রোহিঙ্গাদের জন্য নভেল করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে ৪০ লাখ ডলার বিশেষ তহবিল বরাদ্দের বিশেষ পক্ষপাতমূলক শর্ত সংশোধনের জন্য গতকাল জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর কাছে অনুরোধ জানিয়েছে কক্সবাজারে কর্মরত ৫০টিরও বেশি স্থানীয় ও জাতীয় এনজিওর নেটওয়ার্ক সিসিএনএফ।
সংগঠনটি মনে করে, শর্ত পরিবর্তন করলে এ তহবিলপ্রাপ্তির প্রক্রিয়ায় স্থানীয় বেসরকারি সংস্থাগুলো অংশগ্রহণের পাশাপাশি রোহিঙ্গা সংকট মোকাবেলায় পরিচালিত বিভিন্ন মানবিক কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবে।
উল্লেখ্য, গত ৩০ জুন ইন্টার সেক্টোরাল কোঅর্ডিনেশন গ্রুপ (আইএসসিজি) এবং আইওএম জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারীর (ইউএনআরসি) পক্ষে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে।
এতে বলা হয়েছে, এ তহবিলের জন্য এনজিওগুলোকে ২ জুলাইয়ের মধ্যে আবেদন করতে হবে।
এ তহবিল পরিচালিত হবে আইওএমের মাধ্যমে।
পালসের নির্বাহী পরিচালক এবং সিসিএনএফের কো-চেয়ার আবু মোর্শেদ চৌধুরী বলেন, এ তহবিলের জন্য আবেদনের শর্ত হলো এনজিওগুলোর নিজস্ব স্বতন্ত্র প্রকল্প থাকতে হবে এবং আইএসসিজি কর্তৃক প্রস্তুতকৃত যৌথ সাড়াদান পরিকল্পনা বা জেআরপির অংশ হতে হবে।
কোনো স্থানীয় এনজিও কীভাবে প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য নিজস্ব তহবিল জোগাড় করবে।
যেহেতু আইএসসিজি জাতিসংঘ এবং কয়েকটি আইএনজিও দ্বারা সম্পূর্ণরূপে পরিচালিত হয় এবং স্থানীয় এনজিওগুলোকে সেখানে কোনো প্রবেশাধিকার দেয়া হয় না, তাহলে স্থানীয় এনজিও কীভাবে জেআরপি প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে?
মুক্তি কক্সবাজারের নির্বাহী পরিচালক এবং সিসিএনএফের কো-চেয়ার বিমল চন্দ্র দে বলেন, দেশীয় এনজিওগুলোকে সাব-কন্ট্রাক্টর হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে এবং স্থানীয়করণের ভুল ব্যাখ্যা করা হয়েছে।
এর অর্থ আসলে পরিস্থিতি এমনভাবে প্রস্তুত করা হয়েছে, যাতে স্থানীয় ও জাতীয় এনজিওগুলোর স্বাধীন ভূমিকা হ্রাস করা যায় এবং বিদেশী এনজিওগুলোর নিয়ন্ত্রণ আরো পাকাপোক্ত করা যায়।
তবে নীতিগতভাবে আন্তর্জাতিক এনজিওগুলোকে তাদের নিজ নিজ দেশগুলো থেকে তহবিল আনতে হবে।
কক্সবাজার বা বাংলাদেশ থেকে তাদের অর্থ সংগ্রহ করা উচিত নয়।
—বিজ্ঞপ্তি