কমনওয়েলথ অর্থমন্ত্রীদের সভা (সিএফএমএম) ২০২২ এর সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মু্স্তফা কামাল। বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের বার্ষিক সভার সাইডলাইনে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় কমনওয়েলথ অর্থমন্ত্রীদের একটি ভার্চুয়াল সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে কমনওয়েলথভুক্ত ৫৪টি দেশের অর্থমন্ত্রী ও উচ্চপদস্থ প্রতিনিধিরা অংশ নেন। ওই সভায় মালয়েশিয়ার আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব ও ব্রুনাইয়ের সমর্থনে ২০২২ সালের জন্য সিএফএমএমের সভাপতি নির্বাচিত হন আ হ ম মু্স্তফা কামাল।
সাইডলাইনে আয়োজিত এ সভায় সভাপতিত্ব করেন অ্যান্টিগুয়া ও বার্বুডার প্রধানমন্ত্রী গ্যাস্টন ব্রাউন। এতে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মু্স্তফা কামাল। এ সময় তিনি ২০২২ সালের কমনওয়েলথ অর্থমন্ত্রীদের বৈঠকে সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ লাভ করায় সংশ্লিষ্টদের ধন্যবাদ জানান।
অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে গত এক দশকে বাংলাদেশে গড়ে ৭ দশমিক ৪ শতাংশ হারে অভূতপূর্ব অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি হয়েছে। এমনকি অপ্রত্যাশিত অভিঘাত কভিড-১৯ মহামারীকালে গত বছর যেখানে বৈশ্বিক অর্থনীতি ৩ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে, সেখানে এমন ক্রান্তিকালেও বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের জরিপ অনুযায়ী বাংলাদেশ শীর্ষ পাঁচটি সহনশীল অর্থনীতির মধ্যে রয়েছে। গত মাসে অনুষ্ঠিত জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ সভার টেকসই উন্নয়নে আন্তর্জাতিক সম্মেলন ২০২১-এ আমাদের উন্নয়ন প্রচেষ্টাকে স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে এসডিজি প্রগ্রেস অ্যাওয়ার্ডে ভূষিত করা হয়েছে।
সভায় বক্তব্যকালে অর্থমন্ত্রী কমনওয়েলথের ঐতিহ্য ও গুরুত্বের বিষয়টি তুলে ধরেন। তিনি বলেন, সর্বজনবিদিত একটি সত্য হচ্ছে সপ্তদশ শতাব্দীতে কমনওয়েলথভুক্ত ভারত উপমহাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে ধনী দেশ ছিল। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে আন্তঃকমনওয়েলথ বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, জ্ঞান, প্রযুক্তি ও উত্তম চর্চা বিনিময়ের মাধ্যমে কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলো অধিকতর আর্থসামাজিক সমৃদ্ধি লাভ করতে পারে।
অর্থমন্ত্রীদের ওই ভার্চুয়াল সভায় কমনওয়েলথ সচিবালয়ের মহাসচিব প্যাট্রিসিয়া স্কটল্যান্ডসহ সভায় যুক্ত প্রতিনিধিরা টেকসই ও অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে ঋণ, বৈশ্বিক ন্যূনতম ট্যাক্স চুক্তি এবং কমনওয়েলথভুক্ত দেশগুলোর প্রভাবের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। এছাড়া জলবায়ু পরিবর্তনজনিত হুমকি মোকাবেলায় ঋণ ও কমনওয়েলথ ক্লাইমেট ফাইন্যান্স অ্যাকসেস হাবসহ বিভিন্ন বিষয়ের ওপর আলোকপাত করেন তারা।
