বিজ্ঞানীরা চীনে নতুন এমন এক ধরনের ফ্লু ভাইরাসের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছেন, যা থেকে আরেকটি মহামারী ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
শূকরের দেহে সম্প্রতি এ ধরনের ভাইরাস পাওয়া গেছে এবং এটি মানুষকে সংক্রমিত করতে পারে বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
চলমান কভিড-১৯ মহামারীর জন্য দায়ী নভেল করোনাভাইরাস সার্স-কোভ-২ তার বৈশিষ্ট্য পাল্টে ফেলার সামর্থ্য রাখে বলে এটিকে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হচ্ছে।
গবেষকরা বলছেন, শূকরের দেহে পাওয়া নতুন ভাইরাসটিও নিজেকে আরো বেশিমাত্রায় পরিবর্তন করতে পারে বলে এটি খুব সহজে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তির দেহে ছড়াতে পারবে এবং আরেকটি বৈশ্বিক মহামারীর সূচনা করতে পারে।
গবেষকরা বলছেন, মানুষের শরীরে মানিয়ে নেয়ার সব নির্দেশকই আছে এই ভাইরাসের মধ্যে এবং এখন এ নিয়ে নিবিড় পর্যবেক্ষণ প্রয়োজন।
একেবারেই নতুন হওয়ার কারণে এ ভাইরাসের বিরুদ্ধে মানুষের শরীরে ইমিউনিটি হবে যৎসামান্য কিংবা একেবারেই নাও হতে পারে।
‘প্রসিডিং অব দ্য ন্যাশনাল একাডেমি অব সায়েন্স’
সাময়িকীতে লেখা নিবন্ধে বিজ্ঞানীরা বলেছেন, শূকর থেকে ছড়ানো এ ভাইরাসটি নিয়ন্ত্রণ করতে হলে শূকর শিল্পের কর্মীদের খুব কাছাকাছি থেকে পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং খুব দ্রুতই পদক্ষেপ নিতে হবে।
২০০৯ সালে মেক্সিকোয় সূচনা ঘটা সোয়াইন ফ্লুর সঙ্গে অনেকটা সাদৃশ্য থাকা নতুন ফ্লু ভাইরাসটি চিহ্নিত হয়েছে চীনে, অবশ্য এ ভাইরাসটিতে কিছু পরিবর্তন রয়েছে।
বর্তমানে বিশ্বে যেসব রোগের হুমকি রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম নতুন ধরনের এ ইনফ্লুয়েঞ্জা।
এর আগে সর্বশেষ বিশ্বে ফ্লুজনিত মহামারী হয়েছিল ২০০৯ সালে সোয়াইন ফ্লু।
তখন অবশ্য আশঙ্কার চেয়ে ক্ষতি অনেক কম হয়েছিল, কেননা বয়স্ক মানুষদের মধ্যে কিছুটা ইমিউনিটি তৈরি হয়েছিল।
বিবিসি