করোনায় মৃতের সংখ্যা ১৯ হাজার ছাড়াল

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঈদের ছুটিতে দেশে প্রাণঘাতী নভেল করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দৈনিক মৃতের সংখ্যা কিছুটা কমলেও এখন তা বাড়তে শুরু করেছে সবশেষ গতকাল দেশে কভিড-১৯ পজিটিভ ১৯৫ জন রোগীর মৃত্যু হয়েছে এতে মোট মৃতের সংখ্যা ১৯ হাজার অতিক্রম করেছে একই সঙ্গে আরো হাজার ৭৮০ জনের শরীরে ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

বাংলাদেশে গত বছরের মার্চ প্রথম করোনা সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ার পর বিভিন্ন সময়ে সংক্রমণ কম-বেশি হয়েছে তবে দুই মাস ধরে দেশের পরিস্থিতি উদ্বেগজনক অবস্থায় পৌঁছেছে করোনার ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের (ভারতীয় করোনার ধরন) কারণে মূলত সংক্রমণ মৃত্যু কয়েক গুণ বেড়েছে

সরকারের দেয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, জুলাই দৈনিক মৃতের সংখ্যা প্রথমবারের মতো ২০০ ছাড়ায় এরপর ধারাবাহিকভাবে মৃতের সংখ্যা দুইশর ওপরে থাকলেও মধ্যবর্তী সময়ে কিছুটা কমে ঈদের ছুটিতে মৃতের সংখ্যা কমলেও এখন তা আবার বাড়তে শুরু করে এছাড়া গত বছরের ১০ জুন দেশে করোনা রোগীর মৃতের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে যায় এরপর ২২ সেপ্টেম্বর তা পাঁচ হাজার ছাড়ায় বছরের শেষের দিকে শনাক্ত মৃতের সংখ্যা কমে আসে চলতি বছরের ২৩ জানুয়ারি হাজার ৩১ মার্চ মোট মৃতের সংখ্যা নয় হাজার ছাড়ায় এর ১৫ দিন পর ১৫ এপ্রিল ১০ হাজার ছাড়ায় মৃতের সংখ্যা ধীরে ধীরে সংখ্যা বাড়তে থাকে গতকাল পর্যন্ত আরো এক হাজারের মৃত্যু হওয়ায় দেশে মোট করোনা রোগীর মৃতের সংখ্যা ১৯ হাজার ছাড়িয়ে গেছে

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশের ৬৩৯টি পরীক্ষাগারে ২০ হাজার ৮২৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে পর্যন্ত সরকারি বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় মোট ৭৪ লাখ ১৭ হাজার ৬৯৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয় দেশে মোট শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা ১১ লাখ ৫৩ হাজার ৩৪৪- দাঁড়িয়েছে আর মারা গেছেন মোট ১৯ হাজার ৪৬ জন কভিড-১৯ পজিটিভ রোগী সর্বশেষ নমুনা পরীক্ষার সংখ্যা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৩২ দশমিক ৫৫ শতাংশ মোট শনাক্তের হার ১৫ দশমিক ৫৫ শতাংশ গতকাল সর্বশেষ আরো হাজার ৭২৩ জন করোনা রোগী সুস্থ হওয়ায় মোট সুস্থতার সংখ্যা দাঁড়ায় লাখ ৮৮ হাজার ৩৩৯ এতে সুস্থতার হার ৮৫ দশমিক ৬৯ শতাংশ আর মোট মৃত্যুর হার দশমিক ৬৫ শতাংশ

গতকাল মারা যাওয়া ১৯৫ জনের মধ্যে সর্বোচ্চ ঢাকা বিভাগের বাসিন্দা ছিলেন ৬৮ জন বাকিদের মধ্যে খুলনায় ৪১, চট্টগ্রামে ৩৬, রাজশাহীতে ১৮, বরিশালে পাঁচ, সিলেটে এক, রংপুরে ১৬ এবং ময়মনসিংহে ১০ জন মারা গেছেন বয়সভিত্তিক হিসাবে তাদের মধ্যে ১০০ জন ষাটোর্ধ্ব ছিলেন বাকিদের মধ্যে ৪৫ জন ৫১ থেকে ৬০ বছর, ৩১ জন ৪১ থেকে ৫০ বছর, ১৬ জন ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ছিলেন বাকি তিনজনের মধ্যে দুজন ১১ থেকে ২০ বছর একজন ১০ বছরের কম বয়সী অর্থাৎ শিশু ছিল মৃতদের মধ্যে ১০৩ জন পুরুষ এবং ৯২ জন নারী

২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের রাজধানী উহানে নভেল করোনাভাইরাসের প্রথম সংক্রমণ শনাক্ত হয় এরপর মাত্র দুই মাসের ব্যবধানে শতাধিক দেশে ভাইরাসটির সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়লে গত বছরের ১১ মার্চ করোনাকে বৈশ্বিক মহামারী ঘোষণা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) নভেল করোনাভাইরাস প্রতিরোধী টিকাদানে এখন বিশ্বের বিভিন্ন দেশে কর্মসূচি শুরু হয়েছে

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন