কুমিল্লা নগরীর ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহাকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মাসুম নামে আরো এক আসামিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তিনি এ মামলার ৯ নম্বর আসামি। গ্রেফতার মাসুম নগরীর সংরাইশ এলাকার মঞ্জিল মিয়ার ছেলে। গতকাল দুপুরে জেলার চান্দিনা থেকে পুলিশ মাসুমকে গ্রেফতার করে। এর আগে বুধবার সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এলাকা থেকে মামলার ৪ নম্বর আসামি নগরীর সুজানগর বউবাজার এলাকার মৃত কানু মিয়ার ছেলে সুমনকে গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার রাত সোয়া ১২টার দিকে নিহত কাউন্সিলর সোহেলের ছোট ভাই সৈয়দ মো. রুমন বাদী হয়ে হত্যা মামলাটি করেন। কোতোয়ালি মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় নগরীর সুজানগরের বউবাজার এলাকার মৃত জানু মিয়ার ছেলে শাহ আলমকে প্রধান আসামি করা হয়। এ মামলায় ১১ জনের নাম উল্লেখ করা হয় এবং ৮-১০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়।
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি আনওয়ারুল আজিম জানান, এ মামলার এজাহারভুক্ত ১১ জন আসামির মধ্যে এ পর্যন্ত দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্য আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
এদিকে কাউন্সিলর সোহেলকে হত্যার ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার ও বিচারের দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেছে কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) কর্তৃপক্ষ। গতকাল বেলা ১১টার দিকে কুমিল্লা প্রেস ক্লাবের সামনে এ কর্মসূচি পালন করা হয়। মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, কুসিক মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কু, প্যানেল মেয়র কাউন্সিলর জমির উদ্দিন খান জম্পি, কাউন্সিলর সরকার মাহমুদ জাবেদ, কাজী মাহবুবুর রহমান, মাসুদুর রহমান মাসুদ প্রমুখ। এ সময় কুসিক মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ওই ওয়ার্ডে সৈয়দ মো. সোহেলের ব্যাপক জনপ্রিয়তা ছিল। তিনি মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন। তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান। মানববন্ধনে সিটি করপোরেশনের সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী, ২৬টি সাধারণ ও নয়টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও সচিবসহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের নানা শ্রেণী-পেশার শত শত লোকজন অংশগ্রহণ করেন। এর আগে মেয়রের নেতৃত্বে শত শত জনতার অংশগ্রহণে বিক্ষোভ মিছিল নগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
পরে একই দাবিতে কুসিক মেয়র মো. মনিরুল হক সাক্কুর নেতৃত্বে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দাখিল করা হয়।
উল্লেখ্য, গত সোমবার বিকালে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলের পাথুরিয়াপাড়া থ্রি-স্টার এন্টারপ্রাইজের কার্যালয়ে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি করে। এ ঘটনায় কাউন্সিলর সোহেল ও তার সহযোগী হরিপদ সাহা গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। এ সময় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত পাঁচজন কুমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।