চিঠি দেয়া হয়েছে। সেই দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে। রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশন ভবনে গতকাল সাংবাদিকদের নির্বাচন কমিশনার আলমগীর কথা বলেন। তার আগে জাতীয় পার্টির একটি প্রতিনিধি দল প্রধান নির্বাচন কমিশনারের (সিইসি) সঙ্গে সাক্ষাৎ করে।

নির্বাচন কমিশনার আলমগীর বলেন, জেলা পরিষদ গাইবান্ধা- আসনের উপনির্বাচনে সংসদ সদস্যসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের আচরণবিধি মানতে বাধ্য করতে ক্ষমতাসীন দলকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গাইবান্ধা জেলা পরিষদ নির্বাচনে যে অনিয়ম হয়েছে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নিতে জেলা প্রশাসককে নির্দেশনা দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার রাশেদা সুলতানা। কমিশন আচরণবিধি লঙ্ঘন মেনে নিতে রাজি নয়। প্রশাসন আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবে। আর তারা (প্রশাসন) যদি সেটা নিতে ব্যর্থ হয়, তবে আমরা আইন প্রয়োগ করতে পিছপা হব না। সে যে- হোক না কেনঅতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হন আর ভোটারই হন, প্রার্থী হোক বা যে- হোক না কেন, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

বৈঠকে সিইসির কাছে অনুষ্ঠেয় নির্বাচন নিয়ে কিছু সুনির্দিষ্ট অভিযোগ তুলে ধরেছেন জানিয়ে জাপা মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল একজন ভালো মানুষ। তিনি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন। তাই কয়েকদিনের মধ্যে ওনারা কী করেন সেটা দেখব। ইভিএম ফল উল্টে দেয়ার মতো একটা মেশিন বলে পাবলিক পারসেপশন রয়েছে। এক্ষেত্রে মেশিনের দোষ নেই, মেশিন যারা চালায় তাদের দোষ। কাজেই ইভিএমে নির্বাচনের বিষয়ে আমাদের সবসময়ই আপত্তি। আমরা ইভিএমে নির্বাচন চাই না। মেশিনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতেই গাইবান্ধা- আসনের উপনির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। আপত্তি সত্ত্বেও গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে ধরে রাখার জন্য নির্বাচনে গেলাম। আর আগামী নির্বাচনে কী করব সেটা পরিস্থিতির ওপর সিদ্ধান্ত নেব। আমরা ভোট বর্জনের রাজনীতি করি না।

জাতীয় পার্টির অভিযোগের বিষয়ে মো. আলমগীর বলেন, আমরা এরই মধ্যে ডিসি-এসপিকে নির্দেশ দিয়েছি তদন্ত রিপোর্ট দেয়ার জন্য। রিপোর্ট পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেব। আমরা কড়া নির্দেশ দিয়েছি সংসদ সদস্যরা যদি নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেন, তাহলে তাদের বলতে যে আপনি নির্বাচনী এলাকায় থাকতে পারবেন না। কেননা সংসদ সদস্যরা তো জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটার নন। অতএব, ভোটার হিসেবে থাকারও কোনো সুযোগ নেই। আর সরকারি দলের প্রতি আবেদন হচ্ছে, তারা দেশ চালায়। তারা বিধি মানতে আরো বাধ্য। আমরা যেটা বলব সাংবিধানিকভাবে সেটা মানা তাদের দায়িত্ব। সংসদ সদস্যসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের বার্তা দিয়েছি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন