নির্ধারিত রুটে চলছে না ঢাকার পাবলিক বাস

নিজস্ব প্রতিবেদক

কোন রুট দিয়ে কোন বাস চলবে, তা ঠিক করে দেয় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) মালিক বা কোম্পানির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রুটগুলো অনুমোদন দেয় সংস্থাটি। ঢাকায় এমন বাস রুটের সংখ্যা ২৯১টি। নিয়ম অনুযায়ী, নির্ধারিত রুটের বাইরে অন্য রুটে কোনো বাস চলার কথা নয়। তবে শর্ত ভঙ্গ করে এক রুটের জন্য পারমিট নিয়ে অন্য রুটে বাস পরিচালনা করছেন বাস মালিকরা। সম্প্রতি সরেজমিন পরিদর্শন করে এমন চিত্র পেয়েছে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ)

ঢাকায় কোম্পানিভিত্তিক বাস সেবা প্রবর্তনের লক্ষ্যে কাজ করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়রের নেতৃত্বে একটি কমিটি। বাস রুট র্যাশনালাইজেশনের মাধ্যমে রুটের সংখ্যা ২৯১ থেকে ৪২টিতে নামিয়ে আনা হবে। আর ঢাকার প্রায় আড়াই হাজার বাস মালিককে নিয়ে গঠন করা হবে ২২টি জয়েন্ট ভেঞ্চার কোম্পানি। পরীক্ষামূলকভাবে বছিলার ঘাটারচর থেকে মতিঝিল হয়ে কাঁচপুর পর্যন্ত একটি রুটে কোম্পানিভিত্তিক বাস সেবা প্রবর্তনের লক্ষ্যে কাজ করছে কমিটি।

ঘাটারচর-মতিঝিল-কাঁচপুরের মধ্যে বাস চলাচলের জন্য বিআরটিএর অনুমোদিত রুট আছে পাঁচটি। রুটগুলো হলো -১৫৮, -১৬২, -১৮৭, -১৫৯ -৩২৯। তবে এসব রুটে বর্তমানে কোনো বাসই চলছে না।

ডিটিসিএ বলছে, ঢাকা শহরে বাস রুট র্যাশনালাইজেশনের লক্ষ্যে একটি কমিটি কাজ করছে। প্রথম পর্যায়ে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে একটি পাইলট প্রকল্প। এরই অংশ হিসেবে রুটটিতে চলমান যানবাহন ফিটনেস সংক্রান্ত তথ্য প্রথমে বিআরটিএর কাছ থেকে সংগ্রহ করা হয়। কিন্তু মাঠ পর্যায়ে পরিদর্শনে গিয়ে জানা যায়, এসব রুটে আর কোনো বাস চলাচল করছে না। যেসব বাস রুটটিতে চলাচলের জন্য পারমিট নিয়েছিল, সেগুলো চলাচল করছে অন্য রুটে। বিপরীতে কোনো ধরনের রুট পারমিট ছাড়াই চলাচল করছে কিছু বাস।

এমন অবস্থায় ঢাকা শহরে রুট পারমিট নিয়ে কতগুলো যানবাহন চলাচল করছে, রুট পারমিট ছাড়া কতগুলো যানবাহন চলাচল করছে এবং এক রুটের পারমিট নিয়ে অন্য রুটে কতগুলো যানবাহন চলাচল করছে, তা যাচাই-বাছাই করে তিন মাসের মধ্যে ঠিক করার জন্য বিআরটিএকে নির্দেশ দিয়েছে ডিটিসিএ।

তবে এক রুটের অনুমতি নিয়ে অন্য রুটে বাস চলাচলের বিষয়ে বিআরটিএর কর্মকর্তারা বলছেন, প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল না থাকায় রুট পারমিটের বিষয়টি ঠিকমতো যাচাই করা সম্ভব হয় না। পাশাপাশি করোনাভাইরাস পরবর্তী সময়ে অনেক বাস চলাচল করছে না। কারণেও রুটগুলোর বাসের সংখ্যায় কিছুটা গড়মিল তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তারা।

বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে বিআরটিএর চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার বণিক বার্তাকে বলেন, নির্ধারিত রুটের বাইরে চলাচল করা আইনত দণ্ডনীয়। বিষয়টি নিয়ে আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। তিন মাসের মধ্যে ঢাকায় রুটভিত্তিক বাসের সংখ্যা নিরূপণের নির্দেশনা আমরা পেয়েছি। এরই মধ্যে আমরা কাজটি শুরুও করে দিয়েছি।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন