জাতীয় পর্যায়ের তুলনায় খুলনা জেলায় করোনা সংক্রমণের হার উদ্বেগজনক।
শুরু থেকে গত রোববার পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষার হিসেবে জেলায় করোনা পজিটিভের হার ২২ দশমিক ৭০ শতাংশ।
আর ১৮ জুন থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হিসেবে জেলাটিতে এ হার ৩৭ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।
আর জাতীয় পর্যায়ে নমুনা পরীক্ষা হিসেবে করোনা পজিটিভের হার ২২ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।
সেই হিসাবে খুলনা জেলায় দশমিক ৬৯ শতাংশ বেশি রয়েছে।
গত ১১ দিনের হিসাবে জাতীয় হারের চেয়ে খুলনার হার ১৫ শতাংশ বেশি।
খুলনার সিভিল সার্জন অফিস ও জাতীয় পর্যায়ে ঘোষিত করোনার প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে এসব তথ্য জানা গেছে।
খুলনার সিভিল অফিস থেকে প্রাপ্ত তথ্যে জানা গেছে, ২৮ জুন পর্যন্ত খুলনা জেলায় ৭ হাজার ৮৬৬টি নমুনা পরীক্ষা হয়।
এর মধ্যে পজিটিভ পাওয়া গেছে ১ হাজার ৭৮৬ জন, যা শতকরা ২২ দশমিক ৭০ শতাংশ।
এ সময়ে মারা গেছে ২১ জন।
শনাক্ত হিসেবে মৃত্যুর হার ১ দশমিক ১৭ শতাংশ।
১৮ জুন থেকে ২৮ জুন পর্যন্ত ১১ দিনে খুলনা জেলায় ৩ হাজার ৫০৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়।
এতে ১ হাজার ২৯৮ জনের পজিটিভ শনাক্ত হয়, যা ৩৭ দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।
এ সময়ে মারা গেছে ১২ জন।
এ অবস্থা সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনসহ সচেতন মহলে উত্কণ্ঠার সৃষ্টি করছে।
সিভিল সার্জন অফিসের প্রতিবেদন অনুয়ায়ী, গত ২৭ মে পর্যন্ত খুলনা জেলায় ১ হাজার ৯১৬টি নমুনা পরীক্ষায় ৫৯ জন পজিটিভ শনাক্ত হয়েছিল, যা ৩ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ।
এ সময়ে মারা যায় তিনজন।
যা ৫ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ।
গত ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত ৬২০টি নমুনা পরীক্ষায় ১৩ জন পজিটিভ শনাক্ত হয়েছিল, যার হার ২ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ।
এ সময়ে একজনের মৃত্যু হয়।
মৃত্যুর হার ছিল ৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ।
খুলনার সিভিল সার্জন মো. সুজাত আহমেদ জানান, খুলনায় সামাজিক নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টিতে প্রশাসন সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
কিন্তু সাধারণ জনগণ এর কোনোটিই আমলে নিচ্ছে না।
তারা মাস্ক ব্যবহারে সচেতন নয়।
মাস্ক পকেটে নিয়ে ঘুরছে।
বাজার বা সড়কে চলাচলের ক্ষেত্রে নিজেরা সচেতন থাকছে না।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা জরিমানা করছেন।
কিন্তু তাতেও জনগণের ঘুম ভাঙছে না।
ফলে পরীক্ষা যত বাড়ানো হচ্ছে, ততই পজিটিভের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে।