দিনমজুরদের সহায়তায় ৪০ হাজার টন চাল বরাদ্দ

নিজস্ব প্রতিবেদক

করোনাভাইরাসের কারণে বেশকিছু শ্রেণীর কর্মজীবী মানুষ এখন কর্মহীন অবস্থায় আছে। কাজ না থাকায় নেই তাদের কোনো আয়। ফলে কিনতে পারছে না নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রী। অসহায় এসব মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ত্রাণ মন্ত্রণালয়। এসব মানুষকে সহায়তা দিতে প্রায় ৪০ হাজার টন চাল ১১ কোটি ২৫ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। সহায়তা এরই মধ্যে মাঠ পর্যায়ে বিতরণ শুরু হয়েছে। এছাড়া বিশেষ ওএমএস চালু করতে যাচ্ছে সরকার।

জানা গেছে, সারা দেশে শহর গ্রামে ভিক্ষুক, ভবঘুরে, দিনমজুর, রিকশা ভ্যানগাড়ি চালক, পরিবহন শ্রমিক, রেস্তোরাঁ শ্রমিক, ফেরিওয়ালা, চায়ের দোকানদারসহ সংশ্লিষ্টদের তালিকা তৈরি করে খাদ্য সহায়তা দেয়ার নির্দেশ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনেই ২৪ মার্চ জেলা প্রশাসকদের ২৪ হাজার ৭০০ টন চাল এবং কোটি ৫০ লাখ টাকার নগদ সহায়তা বরাদ্দ করে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ত্রাণ মন্ত্রণালয়। পরবর্তী সময়ে ২৮ ২৯ মার্চ আরো দুই দফায় বরাদ্দ দেয়া হয়। ২৯ মার্চ পর্যন্ত ৩৯ হাজার ৬৪৭ টন চাল এবং ১১ কোটি ২৪ লাখ ৭২ হাজার ২৬৪ টাকা জেলা প্রশাসকদের প্রদান করেছে মন্ত্রণালয়। এছাড়া ওই দিনে ডিসিদের কাছ থেকে আরো বরাদ্দ প্রদানের সুপারিশ এসেছে। ফলে মন্ত্রণালয় থেকে নতুন করে আরো বেশি বরাদ্দ প্রদান করা হবে।

বিষয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীমো. এনামুর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মেনে এরই মধ্যে জেলা প্রশাসকদের কাছে খাদ্য নগদ সহায়তা পাঠানো হয়েছে। আমরা একটি কন্ট্রোল রুম চালু করেছি। আমি নিজেসহ সচিব মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতনরা এটিতে যুক্ত আছেন। ডিসিদের চাহিদা অনুযায়ী সহায়তার পরিমাণ প্রতিনিয়ত আপডেট করা হচ্ছে। সারা দেশের অসহায় দিনমজুরদের খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিতে কাজ করে যাচ্ছি।

জানা গেছে, কোনো এলাকায় কেউ যাতে বাদ না পড়ে এবং দ্বৈততা পরিহার করা যায়, সেজন্যও নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এজন্য স্থানীয় পর্যায়ের বিত্তশালী ব্যক্তি, সংগঠন এনজিওগুলো খাদ্য সহায়তা দিলে জেলা প্রশাসকরা সবার সঙ্গে সমন্বয় করে তালিকা তৈরি করবেন। এদিকে হতদরিদ্র নিম্ন আয়ের মানুষদের জন্য ছয়টি সিটি করপোরেশন এলাকায় বিশেষ ওএমএস চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে খাদ্য অধিদপ্তর। এরই মধ্যে সরকারের অনুমোদন পেয়েছে সংস্থাটি। শিগগিরই সিটি করপোরেশন এলাকায় বিশেষ ওএমএস চালু করা হবে। সিটি করপোরেশনের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে তালিকা করে ১০ টাকা কেজি দরে চাল বিতরণ করা হবে। বর্তমানে ট্রাকে করে ৩২ টাকা কেজি দরে চাল ১৮ টাকা কেজি দরে আটা বিক্রি করা হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে প্রয়োজন অনুসারে সেটি আরো বেশি স্থানে সম্প্রসারণ করা হতে পারে বলে জানা গেছে।

এই বিভাগের আরও খবর

আরও পড়ুন