আগামী দিনগুলোতে পুরো ব্যবসা খাতকে নিয়ন্ত্রণ করবে ডিজিটাল কমার্স ব্যবস্থা। দেশব্যাপী উচ্চগতির ইন্টারনেট সম্প্রসারণ এবং লজিস্টিক সাপোর্ট হিসেবে ডাক অধিদপ্তরের বিস্তৃত নেটওয়ার্ক ডিজিটাল বাণিজ্য বিকাশের জন্য মাইলফলক হিসেবে কাজ করছে। বুধবার রাতে ঢাকায় ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন কর্তৃক ই-ক্যাব দিবস উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার
মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল কমার্স এখন শুধু বিক্রেতাদেরই নয় বরং ক্রেতাদেরও প্লাটফর্ম। এ খাতের উন্নয়নে সরকার সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতা করছে এবং তা অব্যাহত থাকবে। এত অল্প সময়ে ডিজিটাল কমার্সের এ ব্যাপ্তি শুধু করোনার কারণে হয়নি। করোনার মতো পরিস্থিতিতে সরকারের নানা পদক্ষেপ ও ই-ক্যাবের যারা নেতৃত্বে রয়েছে, তাদের ক্রমাগত প্রচেষ্টার ফসল। দেশের সবচেয়ে বড় ডাক-চেইনকে ই-কমার্সের কাজে লাগানোর মাধ্যমে ডিজিটাল-কমার্সের ব্যাপ্তি আরো প্রান্তিক পর্যায়ে ছড়িয়ে দেয়া সম্ভব। ডিজিটাল-কমার্স এবং পোস্টাল সার্ভিস উভয় সক্ষমতা মিলিয়ে গ্রামীণ ডিজিটাল-কমার্সের ব্যাপ্তি বাড়ানো যায়। কারণ ডাক বিভাগের মতো এত বড় বাহিনী ও নেটওয়ার্ক দেশের কোনো প্রাইভেট বা পাবলিক সেক্টরের নেই।
ডিজিটাল কমার্স বিকাশের বিভিন্ন পথপরিক্রমা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল কমার্সের মাধ্যমে ক্রেতার কাছে পণ্য পৌঁছাবে তা নয়। বরং গ্রামের উৎপাদিত কৃষিপণ্য ও কুটির শিল্পপণ্য শহরে পৌঁছানোর কাজটি করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদৃষ্টিসম্পন্ন নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচির ধারাবাহিকতায় গত ১২ বছরে বাংলাদেশ পৃথিবীতে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। ডিজিটাল যুগে প্রচলিত বাণিজ্য থাকবে না। করোনাকালে আমরা এর নমুনা দেখছি।
ই-ক্যাব সভাপতি শমী কায়সারের সভাপতিত্বে ও ই-ক্যাবের ডিরেক্টর আসিফ আহনাফের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ই-ক্যাবের সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল ওয়াহেদ তমাল, ফিন্যান্স সেক্রেটারি আব্দুল হক অনু, জয়েন্ট সেক্রেটারি নাসিমা আক্তার নিশা, ডিরেক্টর জিয়া আশরাফ, ডিরেক্টর সাইদ রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে ই-ক্যাবের স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যরা তাদের চলতি বছরের পরিকল্পনা তুলে ধরেন।
