ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনীকে অভ্যুত্থানের আহ্বান পুতিনের

ভেস্তে গেছে আলোচনার উদ্যোগ

বণিক বার্তা ডেস্ক

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন গতকাল ইউক্রেনীয় সামরিক বাহিনীকে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে উত্খাতের আহ্বান জানিয়েছেন। গতকাল রুশ নিরাপত্তা কাউন্সিলের এক বৈঠকের আগে দেয়া ভিডিও বার্তায় আহ্বান জানান ভ্লাদিমির পুতিন।

ভিডিও বার্তায় ইউক্রেনীয় সৈন্যদের তিনি বলেন, আপনারা নিজের হাতে ক্ষমতা তুলে নিন। এসব মাদকাসক্ত নব্য নাজিদের অনুপস্থিতিতে আমাদের দুই পক্ষেরই আলোচনায় বসা অনেক সহজ বলেই আমার বিশ্বাস। কিয়েভের দখল নিয়ে ওরা এখন গোটা ইউক্রেনেই নাগরিকদের জিম্মি করে রেখেছে।

সময় ইউক্রেনের ক্ষমতাসীন সরকারের নীতিনির্ধারকদের ষড়যন্ত্রকারী ডাকাত আখ্যা দিয়ে পুতিন বলেন, বিরোধপূর্ণ দনবাস এলাকায় জাতিগত রুশীদের ওপর গণহত্যা চালানোর জন্য এরাই দায়ী।

এর আগে রুশ সামরিক অভিযানের দ্বিতীয় দিনে গতকাল ইউক্রেনের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আলোচনায় বসার আগ্রহ প্রকাশ করে মস্কো। রুশ অভিযান শুরু হওয়ার আগে থেকেই মস্কোকে আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়ে আসছে ইউক্রেন। তবে রাশিয়া শেষ পর্যন্ত আলোচনায় বসতে রাজি হলেও তা ভেস্তে যায় আলোচনা আয়োজনের স্থান নিয়ে মতানৈক্যের কারণে।

রাশিয়া চাইছে, আলোচনাটি হোক বেলারুশের রাজধানী মিনস্কে। অন্যদিকে বেলারুশকে রুশ বাহিনীর ঘাঁটি বিবেচনায় সেখানে আলোচনা করতে চাইছে না ইউক্রেন সরকার।

ক্রেমলিন জানায়, ইউক্রেনের পক্ষ থেকে আলোচনার প্রস্তাব আসার পর বেলারুশের মিনস্কে একত্রিত হওয়ার প্রস্তাব দেয়া হয় রাশিয়ার পক্ষ থেকে। তবে প্রস্তাবে ইউক্রেন সাড়া দেয়নি। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেশকভ গতকাল জানিয়েছেন, আলোচনার স্থান হিসেবে মিনস্কের নাম প্রস্তাব করা হলে ইউক্রেন তাতে সম্মত হয়নি। এর পরিবর্তে ইউক্রেনের প্রতিনিধিরা ন্যাটো সদস্যভুক্ত দেশ পোল্যান্ডে আলোচনার জন্য একত্রিত হওয়ার আগ্রহ জানায়। একপর্যায়ে তারা রাশিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়।

অন্যদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের উপদেষ্টা মাইখাইলো পোডালিয়াক জানান, যদি আলোচনা করা সম্ভব হয়, আমরা তাই করতে চাই। এমনকি তারা যদি বলে মস্কোয় একটি নিরপেক্ষ আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে, তাহলে আমরা সেখানেও যেতে প্রস্তুত। আমরা কোনো কিছুতে ভয় পাই না। আমরা ব্যাপারেও কথা বলতে পারি।

এর আগে গতকাল ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট গতকাল আরো একবার রাশিয়ার প্রতি আলোচনায় বসার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ইউক্রেনের নিরপেক্ষ অবস্থান নিরাপত্তার গ্যারান্টি নিয়ে আলোচনা করতে তার কোনো দ্বিধা নেই।

তার অভিযোগ, রাশিয়ার অভিযান শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে তিনি রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কথা বলতে টেলিফোন করেছিলেন। কিন্তু কোনো সাড়া মেলেনি। তিনি বলেন, কেউ কোনো উত্তর দেয়নি। ওপাশ থেকে শুধুই নীরবতা ছিল।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন