লোকসান কমাতে আইএজির নানা উদ্যোগ

বণিক বার্তা ডেস্ক

চলতি বছরের প্রথম দুই প্রান্তিকে লোকসান গুনতে হয়েছে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের মালিক প্রতিষ্ঠান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস গ্রুপকে (আইএজি) আর লোকসানের পরিমাণ প্রায় ২০০ কোটি ইউরো। অবস্থা কাটিয়ে উঠতে নানা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সংস্থাটি, যার মধ্যে রয়েছে ফ্লাইটের সংখ্যা বাড়ানো।

দ্য গার্ডিয়ানের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বজুড়ে কভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকাদান কর্মসূচির বিস্তারের পাশাপাশি ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞাও তুলে নেয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি কাজে লাগাতে চায় আইএজি। সামনের গ্রীষ্মে মহামারীর আগের সময়ের মতো যাত্রী পরিবহনের প্রত্যাশা করা হচ্ছে। সেপ্টেম্বরেই যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের মধ্যকার লাভজনক ট্রান্সআটলান্টিক রুটটি চালু হয়ে যাবে বলেও আশা করা হচ্ছে। আর সেটি হলে প্রত্যাশার অনেকটুকুই পূরণ হবে ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের।

তবে এসবই এখনো পরিকল্পনা পর্যায়ে রয়েছে বলে জানিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস গ্রুপ। তাদের ধারণা, ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের ফ্লাইটগুলো স্বাভাবিক সক্ষমতার ৩০ শতাংশ থাকবে। মূল পুনরুদ্ধারটি হবে স্প্যানিশ এয়ারলাইনস আইবেরিয়া ভুয়েলিংয়ে। আইএজির সবচেয়ে ভালো ব্যবসা ছিল দুটির। স্পেন লাতিন আমেরিকা রুটেও তারা বেশ বিধিনিষেধের সম্মুখীন হয়।

মূলত সরকারি বিধিনিষেধ, লকডাউন, ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা এগুলোর কারণেই বিশ্বের অন্যান্য উড়োজাহাজ পরিষেবা প্রতিষ্ঠানের মতো আইএজিকেও লোকসানের মুখে পড়তে হয়। তবে লকডাউন নিষেধাজ্ঞা উঠে গেলে তাদের প্রশস্ত বাহনের ব্রিটিশ এয়ারওয়েজ স্বাভাবিক সময়ের মতো ব্যবসা করতে পারবে।

আইএজির প্রধান নির্বাহী লুইস গ্যালেগো বলেন, পূর্ণাঙ্গ টিকা গ্রহণকারী পর্যটকদের জন্য কোয়ারেন্টিনমুক্ত ভ্রমণের ব্যবস্থা করতে যাচ্ছে ব্রিটিশ সরকার। মূলত ইউরোপীয় ইউনিয়ন যুক্তরাষ্ট্রের পর্যটকরা সুযোগ পাবেন। আর সিদ্ধান্তকে উড়োজাহাজ পরিষেবা খাতের জন্য প্রথম গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন তিনি।

নিষেধাজ্ঞা শিথিলের পর যুক্তরাষ্ট্র থেকে যাত্রীদের টিকিট বুকিংয়ের পরিমাণ গত সপ্তাহের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। রকম চলতে থাকলে মহামারীর আগের অবস্থায় পৌঁছতে হয়তো খুব বেশি সময় লাগবে না।

খাতসংশ্লিষ্টরা বলছেন, পর্যটন ভ্রমণ খাতের ব্যবসা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উড়োজাহাজ পরিষেবা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপরও চাপ বাড়তে শুরু করেছে। কারণ মহামারীজুড়ে বড় বড় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা, ব্যবসায়ীরা জুম মিটিং বা অনলাইন মিটিংয়ের মাধ্যমে কাজ করেছেন। এখন ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা উঠে যাওয়ার পর তারা আবার সশরীরে মিটিং করবেন বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। তার পরও চলতি বছর ২০১৯ সালের তুলনায় ১০-১৫ শতাংশ ব্যবসায়িক ভ্রমণ কম হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ২০২৩ সাল নাগাদ পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলেও আশা করছেন খাতের সংশ্লিষ্টরা।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন