রাঙ্গামাটিতে বাবা ও ছেলেসহ তিনজনকে গুলি করে হত্যা

বণিক বার্তা প্রতিনিধি, রাঙ্গামাটি

রাঙ্গামাটির বিলাইছড়ি উপজেলার সীমান্তবর্তী দুর্গম বড়থলি ইউনিয়নে দুর্বৃত্তদের গুলিতে তিনজন নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের সাইজাম পাড়ায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে বলে নিশ্চিত করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান আতোমং মারমা।

ইউপি চেয়ারম্যান জানান, মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে ইউনিয়নের সাইজাম পাড়ায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। দুর্গম গ্রামের পাড়াটিতে ত্রিপুরা জনগোষ্ঠীর তিনটি পরিবার বসবাস করে আসছে। এদিন সন্ধ্যার দিকে কুকি চিন পার্টির লোকজন গুলি করতে করতে পাড়ায় প্রবেশ করে এবং তাদের হামলায় তিনজন নিহত হন। তবে গতকাল বেলা ৩টা পর্যন্ত ঘটনাস্থলে প্রশাসনের কেউ যায়নি।

নিহত যে তিনজনের নাম পাওয়া গেছে তারা হলেন বিশ্ব চন্দ্র ত্রিপুরা, সুভাষ ত্রিপুরা ধনরা ত্রিপুরা। এর মধ্যে বিশ্ব চন্দ্র ত্রিপুরা সুভাষ ত্রিপুরা সম্পর্কে বাবা-ছেলে।

ইউপি চেয়ারম্যান আতোমং আরো জানান, এর আগে মে মাসেও পাড়ায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। তখন হতাহতের খবর না পেলেও এবার তিনজন মারা গেছেন।

এদিকে রাঙ্গামাটির অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মাহমুদা বেগম বলেন, আমরা হতাহতের ঘটনা শুনেছি। তবে সত্য-মিথ্যা এখনো নিশ্চিত নই। দুর্গম এলাকা হওয়ায় সেখানে পৌঁছা কঠিন, তবে তদন্ত চলছে। বিলাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমাকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

আরেকদিকে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নিহত তিনজনকে সাধারণ গ্রামবাসী জানালেও ইংরেজিতে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ নামের একটি ফেসবুক পেজে দাবি করা হয়, সংগঠনটি বড়থলিতে জেএসএসের আস্তানায় হামলা করে সফল হয়েছে। হামলায় তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে মারা গেলেও আহত অবস্থায় প্রশিক্ষণার্থীসহ অন্যরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হন। এদিকে কুকি-চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট-কেএনএফ নামের যে পেজটিতে হামলা প্রসঙ্গে দাবি করা হয়েছেসেটি আদৌ হামলাকারীদের পেজ কিনা তা দায়িত্বশীল কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি।

প্রসঙ্গত, বিলাইছড়ি উপজেলার সবচেয়ে দুর্গম ইউনিয়নে সড়ক যোগাযোগ যাতায়াত ব্যবস্থা নেই। মোবাইল নেটওয়ার্ক বিচ্ছিন্ন রাঙ্গামাটি-বান্দরবানের সীমান্তবর্তী ইউনিয়নের মানুষের যাতায়াত মূলত বান্দরবানের রুমা উপজেলা হয়ে। যে কারণে রাঙ্গামাটির স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকেও তথ্যপ্রাপ্তিতে বেগ পেতে হচ্ছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন