ছাঁটাই কিংবা বেতন কমানো হবে অর্থনীতির জন্য আত্মঘাতী

জালাল উদ্দিন ওমর

নভেল করোনাভাইরাসের কারণে পুরো বিশ্বের অর্থনীতিতে এখন মন্দার ঢেউ এবং প্রতিটি দেশের অর্থনীতিই বিশাল এক ক্ষতির মুখোমুখি। আর এই অর্থনৈতিক মন্দা মোকাবেলায় এখন বিভিন্ন জন বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ দিচ্ছেন এবং কেউ কেউ চাকরিজীবীদের ছাঁটাই ও বেতন ভাতা কমানোর পরামর্শ দিচ্ছেন। আর এটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কর্মচারীদের ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য। সরকারি চাকরিজীবীদের চাকরি হারানোর ভয় নেই , আবার বেতন ভাতা কমার ভয়ও নেই। সরকার তার রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে কর্মরতদের বেতন-ভাতা দিয়ে যাচ্ছেন এবং ভবিষ্যতে ও দিয়ে যাবেন বলেই বিশ্বাস। বেসরকারি চাকরিজীবীরাই চাকরি নিয়ে সমস্যায় আছেন। কিন্তু বেসরকারি চাকরিজীবীদের ছাঁটাই ও বেতন ভাতা কমানো অর্থনীতির মন্দা মোকাবেলার জন্য কোন সমাধান নয় বরং এটা অর্থনীতির জন্য আরো বেশি ক্ষতিকর এবং এটা হবে একটা আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত। এতে অর্থনীতির চাকা ভেঙে পড়বে এবং সর্বত্রই বির্পযয় সৃষ্টি হবে। ফলে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার তো হবেই না বরং আরো ধ্বংস হবে। চাকরিজীবীদের ছাঁটাই এবং বেতন কমানো হলে দেশের অর্থনীতি ভাল তো হবেই না বরং আরো মন্দা হবে। আসুন যুক্তির মাধ্যমে বিষয়টির বিশ্লেষণ করি।

সাধারণত চাকরিজীবীদের আয়টা সীমাবদ্ধ। একজন ব্যক্তি যেখানেই চাকরি করুক না কেন, মাস শেষে তিনি নির্দিষ্ট পরিমাণ বেতন পান এবং এই বেতনই তার সংসারের যাবতীয় খরচ মেটানো হয়। এভাবেই চলে তার জীবনের গতি। কিন্তু কোন কারণে যদি তার বেতন কমে যায়, অথবা বেতন বন্ধ হয়ে যায় তাহলে তিনি টিকে থাকার জন্য ব্যয় সংকোচন নীতি গ্রহণ করবেন। ফলে বেঁচে থাকার জন্য নেহায়েত প্রয়োজন নয় এমন সবখাতে তিনি খরচ কমিয়ে দেবেন এবং এটা করতে তিনি বাধ্য হবেন। আমাদের দেশের অধিকাংশ চাকরিজীবীই কিন্তু ভাড়া বাসায় বসবাস করেন এর বিপরীতে তাকে প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা পরিশোধ করতে হয়। ফলে বেতন কমে যাবার কারণে প্রথমেই তিনি বাসা ভাড়া বাবদ খরচ কমাবেন। তিনি একটি ভাল বাসায় একটু বেশি আরাম-আয়েশে বসবাসের পরিবর্তে তিনি অপেক্ষাকৃত কম ভাল বাসায় কম আরাম আয়েশে বসবাসের সিদ্ধান্ত নিবেন। তিনি অপেক্ষাকৃত একটি বড় আকারের বাসার পরিবর্তে একটি ছোট আকারের বাসা ভাড়া করবেন। তার এই সিদ্ধান্তের কারণে প্রথমেই বড় বাড়িওয়ালার আয় কমে যাবে। ফলে তিনিও ব্যয় সংকোচন নীতি গ্রহণ করবেন। বাড়িওয়ালার বাড়িটি যদি ব্যাংক ঋণে নির্মিত হয়ে থাকে, তাহলে তিনি ব্যাংকের কিস্তি পরিশোধে ব্যর্থ হবেন। ফলে ব্যাংকের আয় কমে যাবে এবং এতে ব্যাংকের চাকরিজীবীরা সমস্যায় পড়বেন। 

এদিকে বেতন কমে যাওয়া চাকরিজীবী ব্যক্তিটি তার ব্যয় কমানোর জন্য বাসার কাজের লোকটি বা মেয়েটিকে বিদায় করে দিবেন। ফলে কাজের লোকটি চাকরি হারাবে এবং তার পরিবারে বির্পযয় নেমে আসবে। চাকরিজীবী ব্যক্তিটি যদি কোন ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার করে থাকেন, তাহলে তিনি খরচ কমানোর জন্য গাড়ির ব্যবহার কমিয়ে দিবেন। এর অংশ হিসাবে তিনি গাড়ির ড্রাইভারকে চাকরিচ্যুত করবেন। ফলে ড্রাইভারের পরিবারের বির্পযয় নেমে আসবে। 

তিনি গাড়ির তেল ক্রয় কমিয়ে দিবেন। ফলে রাষ্ট্রের আয় কমে যাবে। চাকরিজীবী ব্যক্তিটি যদি বাসায় কোন দৈনিক পত্রিকা এবং ম্যাগাজিন কিনতেন, তাহলে তা এখন বন্ধ করে দিবেন। ফলে পত্রিকা বিক্রেতাদের আয় কমে যাবে, পত্রিকার বিক্রি কমে যাবে এবং পত্রিকার মালিকের আয় কমে যাবে। ফলে সাংবাদিকদের আয় কমে যাবে। পত্রিকার সার্কুলেশন কমে যাবার কারনে কাগজ বা রঙসহ এই শিল্পে জড়িত সকলের আয় কমে যাবে। ফলে সবাই সমস্যায় পড়বে।

এদিকে চাকরিজীবী ব্যক্তিটি ব্যয় সংকোচন নীতির অংশ হিসাবে পোশাক কেনা কমিয়ে দিবে। আগে যেখানে তিনি এবং তার পরিবারের সদস্যরা প্রত্যেকেই বছরে ছয়টি করে জামা কিনতেন, সেখানে এখন মনে করুন চারটি করে জামা কিনবেন। ফলে কাপড়ের চাহিদা কমে যাবে এবং এর ফলে কাপড় ব্যবসায়ী, কাপড় উৎপাদন কারী প্রতিষ্ঠান এবং এর ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজসহ এ সেক্টরে জড়িত সবারই আয় কমে যাবে এবং সবাই সমস্যায় পড়বে।

এদিকে চাকরীজীবী ব্যক্তিটি বিলাসী জীবন পরিত্যাগ করায় তিনি বাসায় এসি লাগাবেন না ,ডিপ ফ্রিজ এবং ওয়াশিং মেশিন ও কিনবেন না। ফলে এ সব শিল্প প্রতিষ্ঠান এবং এখাতে জড়িত সবাই ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এদিকে চাকরিজীবী ব্যক্তিটির যদি কোন জমিকেনা, বাড়িনির্মাণ অথবা একটি ফ্ল্যাট কেনার পরিকল্পনা এবং সামর্থ্যও থাকে, তবু বেতন কমার কারণে তিনি তা আপাতত স্থগিত রাখবেন। ফলে নির্মাণ খাতের জড়িত সবাই যেমন ইট, রড়, সিমেন্ট, টাইলস, সেনিটারি আইটেম, রঙ, বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানসহ এ সেক্টরে জড়িত সবাই ক্ষতিগ্রস্থ হবে এবং সবারই জীবনে বির্পযয় নেমে আসবে। এদিকে জমি এবং ফ্লাটের কেনা বেচা কমে যাবার কারণে সরকারের রাজস্ব আয় ও কমে যাবে। ফলে সরকার ও আর্থিক সংকটে পড়বে। চাকরিজীবী ব্যক্তিটির আয় কমে যাবার কারণে সরকারকে প্রদত্ত তার ইনকাম ট্যাক্স ও কমে যাবে। ফলে সরকারের রাজস্ব আয় ও কমে যাবে। 

এদিকে চাকরিজীবী ব্যক্তিটি সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসাবে যদি কোন অর্থ ব্যয় করত, তাহলে তা এখন কমিয়ে দিবেন। ফলে সমাজের বঞ্চিত এবং অসহায় মানুষেরা ক্ষতিগ্রস্থ হবে। খরচ কমানোর জন্য চাকুরীজীবি ব্যক্তিটি মোবাইলে কথা বলা কমিয়ে দিবে । ফলে মোবাইল কোম্পানীগুলোর আয় কমবে, সরকারের রাজস্ব আয় কমবে এবং এই সেক্টরে কর্মরত মানুষেরা কষ্টে পড়বে। একইভাবে তিনি ভ্রমণ এবং বেড়ানো কমিয়ে দেবে। ফলে পর্যটন খাত ক্ষতিগ্রস্থ হবে, সাথে সাথে পরিবহন খাত ও ক্ষতিগ্রস্থ হবে। এভাবে একজন ব্যক্তির আয় কমার কারণে সমাজের আরো দশ জন ব্যক্তির আয় কমে যায়। ফলে একজন ক্ষতিগ্রস্থ হবার কারণে আরো দশজন ক্ষতিগ্রস্থ হয়। আর এটা হচ্ছে বাস্তবতা। সুতরাং চাকরীজীবীদের ছাটাই এবং বেতন কমানো কোন সমাধান নয় বরং তা অর্থনীতিকে আরো মন্দা করবে। 

এবার মন্দা মোকাবেলায় প্রতিষ্ঠানসমূহের করণীয় বিষয়ে আলোকপাত করতে চাই। মন্দার কারণে প্রতিটি প্রতিষ্ঠানই আর্থিক সংকটে নিপতিত এবং এ কথা নিরেট সত্য। সুতরাং এ সংকট উত্তরনে প্রতিষ্ঠানসমূহের ব্যয় সংকোচনের সিদ্ধান্ত নেয়াটা স্বাভাবিক। তবে তার জন্য বিদ্যমান লোকজনকে চাকরিচ্যুত করা যাবে না , চাকুরীজীবিদের বেতন ভাতা কমানো যাবে না এবং নতুন নিয়োগ বন্ধ করা যাবে না। লোকজনকে চাকরিচ্যুত না করে , নতুন নিয়োগ বন্ধ না করে এবং কর্মকর্তাদের বেতন না কমিয়ে ও কিন্তু ব্যয় কমানো যায়। একটি নির্দিষ্ট সময়, যেমন এক থেকে দুই বছরের জন্য কর্মকতা বা কর্মচারীদের নতুন বেতন স্কেল হবে না, বাৎসরিক ইক্রিমেন্ট হবে না এবং প্রমোশন হবে না। এই সময়ে অফিস ভাড়াও বাড়ানো হবে না। এই সময়ে প্রত্যেক ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানের লক্ষ্য হবে বিদ্যমান আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা। এই এক বা দুই বছর অর্থাৎ মন্দাকালে সবার লক্ষ্য হবে বর্তমান অবস্থানকেই ধরে রাখা এবং ক্রান্তিকাল শেষে প্রবৃদ্ধি অর্জন করা। আর এ সময়ে প্রতিষ্ঠানসমূহকে টিকে রাখার জন্য ব্যাংকের ঋণ প্রবাহ বাড়াতে হবে এবং তা হতে হবে সহজ শর্তে ও দীর্ঘমেয়াদী। বাংলাদেশ ব্যাংকে যে বিরাট অংকের রিজার্ভ ফান্ড রয়েছে, সেই রিজার্ভ ফান্ড থেকে অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলার জন্য ঋণের ব্যবস্থা করা হোক। এ জন্য নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে। কারণ প্রয়োজন কোন আইন মানে না। তাছাড়া একটি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা বা কর্মচারীদের বেতন ওই প্রতিষ্ঠানের মোট ব্যয় নয়, মোট ব্যয়ের একটি অংশ মাত্র। এর বাইরে আরো অনেক খরচ রয়েছে, যেমন ব্যাংক ঋণের সুদ, অফিস ভাড়া, স্টেশনারি, পরিবহন খরচ, সরকারি ট্যাক্স ইত্যাদি। এক্ষেত্রে ঋণের সুদ একটি বড় খরচ। সুতরাং স্টাফ ছাঁটাই এবং বেতন কমানো কোন সমাধান বয়ে আনবে না। তাছাড়া একটি অর্থ বছরে একটি প্রতিষ্ঠানের আয়ের পুরো অংশই কিন্তু ব্যয় হয় না। আয়ের একটি অংশ কিন্তু ভবিষ্যতের জন্য রিজার্ভ রাখা হয়। সুতরাং সংকট কালে এই রিজার্ভ ফান্ডের অর্থ ব্যয় করা হোক এবং এর মাধ্যমে অর্থনৈতিক সংকট মোকাবেলা করা হোক।

এদিকে প্রতি বছর নতুন করে কয়েক লাখো মানুষ চাকরির বাজারে প্রবেশ করছে। এ অবস্থায় প্রতিষ্ঠানগুলো যদি নতুন জনবল নিয়োগ বন্ধ রাখে তাহলে বেকার সমস্যা দিন দিন আরো বাড়বে। বেতন বৃদ্ধি, বাৎসরিক ইক্রিমেন্ট, বোনাস, প্রমোশনসহ নানা প্রণোদনা কিন্তু একজন চাকরিজীবীর স্বাভাবিক প্রাপ্য। এসবের প্রাপ্তি চাকরিজীবী ব্যক্তিকে উদ্দিপ্ত করে, ফলে তার কর্মস্পৃহা এবং কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি পায়। ফলে প্রতিষ্ঠানের গতিশীলতা বাড়ে, আয় বাড়ে এবং প্রতিষ্ঠানের প্রবৃদ্ধি হয়। কিন্তু এর বিপরীতে যদি একজন চাকরিজীবী চাকরি হারানোর ভয়ে চিন্তাগ্রস্থ থাকে এবং তার বেতন ভাতা কমিয়ে দেয়া হয়, তাহলে কিন্তু চাকরিজীবী জীবনে উদ্দিপনা হারিয়ে ফেলে এবং হতাশায় নিমজ্জিত হয়। ফলে তিনি চাকরিতে বহাল থাকলেও, তার কর্মস্পৃহা এবং কর্মদক্ষতা কমে যায়। যার ফলে প্রতিষ্ঠানের গতিশীলতা কমে যায়, আয় কমে যায় এবং প্রতিষ্ঠানের প্রবৃদ্ধি কমে যায়। সুতরাং চাকরিচ্যুতি এবং বেতন ভাতা কমানো যাবে না। তবে যেহেতু সর্বত্রই অর্থনৈতিক মন্দা চলছে সেহেতু এই সংকট চাকরিজীবীদেরও মানতে হবে। আর প্রতিষ্ঠানের ব্যয় না বাড়া মানে কিন্তু আয় বাড়া। অপরদিকে চাকরিজীবীর আয় না বাড়া মানেও কিন্তু আয় কমা। সুতরাং একটি প্রতিষ্ঠান তার জনশক্তির বিদ্যমান বেতন একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য না বাড়িয়ে এবং না কমিয়ে, বিদ্যমান বেতন বহাল রেখে তার ব্যয় কমাতে পারে। এভাবেই সংকট কালীন সময়ের সমাধান করতে হবে। আর প্রতিষ্ঠানের কর্মীরাই তো অতীতে শ্রম দিয়ে প্রতিষ্ঠানকে উন্নত করেছে। সুতরাং সংকটকালে প্রতিষ্ঠানের উচিত সেই কর্মীদের পাশে থাকা। আর এই সংকট কিন্তু বেশি দিন থাকবে না। বড় জোড় ছয় মাস থেকে এক বছর। এই সময়ের মধ্যেই অর্থনীতি আবার ঘুরে দাড়াবেই। সুতরাং প্রতিষ্ঠান মালিকদের উচিত হবে সবার সহযোগিতা এবং সবাইকে সাথে নিয়ে এই সংকট কাল অতিক্রম করা । 

আর জীবনকে যেমন সবসময় সামনের দিকে টেনে নিতে হয়, ঠিক তেমনি অর্থনীতিকে ও সব সময় সামনের দিকে টেনে নিতে হয়। কোন অবস্থাতেই জীবন এবং অর্থনীতিকে পিছনে ঠেলে দেয়া যায় না। আর অর্থনীতির একটি সাইকেল আছে, যা সব সময় প্রবাহমান রাখতে হয় এবং যেখানে সব সময় মুদ্রার সার্কুলেট রাখতে হয়। তা না হলে সবকিছু স্থবির হয়ে যায়, যা ধ্বংস ডেকে আনে। আর একজনের আয় মানে আরেকজনের ব্যয় এবং একজনের ব্যয় মানে আরেক জনের আয়। সুতরাং কারো আয় কমে গেলে তার ব্যয় কমে যাবে, ফলে আরেক জনের আয় কমে যাবে। সাগরের পানির উচ্চতা বাড়া-কমার সাথে সাথে নদী-খাল-বিলের পানির উচ্চতা যেমন বাড়ে-কমে, ঠিক তেমনিভাবে মানুষের আয় বাড়া-কমার সাথে সাথে ব্যয়ও বাড়ে-কমে এবং এর মাধ্যমে অর্থনীতির গতিও বাড়ে-কমে। অর্থনীতির এই বাস্তবতা আজ আমাদেরকে মানতেই হবে এবং এর কোন বিকল্প নেই।

পরিশেষে উদ্যোক্তাদের প্রতি সম্মান এবং শ্রদ্ধা জানিয়ে বলছি, আপনারা হলেন দেশের উন্নয়নের কারিগর। আপনারাই নতুন নতুন প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন, কর্মসংস্থান সৃষ্টি করেছেন, নতুন নতুন পন্য উৎপাদন করেছেন এবং আপনারাই দেশের অর্থনীতির চালিকাশক্তি। সুতরাং আপনাদের প্রতি বিনীত অনুরোধ, কোন অবস্থাতেই বিদ্যমান স্টাফদের ছাটাই করবেন না এবং বিদ্যমান বেতন কমাবেন না। বর্তমান সংকটে আপনারা অনেক বেশি সংকটে আছেন এবং সেটা আমরা জানি। তবে এ সংকট উত্তরনে বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করুন এবং এক্ষেত্রে আপনারা সফল হবে বলেই আমার দৃঢ় বিশ্বাস। আর এতেই সবার জন্য কল্যাণ নিহিত রয়েছে। 

লেখক : প্রকৌশলী 


এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন