রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ভাড়া বাড়িতে জাকারিয়া বিন হক শুভ নামে এক যুবকে ‘হত্যাকারীদের’ বিচারের দাবিতে লালমনিরহাটের কালিগঞ্জে মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী ও নিহতের স্বজনরা। আজ রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বেলা ১২টার দিকে লালমনিরহাট-বুড়িমারী মহাসড়কের কালীগঞ্জ উপজেলার তুষভান্ডার বাজারে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডের বাসা থেকে জাকারিয়া বিন হক শুভর মরদেহ উদ্ধার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় নিহত শুভ'র বড়বোন হাসিনা নাজনিন বিনতে হক বাদি হয়ে গত শুক্রবার (২৬ সেপ্টেম্বর) রাতে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় শুভর স্ত্রী শেহনীলা নাজ ও শাশুড়ি আছমা বেগমসহ অজ্ঞাতদের আসামি করা হয়েছে।
স্বজনরা জানিয়েছেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী নিহত জাকারিয়া বিন হক শুভ লালমনিরহাটের কালীগঞ্জ উপজেলার উত্তর ঘনেশ্যাম (এমসি মোড়) এলাকার আব্দুল হকের ছেলে। তিনি ওয়ালটন গ্রুপের মোবাইল সেক্টরের টেরিটরি সেলস ম্যানেজারের দায়িত্বে ছিলেন। চাকরির সুবাদে তিনি রাজধানীর মোহাম্মদপুরের তাজমহল রোডে শ্বশুর বাড়ির পাশেই ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
মানববন্ধনে বক্তারা জানান, বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাতে স্থানীয়দের দেয়া খবরে বাসা থেকে জাকারিয়া বিন হক শুভ'র মরদেহ উদ্ধার করে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। এটিকে ‘পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড’ দাবি করে জড়িতদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেন মানববন্ধনকারীরা।
মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন কালীগঞ্জ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাহবুবুজ্জামান আহমেদ, তুষভান্ডার ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান নুর ইসলাম, নিহত শুভ'র বড়বোন হাসিনা নাজনিন বিনতে হক, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি প্রভাষক রেফাজ রাঙ্গা, কালীগঞ্জ প্রেসক্লাব সভাপতি আমিরুল ইসলাম হেলাল, উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ বাবু প্রমুখ।
নিহতের বন্ধু-বান্ধব, আত্মীয় স্বজন, এলাকাবাসী ও তুষভান্ডার বাজারের ব্যবসায়ীরা মানববন্ধনে অংশ নেয়। মানববন্ধন শেষে নিহত শুভ'র আত্মার শান্তি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এরপর বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে তুষভান্ডার বাজার প্রদক্ষিন করে প্রেসক্লাব চত্ত্বরে গিয়ে শেষ হয়
