সব ভ্যাট অফিস খোলা

ভ্যাট প্রদান করতে হবে নির্ধারিত সময়ে

নিজস্ব প্রতিবেদক

সরকার ঘোষিত লকডাউনের মধ্যে নির্ধারিত সময়ে ভ্যাট দাখিলপত্র গ্রহণে সব অফিস খোলা রেখেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।  তাই ভ্যাটদাতাদের নির্ধারিত সময়েই ভ্যাট দাখিলপত্র দাখিল করতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এনবিআরের সদস্য (মূসক বাস্তবায়ন ও আইটি) আব্দুল মান্নান শিকদার স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে।

 আদেশে বলা হয়, মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন ও বিধিমালা অনুযায়ী ভ্যাট ব্যবস্থার আওতায় করমেয়াদ শেষ হওয়ার অনধিক ১৫ দিনের মধ্যে করদাতার দাখিলপত্র দাখিলের বাধ্যবাধকতা রয়েছে। প্রতি ইংরেজি মাসকে ভ্যাট ব্যস্থায় কর মেয়াদ ধরা হয়। মেয়াদের পর ভ্যাট দাখিলপত্র দাখিল করলে সুদ ও জারিমানা আরোপের বিধান রয়েছে। 

এ কারণে ভ্যাটদাতাদের মাসিক ভ্যাট দাখিলপত্র দাখিলে সহায়তা করা ও দাখিলপত্র গ্রহণের সুবিধার্থে সরকার ঘোষিত লকডাউনকালে দেশের সকল কস্টমস, এক্সাইজ ও ভ্যাট দপ্তরসমূহ খোলা রয়েছে। করদাতারা স্বাস্থ্য বিধি মেনে সংশ্লিষ্ট ভ্যাট দপ্তরে দাখিলপত্র পেশ করতে পারবেন। তবে এ সময়ে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের করোনা সংক্রান্ত সতর্কতা ও নিরাপত্তমূলক সার্বিক ব্যবস্থা গ্রহণ করে দাখিলপত্র গ্রহণ ও রাজস্ব আদায় করবেন। সংশ্লিষ্ট প্রত্যেক কমিশনার বিষয়টি তদারকি করবেন।

উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) সংক্রমণ উদ্বেগজনক হারে বাড়তে থাকায় গত ৫ এপ্রিল ভোর ৬টা থেকে সাত দিনের ‘কঠোর বিধিনিষেধ’ জারি করে সরকার। এই বিধিনিষেধের মেয়াদ শেষ হবে ১১ এপ্রিল রাত ১২টায়। বিধিনিষেধের মধ্যে পালনের জন্য ১১টি নির্দেশনা দেয়া হয় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে ৪ এপ্রিল জারি করা প্রজ্ঞাপনে।

নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, শপিংমলসহ অন্যান্য দোকানপাট বন্ধ থাকবে। তবে দোকান, পাইকারি ও খুচরা পণ্য অনলাইনের মাধ্যমে কেনাবেচা করতে পারবে। সেক্ষেত্রে অবশ্যই সর্বাবস্থায় কর্মচারীদের মধ্যে আবশ্যিক স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে এবং কোনো ক্রেতা সশরীরে যেতে পারবে না।

বন্ধ রাখা হয়েছিল গণপরিবহনও। লকডাউন শুরু হলে গণপরিবহন না পেয়ে প্রতিদিন দুর্ভোগ পোহাতে থাকেন যাত্রীরা, বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেন তারা। একই সঙ্গে দোকান ও মার্কেট খুলে দিতেও আন্দোলনে নামেন মালিক-শ্রমিকরা। এরই মধ্যে গত বুধবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সিটি করপোরেশন এলাকার মধ্যে গণপরিবহন চলবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়।

তবে শপিংমল ও দোকান মালিকদের আন্দোলন চলছিল। বৃহস্পতিবারও আন্দোলন করেছেন তারা। এই প্রেক্ষাপটে গতকাল বৃহস্পতিবার কঠোর স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন সাপেক্ষে আজ শুক্রবার ৯ এপ্রিল থেকে ১৩ এপ্রিল সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে সরকার।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন