মানিকগঞ্জে স্কুলছাত্র রাকিব হোসেন হত্যা মামলায় শাকিল আহম্মেদ মিঠু নামের অপর সহপাঠীকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় অপর চার আসামি সবুজ মিয়া, মোহাম্মদ রকি, মোহাম্মদ আহাদ ও জনি মিয়াকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়েছে।
আজ রোববার বেলা ২টার দিকে মানিকগঞ্জের সিনিয়র দায়রা জজ আদালতের বিচারক মীর রুহুল আমিন এই রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত শাকিল আহম্মেদ মিঠু মানিকগঞ্জ পৌরসভার কান্দাপৌলি এলাকার আব্দুল মান্নানের ছেলে। তারা মাকিনগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী ছিলেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সালাম জানান, প্রেমঘটিত কারণে ২০১৮ সালের ২৭ মার্চে সেলফোনের মাধ্যমে রাকিবকে ডেকে নিয়ে কুপিয়ে জখম করে শাকিল আহম্মেদ মিঠু। খবর পেয়ে রাকিবের মা ও স্থানীয়রা গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। ঢাকা নেয়ার পথে রাকিবের অবস্থার অবনতি হলে সাভারের এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে দায়িত্বরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ২৯ মার্চ নিহতের বাবা মো. খলিলুর রহমান বাদী হয়ে পাঁচজনকে আসামি করে সদর থানায় মামলার দায়ের করেন। পুলিশ মামলার প্রধান আসামি শাকিলকে পরে দিন শিবালয় থেকে গ্রেফতার করে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তৎকালীন মানিকগঞ্জ সদর পুলিশ ফাঁড়ির ইন্সপেক্টর আবুল কালাম ২০১৯ সালের ২৯ মার্চে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। মামলায় ২৫ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক আজ রায় দিলেন।
মামলার এজাহারে রাকিব হোসেনের বয়স ১৭ বছর এবং আসামি শাকিল আহম্মেদের বয়স ১৮ বছর উল্লেখ করা হয়েছে।
