২০১৯-২০ অর্থবছরে যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে প্রবেশ করেছে ১২ লাখ ৫৪ হাজার ২৬৩ জন যাত্রী। এ সময় ইমিগ্রেশন থেকে ভ্রমণ কর বাবদ সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ৬৭ কোটি ৪৭ লাখ ৯৩ হাজার ৪৯৪ টাকা।
জানা যায়, করোনার কারণে ২০১৯-২০ অর্থবছরে যাত্রীর যাতায়াত আগের অর্থবছরের চেয়ে কমেছে। এছাড়া আদায়কৃত টাকার মধ্যে বেনাপোল সোনালী ব্যাংক আদায় করেছে ৪৭ কোটি ৪৬ লাখ ২২ হাজার টাকা। বাকি টাকা আদায় হয়েছে দেশের অন্যান্য সোনালী ব্যাংকের শাখায়। বেনাপোল সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপক রকিবুল ইসলাম যাত্রী পরিসংখ্যান ও রাজস্ব আদায়ের তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ভারতে প্রবেশকারী ৯০ শতাংশ বাংলাদেশী এবং ১০ শতাংশ ভারতসহ অন্যান্য দেশের রয়েছে। এসব যাত্রীর কাছ থেকে ভ্রমণ কর আদায়ের কাজ করে সোনালী ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। তারা যাত্রীপ্রতি ৫০০ টাকা ভ্রমণ কর এবং বন্দরের ট্যাক্স বাবদ ৪২ টাকা ৮৫ পয়সা আদায় করে থাকে।
ভ্রমণ কর বাবদ প্রতি বছর বড় অংকের রাজস্ব আয় হলেও সে অনুযায়ী সুযোগ-সুবিধা অপ্রতুল বলে মনে করেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা। বেনাপোলের কয়েকজন ব্যবসায়ী জানান, প্রতি বছর এত বিপুল পরিমাণে রাজস্ব আয় হলেও এখানে যাত্রীসেবা বাড়েনি। অবকাঠামো উন্নয়নে নানা প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন হয়নি। এছাড়া সেবার নামে ট্যাক্স আদায় করা হলেও বন্দরে তেমন কোনো সেবা নেই। ইমিগ্রেশনে যাত্রী ছাউনি না থাকায় যাত্রীদের দীর্ঘ সময় রোদে পুড়তে হয়, বৃষ্টিতে ভিজতে হয়। রয়েছে ইমিগ্রেশন ও যাত্রী টার্মিনালে প্রতারক আর ছিনতাইকারীদের দৌরাত্ম্য।
বন্দর ও ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা যায়, ১৯৭২ সাল থেকে বৈধভাবে বেনাপোল বন্দর দিয়ে পাসপোর্টের মাধ্যমে ভারতে যাতায়াত শুরু হয়। বেনাপোল থেকে কলকাতা শহরের দূরত্ব মাত্র ৮৪ কিলোমিটার। বেনাপোল থেকে রওনা দিয়ে ট্রেন ও বাসে করে মাত্র আড়াই ঘণ্টায় পৌঁছানো যায় কলকাতা শহরে। যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজ হওয়ায় এ পথে চিকিৎসা, ব্যবসা ও ভ্রমণপিপাসু মানুষ যাতায়াতে প্রথম থেকে স্বাচ্ছন্দ্য প্রকাশ করে। বর্তমানে বেনাপোল স্থলপথ ও রেলপথে যাত্রীরা ভারতে যাতায়াত করে।
এদিকে করোনার কারণে ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞায় গত ১৩ মার্চ থেকে এ পথে বাংলাদেশীদের ভারত যাতায়াত বন্ধ রয়েছে। তবে ভারতীয় হাইকমিশনারের বিশেষ অনুমতিতে ভিআইপি ব্যক্তিদের যাতায়াত সচল রয়েছে বলে ইমিগ্রেশন সূত্রে জানা গেছে।