টেকনাফে সম্প্রতি একটি এনজিওর দুই নারীসহ ছয় কর্মীর ওপর সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে কক্সবাজারে কর্মরত প্রায় ৬০টি স্থানীয় ও জাতীয় এনজিওর নেটওয়ার্ক কক্সবাজার সিএসও এনজিও ফোরাম (সিসিএনএফ)। গতকাল আয়োজিত এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এ ঘটনায় সম্পৃক্তদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করার পাশাপাশি আগামী সাতদিনের মধ্যে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া না হলে টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নে সিসিএনএফের সদস্য কোনো এনজিও কোনো কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে না বলে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনটি সঞ্চালনা করেন সিসিএনএফের কো-চেয়ার এবং পালসের নির্বাহী পরিচালক আবু মুর্শেদ চৌধুরী। সংবাদ সম্মেলনে ঘটনার বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেন সিসিএনএফের সদস্য সচিব জাহাঙ্গীর আলম। এতে আরো বক্তব্য রাখেন ইপসার নির্বাহী পরিচালক মো. আরিফুর রহমান, হামলার শিকার দুই নারী কোস্ট ফাউন্ডেশনের যুগ্ম পরিচালক ফেরদৌস আরা রুমী ও একই সংস্থার প্রকল্প ব্যবস্থাপক তাহরিমা আফরোজ টুম্পা। এতে বক্তব্য রাখেন কোস্ট ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক রেজাউল করিম চৌধুরী।
জাহাঙ্গীর আলম জানান, ২ ফেব্রুয়ারি টেকনাফের হ্নীলার জেলেপাড়ায় সন্ত্রাসীরা মারধর ও লাঞ্ছিত করেছে কোস্ট নামের এনজিওর ছয় কর্মীকে। একটি প্রকল্পের উপকারভোগীদের সঙ্গে মতামত সংগ্রহের লক্ষ্যে একটি উঠান বৈঠক করার সময় হ্নীলা ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ডের সদস্য রেজাউল করিমের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা এ হামলা চালায়। উঠান বৈঠক চলাকালে এনজিও কর্মীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও এলাকা থেকে চলে যেতে বলেন। তাকে কাজের ব্যাপারে বোঝানোর চেষ্টা করলেও তিনি তাতে কর্ণপাত না করে এনজিও কর্মীদের ওপর হামলা করেন। একপর্যায়ে সবাইকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি ও লাথি মারে সন্ত্রাসীরা। তাদের চিত্কারে পার্শ্ববর্তী এলাকার লোকজন এসে উদ্ধার করে একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে আশ্রয় দেয়।
