খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক উৎপাদন কমার পূর্বাভাস আইজিসির

বণিক বার্তা ডেস্ক

চলতি বছরের জন্য খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক উৎপাদন পূর্বাভাস কমিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল গ্রেইন কাউন্সিল (আইজিসি) উৎপাদন গত মাসে দেয়া পূর্বাভাসের তুলনায় শতাংশ কমতে পারে। সম্প্রতি সরবরাহ চাহিদা-সংক্রান্ত প্রতিবেদনে তথ্য জানায় সংস্থাটি।

আইজিসি বলছে, চলতি বছর খাদ্যশস্যের বৈশ্বিক উৎপাদন ২২৫ কোটি ১০ লাখ টনে পৌঁছার সম্ভাবনা রয়েছে। মৌসুম শেষে খাদ্যশস্যের মজুদ কমে ৫৭ কোটি ৯৬ লাখ টনে নামতে পারে। গত মাসে দেয়া পূর্বাভাসের তুলনায় মজুদ দশমিক ২৬ শতাংশ কমবে।

বিশ্লেষকরা জানান, খাদ্যশস্য উৎপাদন কমে যাওয়ার পেছনে প্রধান ভূমিকা রাখছে গম ভুট্টা। শস্য দুটির উৎপাদন কমছে আশঙ্কাজনক হারে। যদিও সয়াবিন উৎপাদন বাড়ার পূর্বাভাস মিলেছে।

কাউন্সিল বলছে, গম, ভুট্টা শরঘাম অর্থাৎ সব রকম শস্য উৎপাদনই কমতির দিকে। বিশেষ করে আর্জেন্টিনা, ভারত যুক্তরাষ্ট্রের মতো শীর্ষ দেশগুলোয় উৎপাদন বিপর্যয়ের মুখে রয়েছে। ফলে অস্ট্রেলিয়া রাশিয়ায় উৎপাদন বাড়লেও তা পরিস্থিতিতে ভারসাম্য আনতে পারবে না।

চলতি মাসের রিপোর্টে বলা হয়, ২০২২-২৩ মৌসুমে গম উৎপাদন ৭৬ কোটি ৯০ লাখ টনে পৌঁছবে। গত মাসে দেয়া পূর্বাভাসের তুলনায় যা দশমিক শতাংশ কম। শস্যটির মজুদ ২৭ কোটি লাখ টনে নামবে, যা আগের পূর্বাভাসের তুলনায় দশমিক শতাংশ কম।

আইজিসির পূর্বাভাস বলছে, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা রাশিয়ায় গম উৎপাদন বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে অন্যান্য দেশে কমে যাওয়ায় মোট উৎপাদনে নিম্নমুখী প্রবণতা তৈরি হয়েছে। বিশেষ করে ২০২১-২২ মৌসুমে ইউক্রেনে উৎপাদন হয়েছিল কোটি ৩০ লাখ টন গম। চলতি মৌসুমে তা কমে কোটি ৯৪ লাখ টনে নামতে পারে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, গত ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালানোর পর থেকেই দেশটির গম উৎপাদন রফতানিতে মন্দা দেখা দেয়। রুশ সামরিক বাহিনীর হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত হয় ইউক্রেনের বিভিন্ন আবাদি অঞ্চল। ধ্বংস হয়ে যায় কৃষি যন্ত্রপাতি।

এদিকে এপ্রিলে প্রকাশিত প্রতিবেদনেই যুক্তরাষ্ট্রের গম উৎপাদন পূর্বাভাস কমানো হয়। সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে পূর্বাভাস আরো কমানো হয়েছে। ২০২২-২৩ মৌসুমে দেশটির উৎপাদন কোটি ৬৮ লাখ টনে নামতে পারে, যা আগের তুলনায় দশমিক শতাংশ কম। অন্যদিকে ভারতের উৎপাদন ১০ কোটি ৫০ লাখ টন কমার পূর্বাভাস মিলেছে। আগের পূর্বাভাসের তুলনায় উৎপাদন দশমিক শতাংশ কমবে।

আইজিসি বলছে, ২০২২-২৩ মৌসুমে ভুট্টার বৈশ্বিক উৎপাদন দাঁড়াবে ১১৮ কোটি ৪০ লাখ টনে। আগের পূর্বাভাসের তুলনায় উৎপাদন দশমিক শতাংশ কমবে। তবে শস্যটির মজুদ ২৬ কোটি ৯১ লাখ টনে দাঁড়াবে, যা আগের তুলনায় দশমিক শতাংশ বেশি।

২০২২-২৩ মৌসুমে আর্জেন্টিনা, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদন পরিস্থিতি ভুট্টা উৎপাদন কমে যাওয়ার পেছনে প্রধান ভূমিকা রাখছে। তবে এতে কিছুটা ভারসাম্য আনতে পারে ব্রাজিলের ঊর্ধ্বমুখী উৎপাদন। এক নোটে আইজিসি জানায়, ২০২২-২৩ মৌসুমে ইউক্রেনে ভুট্টা উৎপাদন কোটি ২১ লাখ থেকে কমে কোটি ৮৬ লাখ টনে নামবে।

এসব শস্য উৎপাদন কমলেও সয়াবিনের বৈশ্বিক উৎপাদন বাড়তে পারে বলে জানিয়েছে আইজিসি। পূর্বাভাস অনুযায়ী, উৎপাদনের পরিমাণ দাঁড়াবে ৩৮ কোটি ৭৫ লাখ টনে, যা আগের তুলনায় দশমিক শতাংশ বেশি। মৌসুম শেষের মজুদ দশমিক শতাংশ বেড়ে কোটি ৮৪ লাখ টনে উন্নীত হতে পারে। মূলত ইউক্রেন প্যারাগুয়েতে উৎপাদন কমলেও তাতে ভারসাম্য আনবে চীন যুক্তরাষ্ট্রের উৎপাদন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন