ইকুইটিবিডির সংবাদ সম্মেলন

অর্থ পাচার রোধে ব্যাংক খাত সংস্কারের দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

জাতীয় সংসদে ২০২১-২২ অর্থবছরের জন্য প্রস্তাবিত বাজেটে রাজস্ব আহরণ কৌশলকে গতানুগতিক কভিড-১৯ মহামারীজনিত দারিদ্র্য মোকাবেলার ক্ষেত্রে অপর্যাপ্ত বলে অভিহিত করেছেন অধিকারভিত্তিক নাগরিক সমাজ।

গতকাল ইকুইটিবিডির উদ্যোগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে প্রস্তাবিত বাজেট সম্পদ পুনর্বণ্টনের ক্ষেত্রে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার দিকনির্দেশনা নেই বলে অভিমত প্রকাশ করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে দেশ থেকে অবৈধ অর্থ পাচার বন্ধ অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে রাজস্ব বৃদ্ধির লক্ষ্যে ব্যাংক খাতের সামগ্রিক সংস্কারের দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনটি সঞ্চালনা করেন ইকুইটিবিডির প্রধান সঞ্চালক রেজাউল করিম চৌধুরী, মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন একই সংস্থার আহসানুল করিম। এতে বক্তৃতা করেন সুশাসনের প্রচারাভিযানের (সুপ্র) মো. আবদুল আউয়াল, কোস্টাল লাইভলিহুড অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট অ্যাকশন নেটওয়ার্কের (ক্লিন) হাসান মেহেদী এবং কোস্ট ট্রাস্টের সৈয়দ আমিনুল হক মো. মোস্তফা কামাল আকন্দ।

আহসানুল করিম আয়োজকদের পক্ষ থেকে কয়েকটি সুনির্দিষ্ট দাবি তুলে ধরেন। দাবিগুলো হলো আন্ডার ইনভয়েসিং এবং অবৈধ অর্থ পাচার রোধে অর্থিক খাতে সুশাসন নিশ্চিত করতে বিশেষ করে ব্যাংকিং খাতের সংস্কার; আয়কর সংগ্রহকে শক্তিশালী করতে আধুনিক প্রযুক্তিগুলোর সঙ্গে এনবিআরকে সম্পৃক্ত করা; গরিব এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণীর জন্য কমপক্ষে ১০টি নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যকে ভ্যাট অব্যাহতি ঘোষণা করা; কর্মহীনদের জন্য বিশেষ ভাতা বা সরাসরি আর্থিক সহযোগিতা সরকারি অফিসগুলোতে দুর্নীতি প্রতিরোধে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে, বিশেষ করে সরকারি ক্রয় পদ্ধতিতে বিশেষ নজরদারি প্রয়োজন।

আবদুল আউয়াল বলেন, সরকারের উন্নয়ন দর্শন এবং বাজেট পরিকল্পনা কোনোভাবেই দরিদ্র প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছাতে সক্ষম হচ্ছে না। আমরা কর ফাঁকি দেয়া অর্থ পাচারে সম্পৃক্ত ধনীদের বেশি সুবিধা দিচ্ছি।

হাসান মেহেদী বলেন, স্বাস্থ্য খাত গত অর্থবছরে ঋণের মাধ্যমে প্রায় ৩৭ হাজার কোটি টাকা পেলেও করোনার সংকট মোকাবেলায় ব্যর্থ হয়েছে।

আমিনুল হক বলেন, অবৈধ অর্থ পাচারের অন্যতম সহযোগী ব্যাংক খাত। তাই অবৈধ অর্থ পাচার প্রতিরোধে ব্যাংক খাতের সামগ্রিক সংস্কার প্রয়োজন।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন