বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, পেঁয়াজ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। দেশের অভ্যন্তরে দেশী ও আমদানীকৃত পর্যাপ্ত পেঁয়াজ মজুদ রয়েছে। ভারত এরই মধ্যে ২৫ হাজার টন পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দিয়েছে। আশা করা যায়, আরো ১০ হাজার টন পেঁয়াজ রফতানির অনুমতি দেবে। গতকাল ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানিয়েছেন তিনি।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, এরই মধ্যে ভারতীয় পেঁয়াজ আসতে শুরু করেছে দেশে। মিয়ানমার ও তুরস্ক থেকেও পেঁয়াজ আমদানি শুরু হয়ে গেছে। এর বাইরে অন্য আরো দেশ থেকেও পণ্যটি আমদানি হচ্ছে। ফলে দেশে পেঁয়াজের কোনো সংকট হবে না। আমরা অস্থির না হয়ে শুধু প্রয়োজনীয় পেঁয়াজ কিনলেই বাজারে কোনো সমস্যা হবে না।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে বড় ধরনের আমদানি ও সাশ্রয়ী মূল্যে খোলাবাজারে পেঁয়াজ বিক্রির উদ্যোগ নিয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, যারা ট্রাক সেল থেকে কিনতে পাচ্ছেন না, তাদের জন্য টিসিবি ই-কমার্সের সহযোগিতায় সাশ্রয়ী মূল্যের পেঁয়াজ বাসায় পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করেছে। অন্যান্য পণ্যের মতো এখন সাশ্রয়ী মূল্যের পেঁয়াজও বাসায় বসে কিনতে পারবেন। ই-কমার্সের মাধ্যমে পেঁয়াজ বিক্রির ধারণাটি নতুন। এক্ষেত্রে কিছু সমস্যা আসতে পারে। আমরা থেমে থাকব না, সমস্যার সমাধান করে এগিয়ে যাব।
ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রাথমিক পর্যায়ে শুধু ঢাকা ও চট্টগ্রামে এ পেঁয়াজ বিক্রি শুরু করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে দেশের সব স্থানে এ প্রক্রিয়ায় সাশ্রয়ী মূল্যে পেঁয়াজ বিক্রি করবে টিসিবি। এজন্য ক্রেতা-বিক্রেতা এবং সংশ্লিষ্ট সবার আন্তরিক সহযোগিতা চেয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পেঁয়াজের মূল্যবৃদ্ধি প্রতিরোধ ও মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ক্রেতাদের ই-কমার্সে পেঁয়াজ পেতে এ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে সরকার। প্রাথমিকভাবে দেশের পাঁচটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ৩৬ টাকা মূল্যে তিন কেজি করে পেঁয়াজ বিক্রি করা হবে। পরে প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ও পেঁয়াজের পরিমাণ বাড়ানো হবে।
বাণিজ্য সচিব ড. মো. জাফর উদ্দীনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন টিসিবির চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আরিফুল হাসান, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (রফতানি) মো. ওবায়দুল আজম ও অতিরিক্ত সচিব (আমদানি) হাফিজুর রহমান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ডব্লিউটিও সেলের মহাপরিচালক এবং ই-কমার্স প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক মো. হাফিজুর রহমান, ই-কমার্সের প্রেসিডেন্ট শমি কায়সার, চালডাল কর্মসূচির পরিচালক ইসরাত জাহান নাবিলা ও নাদিয়া বিনতে আমীন।