ফেনীতে পৃথক মাদক মামলায় তিন আসামিকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও এক আসামিকে এক বছরের প্রবিশন সুবিধা দিয়েছেন আদালত। এছাড়া আদালতে দাঁড়িয়ে মিথ্যা তথ্য দেয়ায় এক সাক্ষীর বিরুদ্ধে মামলার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। গতকাল ফেনীর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ রায় ঘোষণা করা হয়।
জানা যায়, ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসাইনের আদালতে ৯ ফেব্রুয়ারি দাগনভূঞা উপজেলার একটি মামলায় সাক্ষী দিতে এসে মিথ্যা তথ্য দেন সিন্দুরপুর ইউনিয়নের হাজী রুহুল আমিনের ছেলে রমজান আলী স্বপন (২৭)। মামলার বাদীপক্ষে আইনজীবীর জেরায় ও মামলার অন্য সাক্ষীদের সাক্ষ্যে রমজান আলী স্বপন মিথ্যা সাক্ষী দেয়ার বিষয়টি প্রমাণিত হয়।
আদালতের বেঞ্চ সহকারী মোহাম্মদ জাকির হোসেন জানান, আদালতে শপথ করে আসামিকে মামলার দায় থেকে বাঁচানোর জন্য মিথ্যা সাক্ষী দেয়ায় ও আদালতকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করায় সাক্ষী রমজান আলী স্বপনের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা রুজুর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
একই আদালতে গতকাল পৃথক মাদক মামলায় ফেনী সদর উপজেলার ধর্মপুর বাঁশতলা এলাকার সিরাজুল ইসলামের ছেলে মো. করিমকে ১ বছর ৩ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেয়া হয়। এছাড়া অন্য একটি মাদক মামলায় ফুলগাজী উপজেলার গাঁজা ব্যবসায়ী আসাদুজ্জামান শ্যামল ও সবুজ নামে দুজনকে ছয় মাস করে সশ্রম কারাদণ্ড, ১ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো এক মাসের কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত।
এদিকে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কামরুল হাসানের আদালতের বেঞ্চ সহকারী মো. ইউনুছ শরীফ জানান, ২০২০ সালের ২৪ আগস্ট সাত পিস ইয়াবার মামলায় জাহিদুল ইসলাম সম্রাট (২৪) নামে এক শিক্ষার্থীকে এক বছরের জন্য কারাগারে না পাঠিয়ে প্রবিশন সুবিধা দিয়েছেন আদালত। প্রবিশনপ্রাপ্ত সম্রাট সম্প্রতি সময়ে ফেনী সরকারি কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করে ব্যাচেলর ডিগ্রিতে ভর্তি হওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
