কলম্বিয়ার বিভিন্ন অঞ্চলে তীব্র খরা ও বন্যার কারণে চাল উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে ২০২১-২২ মৌসুমে উৎপাদন বৃদ্ধির প্রত্যাশা তৈরি হয়েছে। মার্কিন কৃষি বিভাগের (ইউএসডিএ) ফরেন এগ্রিকালচারাল সার্ভিসের সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।
২০২০-২১ মৌসুমে কলম্বিয়ায় সব মিলিয়ে ৯৪ লাখ ৮০ হাজার টন চাল উৎপাদনের তথ্য মিলেছে। তবে ২০২১-২২ মৌসুমে উৎপাদন বেড়ে ৯৬ লাখ ১০ হাজার টনে উন্নীত হওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে ইউএসডিএ।
এদিকে ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত (ইইউ) দেশ এবং অন্যান্য প্রধান বাজারে কলম্বিয়ার চাল রফতানি কমেছে। তবে ২০২০-২১ মৌসুমের প্রথম আট মাসে চীন ও ভিয়েতনামে ঊর্ধ্বমুখী রফতানি এতে ভারসাম্য তৈরি করেছে। ২০২০-২১ মৌসুমে ১৬ লাখ টন চাল রফতানির পূর্বাভাস দিয়েছে ইউএসডিএ। তবে ২০২১-২২ মৌসুমে রফতানি ১৪ লাখ ১০ হাজার টনে নামতে পারে। সরকারি ও আন্তঃসীমান্ত বাণিজ্যে স্লথগতির কারণে রফতানিতে নিম্নমুখিতা দেখছে ইউএসডিএ।
উল্লেখ্য, দীর্ঘদিন ধরেই খরায় বিপর্যস্ত কলম্বিয়ার চাল উৎপাদন। দেশটির সরকারি তথ্য বলছে, ২০১৫-২০১৯ সাল পর্যন্ত ভয়াবহ খরার প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে দেশটির ১০ লাখ হেক্টর ধান আবাদি জমি। এর মধ্যে ২ লাখ ১ হাজার ৪৯০ হেক্টর জমি পুরোপুরি উৎপাদন সক্ষমতা হারিয়েছে।