চসিক নির্বাচন

আওয়ামী লীগ-বিএনপির চমকহীন ইশতেহার

দেবব্রত রায়, চট্টগ্রাম ব্যুরো

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে চমকহীন নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছে দুই প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ বিএনপি মেয়র প্রার্থীরা। নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনকে হাতিয়ার করে চসিক নির্বাচনে বৈতরণী পার হতে চান তারা। গতকাল নির্বাচনের দুই প্রতিদ্বন্দ্বী দল জলাবদ্ধতা নিরসন, হোল্ডিং ট্যাক্স, যানজট সমস্যা নিরসন, পর্যটন খাতকে গুরুত্ব দিয়ে তাদের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করে।

নির্বাচন বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ২০১৫ সালের দুই দলের ইশতেহারের সঙ্গে গতকাল ঘোষিত ইশতেহারের সিংহভাগ মিল আছে। ইশতেহারকে পুঁজি করে নির্বাচনে জিততে চান তারা। কিন্তু নির্বাচনে জিতে তারা ইশতেহারের কাজ কী ছিল সেটাই ভুলে যান। 

গতকাল চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে ৩৭ দফা ইশতেহার ঘোষণা করেন আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী। ৩৭ দফার মধ্যে আটটি বিষয়কে প্রধান সমস্যা ধরে ইশতেহার পর্যালোচনা করা হয়। অগ্রাধিকারের আট দফা হলো: জলাবদ্ধতা নিরসন, ১০০ দিনের অগ্রাধিকার, যানজট সমস্যা থেকে উত্তরণ, সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা, নালা-নর্দমা পরিষ্কার খাল-নদীর দখলদার উচ্ছেদ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, পর্যটন নগরী গড়ে তোলা এবং হোল্ডিং ট্যাক্সের সমন্বয়। ইশতেহারে মশার উৎপাত দমন, স্বাস্থ্য খাতের উন্নয়ন, মুক্তিযোদ্ধাদের সুযোগ-সুবিধাকে অগ্রাধিকারের তালিকায় না রেখে সাধারণ তালিকায় রেখেছেন রেজাউল।

এদিকে গতকাল নগরীর জামালখানের একটি রেস্টুরেন্টে নয় দফা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ইশতেহার ঘোষণা করেন বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। ইশতেহারে স্মার্ট চট্টগ্রাম নগরী গড়ে তুলতে জলাবদ্ধতা মুক্ত নগরী গড়ে তোলা, স্বাস্থ্যকর চট্টগ্রাম, শিক্ষাবান্ধব চট্টগ্রাম, গৃহকর আবাসন, পরিচ্ছন্ন চট্টগ্রাম, নিরাপদ চট্টগ্রাম, সাম্য-সম্প্রীতির চট্টগ্রাম, নান্দনিক পর্যটন নগরী এবং তথ্যপ্রযুক্তিকে বেশি গুরুত্ব্ব দিয়েছেন।

বিএনপির ইশতেহারে জলাবদ্ধতার জন্য অবৈধভাবে পাহাড় কাটা, নালা-নর্দমা বর্জ্য অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করা হয়েছে। জলাবদ্ধতা নিরসনে এডিবি, কুয়েত ফান্ড জাইকা থেকে পর্যাপ্ত বরাদ্দ এনে ১৯৯৫ সালে প্রণীত মাস্টার ড্রেনেজ প্ল্যান বাস্তবায়নের ব্যবস্থা করা হবে। কর্ণফুলী নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে নেয়া এবং পাহাড় কাটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। চিকিৎসাসেবা খাতে চসিক পরিচালিত হাসপাতালগুলোর সেবা বাড়ানোর সঙ্গে শয্যা সংখ্যাও বাড়ানো হবে। কভিড-১৯সহ সংক্রামক রোগের চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল গড়ে তোলা, নগরীতে সুপেয় পানির প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে। এছাড়া বর্তমান গৃহকরের প্রয়োজনীয় বিন্যাস সহনীয় রাখা, হকারদের পুনর্বাসন এবং নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য স্বল্প মূল্যে আবাসন সুবিধা দেয়া হবে। পরিচ্ছন্ন চট্টগ্রাম নগরীর জন্য বর্জ্য ব্যবস্থা উন্নয়ন, সংগৃহীত বর্জ্য নির্দৃষ্ট স্থানে ফেলার ব্যবস্থাসহ সেই বর্জ্য রিসাইক্লিং করে কৃষিকাজে ব্যবহারের উপযোগী করার উদ্যোগ নেয়া হবে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন