সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল

ক্ষমতায় গেলে কুইক রেন্টাল বাতিল করবে বিএনপি

নিজস্ব প্রতিবেদক

বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতে সৃষ্ট সংকটের জন্য সরকারের দুর্নীতি, আত্মঘাতী চুক্তি অপরিণামদর্শী পরিকল্পনাকে দায়ী করেছে বিএনপি। আগামীতে ক্ষমতায় গেলে বিদ্যুৎ জ্বালানির দ্রুত সরবরাহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইন, রেন্টাল-কুইক রেন্টাল কোম্পানির সঙ্গে করা চুক্তি বাতিলসহ মোট ১২ দফা পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল দলের চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতের সার্বিক অবস্থা তুলে ধরতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।

মির্জা ফখরুল বলেন, অনেক কোম্পানি কুইক রেন্টাল পাওয়ার প্লান্টের মাধ্যমে অর্থ নিয়ে যাচ্ছে। এসব ছিল কুইক রেন্টালের নামে কুইক লুটপাট। তবে আমাদের আশার বাণী হচ্ছে, আমরা বিদ্যুতের সমস্যার সমাধান করব। আমরা বিদ্যুৎ জ্বালানি দ্রুত সরবারহ বৃদ্ধি (বিশেষ বিধান) আইনসহ সব কালাকানুন বাতিল করব। রেন্টাল-কুইক রেন্টাল কোম্পানির সঙ্গে সব চুক্তি বাতিল করা হবে। স্বচ্ছ প্রতিযোগিতামূলক আন্তর্জাতিক টেন্ডারের মাধ্যমে বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ অন্যান্য কাজ সম্পাদন করা হবে। চাহিদা অনুযায়ী পাওয়ার প্লান্ট স্থাপনের জন্য মধ্য দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা করা হবে। উৎপাদনের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন বিতরণ লাইন অতি দ্রুত স্থাপন করা হবে। বাপেক্স অন্যান্য সরকারি সংস্থার মাধ্যমে দেশীয় খনিজ গ্যাস উত্তোলনের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ এবং দেশীয় প্রকৌশলী সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোকে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে দক্ষ করে তুলতে উপযুক্ত উদ্যোগ নেয়া হবে।

খনিজ পদার্থ উত্তোলনের পরিকল্পনা তুলে ধরে বিএনপি মহাসচিব বলেন, বঙ্গোপসাগরে সম্ভাবনাময় গ্যাস, পেট্রোলিয়াম অন্যান্য খনিজ পদার্থ উত্তোলনে দ্রুত কার্যকরী ব্যবস্থা নেয়া হবে। পাশাপাশি বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতের সব দুর্নীতি-অনিয়মের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তি, জীবাশ্ম জ্বালানিনির্ভরতা কমিয়ে ক্রমান্বয়ে মোট উৎপাদনের ৫০ শতাংশ নবায়নযোগ্য শক্তিনির্ভর জ্বালানি নীতি গ্রহণ, বেজ লোড পাওয়ার প্লান্ট স্থাপনের মাধ্যমে স্বল্প ব্যয়ে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যবস্থা গড়ে তোলা, বৃহৎ বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোর সংস্কার করা হবে।

সময় দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ঘোষিত ভিশন-২০৩০-তে বিদ্যুৎ জ্বালানি খাতের উন্নয়নের কর্মসূচি বাস্তবায়ন করার কথাও তুলে ধরেন বিএনপি মহাসচিব।

মির্জা ফখরুল বলেন, গ্যাস উত্তোলনের সক্ষমতা না বাড়িয়ে আইপিপির মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে ক্যাপাসিটি চার্জের বোঝা অন্যায়ভাবে জনগণের ওপর চাপিয়ে দেয়া হচ্ছে। সরকার উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ১০ বছরে অফশোর গ্যাস উত্তোলনের সম্ভাবনাকে কাজে লাগায়নি। এমনকি বিদ্যমান গ্যাসক্ষেত্রগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ সংস্কারের মাধ্যমেও বর্তমান পরিস্থিতিতে ২০ শতাংশের বেশি গ্যাস সরবরাহ করা যেত, তাও করা হয়নি। সময় পায়রা বিদ্যুৎকেন্দ্রকে সরকারের অদূরদর্শী পরিকল্পনার অংশ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন