শিক্ষা পরিকাঠামো

স্মার্ট ক্যাম্পাস স্থাপনে প্রয়োজন দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন

সজল চৌধুরী

দৈনিক বণিক বার্তায় গত ৩০ জুলাইঅপরিকল্পিতভাবে গড়ে উঠছে নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়শিরোনামে যে প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে সেটি দেখে সত্যিই আঁতকে উঠতে হয়! যা বর্তমান ডিজিটাল বাংলাদেশের মানোন্নয়নে মোটেই কাম্য নয়। বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে দেশে যখন চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের বিকাশের প্রচেষ্টা চলছে জোর গতিতে, ঠিক তখনই নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবকাঠামোগত উন্নয়নের যে চিত্র ফুটে উঠেছে সেটি সত্যিই ভয়াবহ। বিশেষ করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে এমনটা ভাবা দুষ্কর! এভাবে চলতে থাকলে হয়তো শিক্ষার্থীরা একসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ শেষ করবে ঠিকই কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের সেই পরিবেশ থেকে জ্ঞান আহরণের যে আনন্দ-প্রাণপ্রাচুর্য সেটি কখনই উপলব্ধি করতে পারবে না শিক্ষার্থী। তাদের মস্তিষ্কের একটি জায়গা -সম্পর্কিত অন্ধকারে থেকে যাবে। বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের তথ্যমতে, দেশে বর্তমানে মোট সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ৫২। তার মধ্যে পুরনো বিশ্ববিদ্যালয়গুলো বাদ দিলে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর প্রায় সবকটির অবস্থা একই। কারো কারো ক্ষেত্রে হয়তো এখন পর্যন্ত জমি অধিগ্রহণ হয়নি। আবার কারো কারো ক্যাম্পাস তো দূরের কথা তাদের নিজস্ব কোনো একাডেমিক ভবন পর্যন্ত নেই। এমনকি অনেক ক্ষেত্রে দেখা গিয়েছে, শুধু প্রভাষক দিয়েই একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিভাগ চলছে। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় নতুন যে ভবনগুলো একের পর এক তৈরি হচ্ছে, অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় স্থাপত্যের বিচারে সেগুলো প্রায় ভারসাম্যহীন। অথচ প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য একটি কম্প্যাক্ট মাস্টারপ্ল্যান থাকা অত্যন্ত জরুরি। কমপক্ষে আগামী ৩০-৫০ বছরের জন্য। আবার এমনো দেখা গেছে, মাস্টারপ্ল্যান ঠিকই আছে কিন্তু উন্নয়নের সময় সেগুলোকে আর মানা হচ্ছে না। তাই আমাদের দেশীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্ষেত্রে স্থাপত্য রীতি-নীতি এবং পরিকল্পনার ক্ষেত্রে এখনো অনেক পিছিয়ে রয়েছি আমরা। যদি সময়ে এসে কাউকে জিজ্ঞাসা করি আধুনিক একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস কেমন কিংবা কোনটি? এর উত্তরে খুব বেশিসংখ্যক প্রতিষ্ঠানের নাম পাওয়া যাবে না। অথচ বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অবকাঠামোগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রতি বছর একটি বড় অর্থ বরাদ্দ থাকে। বিশ্ব র্যাংকিংয়ে যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো সামনের সারিতে আছে সেগুলোর ক্যাম্পাসের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের তুলনা করলে সহজেই পার্থক্যটি ধরা পড়ে।

দেশে বিভিন্ন ধরনের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। যেমন সাধারণ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, বিশেষায়িত বিশ্ববিদ্যালয়, প্রযুক্তি এবং প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ইত্যাদি। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ধরন অনুযায়ী এবং সেখানকার শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার ওপর ভিত্তি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসের অবকাঠামোগত উন্নয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটি ক্যাম্পাসের কোথায় ছাত্র-ছাত্রী বসবাস করবে, কোথায় একাডেমিক ভবনগুলো হবে, কোথায় শিক্ষক-কর্মচারী-কর্মকর্তারা বসবাস করবে কিংবা ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধার কোথায় কীভাবে তৈরি হবে সেগুলোকে সঠিকভাবে বিভাজন করতে না পারলে একটি পূর্ণাঙ্গ ক্যাম্পাস কখনই টেকসইভাবে তৈরি হবে না এবং আগামী দিনের পথ চলায় ক্যাম্পাসগুলো বিশেষ ভূমিকা রাখতে সক্ষম হবে না। এমনকি চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লাস রুম থেকে শুরু করে বিভিন্ন ভবনের নকশা কেমন হবে সেটির দিকে দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন। ভবনগুলোকে এমনভাবে তৈরি করতে হবে যেখানে শক্তি সাশ্রয় হয়। সেটি যেন পরিবেশবান্ধব হয়। তাছাড়া প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের তাদের কর্মকাণ্ড অনুযায়ী ক্যাম্পাসের বহিঃপ্রকাশের ধরন ভিন্ন হতে পারে। কিন্তু ভিন্নতার মধ্যেও যেন বৈচিত্র্য থাকে, যা শিক্ষার্থীদের শিক্ষা লাভে আরো উদ্বুদ্ধ করবে।

তবে নকশা প্রণয়নের ক্ষেত্রে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে যে কোনো স্থাপনার ভৌত পরিবেশ নকশাকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করে। যেমন ওই স্থাপনায় বিভিন্ন ফাংশন কিংবা নেটওয়ার্ক নোডের সংখ্যা, একটি ফাংশন থেকে আরেকটি ফাংশনের দূরত্ব, তাদের অবস্থান, শক্তি সংরক্ষণের ব্যবস্থাপনা, প্রাকৃতিক পরিবেশকে সঠিকভাবে কাজে লাগিয়ে স্থাপনায় বিভিন্ন নেটওয়ার্ক ডিভাইসের সঠিক ব্যবহার। সব সময় খেয়াল রাখতে হবে, একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে অবশ্যই প্রাণপ্রাচুর্যে ভরপুর হতে হবে। সেখানে নির্মিত পরিবেশের সঙ্গে ছাত্র-ছাত্রীদের এবং শিক্ষার পরিবেশকে আরো মিথস্ক্রিয়ামূলক হতে হবে। এই মিথস্ক্রিয়ামূলক পরিবেশ শিক্ষার বিস্তারের রাস্তাকে আরো প্রসারিত করে। বিশেষ করে বর্তমান ডিজিটালাইজেশনের যুগে একটি শ্রেণীকক্ষের নকশা এমনভাবে মিথস্ক্রিয়ামূলক হতে পারে, যা শিক্ষা এবং ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে যেন শিক্ষার পরবর্তী স্তরের যোগাযোগ ব্যবস্থা সব সময় উন্মোচিত করে। একটি ক্যাম্পাস ডিজাইনের ক্ষেত্রে প্রধানত যে বিষয়গুলোর দিকে অত্যন্ত গুরুত্ব আরোপ করা প্রয়োজন সেগুলোর মধ্যে রয়েছে প্রতিষ্ঠানের একাডেমিক এবং কৌশলগত লক্ষ্যগুলোর সমন্বয়, সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত, স্মার্ট টেকনোলজি ব্যবহার এবং বাস্তবায়ন এবং সবার নিরাপত্তা এবং সুস্থতা নিশ্চিত। উল্লিখিত প্রতিটি বিষয় পরস্পরের সম্পূরক। কোনোটিকে বাদ দিয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ টেকসই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস তৈরি করা সম্ভব নয়। তাই প্রক্রিয়াটি অবশ্যই জটিল! কিন্তু জটিল ভেবে প্রক্রিয়া থেকে দূরে সরে থাকলে একদিকে যেমন শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করা কখনো সম্ভব হবে না। অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কখনই দেশের সঠিক সম্পদে পরিণত হবে না। ক্যাম্পাস নকশা প্রণয়নের ক্ষেত্রে আরো একটি বিষয়কে গুরুত্ব দেয়া অত্যন্ত প্রয়োজন। সেটি হচ্ছে ক্যাম্পাস সংস্কৃতি। ক্যাম্পাস সংস্কৃতি হলো ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সংস্কৃতির সংমিশ্রণ, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি ব্যক্তি কিংবা উপকরণ দিয়ে যৌথভাবে তৈরি হয় এবং দীর্ঘমেয়াদি শিক্ষা বিস্তারের ক্ষেত্রে এটি একটি উদ্দীপক হিসেবে কাজ করে। আর এই ক্যাম্পাস সংস্কৃতি প্রধানত তিনটি দিক নিয়ে গঠিত হয়, যেমন বস্তুগত সংস্কৃতি, প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কৃতি এবং মনস্তাত্ত্বিক সংস্কৃতি। এখন আমাদের ভাবতে হবে বর্তমানে আমাদের দেশে যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাস রয়েছে সেখানে উল্লিখিত কোনো বিষয়কে সঠিকভাবে মানা হয়েছে শিক্ষার সুষ্ঠু বিকাশে? একটি টেকসই ক্যাম্পাস এমন হওয়া উচিত যেখানে ক্যাম্পাসে বসবাসকারী যেকোনো ব্যক্তি ১০ মিনিট হাঁটার ব্যবধানে তাদের সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা পেয়ে থাকে। সেটি শিক্ষা উপকরণ থেকে শুরু করে একাডেমিক ভবন কিংবা বিনোদনমূলক পরিসর যা- বলি না কেন। তাছাড়া পথচারীদের ব্যবহারের জন্য ক্যাম্পাসের প্রবেশ পয়েন্টগুলো শহরের ইন্টারফেস এবং স্থাপনার মধ্যে একটি বাহ্যিক সংযোগ বাড়ায়। তাই এই প্রবেশ পয়েন্টগুলো পরিকল্পনার ক্ষেত্রে বিশেষ দৃষ্টি আরোপ করা প্রয়োজন, যা অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত। ক্যাম্পাসের কেন্দ্রে একটি জনসমাবেশের স্থান সেই ক্যাম্পাসের জনপরিসর তৈরি করে। এর মাধ্যমে ক্যাম্পাসের স্থানগুলো পরস্পরের সঙ্গে আরো বেশি সম্পৃক্ত হয় এবং ক্যাম্পাসের অন্যান্য পরিকল্পনার উপাদানকে সুসংগঠিত করে। আমাদের দেশে ক্যাম্পাসের ধরন অনুযায়ী ক্যাম্পাস ইকোসিস্টেম মডেলকে আরো সামনের দিকে আনা প্রয়োজন। একটি ক্যাম্পাস নকশা প্রণয়নের ক্ষেত্রে মডেলটি সেখানকার জীব এবং তাদের পরিবেশের মধ্যে তথ্য বিনিময়ের দিকে একটি সংযোগস্থল তৈরি করবে। ক্যাম্পাস ইকোসিস্টেমের মাধ্যমে পুরো ক্যাম্পাসকে একটি নেটওয়ার্কের মধ্যে নিয়ে এসে সামগ্রিক অর্থে প্রাকৃতিক শক্তিকে ব্যবহার করে শক্তি সঞ্চয় করা সম্ভব, যা বর্তমান সময়ের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজন। তাছাড়া বিভিন্ন বাস্তুতন্ত্রের মধ্যে বিদ্যমান যে সংযোগগুলো রয়েছে, সেটি খুঁজে বের করতে হবে এবং নতুন ক্যাম্পাসে সেগুলোকে কীভাবে বিন্যাস করা যায় তা নিয়ে চিন্তা করতে হবে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ক্যাম্পাসের এই ইকোসিস্টেম কীভাবে ছাত্র-ছাত্রীদের উদ্ভাবনী ক্ষমতা বাড়ায়।

তবে একটি আনন্দের সংবাদ এই যে, বর্তমানে নতুন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস স্থাপনে জমির পরিমাণ কেমন হবে এবং সেটি নির্ধারণ করে দিতে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন একটি কাঠামো তৈরি করবে এবং -সংক্রান্ত তাদের কিছু কার্যক্রমও চোখে পড়ার মতো। কারণ একটি ক্যাম্পাসের জায়গা-জমির পরিমাণ নির্ভর করবে সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সংখ্যা, ক্যাম্পাসে অন্যান্য সুযোগ-সুবিধার ওপর। সেগুলো অবশ্যই একটি গবেষণার মধ্য দিয়ে আসতে হবে। কারণ বর্তমানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ক্যাম্পাস স্থাপনের সুনির্দিষ্ট কোনো নীতিমালা নেই। আর সুনির্দিষ্ট নীতিমালা না থাকার কারণে একটি ক্যাম্পাসের আকার কেমন হবে সেটি সঠিকভাবে বলা কারো পক্ষেই সম্ভব নয়। কারণে দেখা যায়, আমাদের দেশে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের আকার একেক রকম। কোনোটি বড় কিংবা কোনোটি ছোট কিংবা দেখা যায় একটি ক্যাম্পাস থেকে আরেকটি ক্যাম্পাস কয়েক গুণ আকারে বড়। আর মাস্টারপ্ল্যানগুলো করার সময়ও একটি ক্যাম্পাসের পরিবেশগত অবস্থান বিবেচনা করা অত্যন্ত প্রয়োজন। সেই পরিবেশগত নিরীক্ষার মধ্যে একদিকে যেমন তার চারপাশে উদ্ভিদ বন্যপ্রাণী সামগ্রিক অর্থে ইকোসিস্টেম মাথায় রাখতে হবে, অন্যদিকে আশপাশে যদি কোনো জলাশয় থাকে সেগুলোকে কীভাবে সংরক্ষণ করা যায় সে বিষয়গুলোকেও বিশেষ বিবেচনায় রাখতে হবে। বিশেষ করে বর্তমান বাংলাদেশের জনসংখ্যা বৃদ্ধি এবং যুগের চাহিদার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাস স্থাপন করা জরুরি। জমির পরিমাণ কেমন হবে সেটি যদি নির্দিষ্ট করা যায় তাহলে একদিকে যেমন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মাস্টারপ্ল্যানে সুনির্দিষ্ট একটি সিস্টেম তৈরি হবে, অন্যদিকে আবাদি জমি কিংবা জলাশয় রক্ষা করা যাবে এবং জমি অধিগ্রহণ করতে একটি বিশ্ববিদ্যালয়কে কোনো ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে না।

সবশেষে বলতে চাই, আমরা সচরাচর যখন বাইরের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে যাই কিংবা ঘুরতে যাই তখন বিশ্বের নামিদামি অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস দেখে বিমোহিত হই। ক্যাম্পাসে বিদ্যমান বিভিন্ন স্থাপনা দেখে আমরা আনন্দিত হই। সেক্ষেত্রে একটি দীর্ঘশ্বাস আমাদের মাঝে খেলা করে! সেটি হচ্ছে, আমরা কেন আমাদের দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ঠিক এভাবে তৈরি করতে পারি না? হয়তো প্রশ্নের অন্তরালে অনেক প্রশ্ন থেকে যায়। উত্তরগুলো হয়তো অনেক জটিল প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আসবে। তবুও আমাদের চেষ্টা করতে হবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কীভাবে আরো সবুজ করা যায়, কীভাবে শিক্ষার পরিবেশকে ছাত্র-ছাত্রীদের সামনে উন্মুক্ত করা যায় এবং চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের দ্বারপ্রান্তে ডিজিটালাইজেশনের যুগে কীভাবে একটি আধুনিক (স্মার্ট) বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস তৈরি করা যায় শিক্ষার প্রসাবের জন্য। আর এর জন্য শুধু অর্থই সবকিছু নয়, প্রয়োজন আমাদের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন।

 

সজল চৌধুরী: শিক্ষক, স্থাপত্য বিভাগ, চট্টগ্রাম প্রকৌশল প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়; বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পিএইচডি গবেষণারত

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন